চতুর্থ পর্ব

নোটবুক এবং একজন বিজ্ঞানীর প্রতিকৃতি

ফরিদ আহমেদ

(পর্ব-৫)

সকল কাজের কাজী 

লিওনার্দো ফ্লোরেন্স ছেড়ে মিলানে আসেন  ১৪৮২ সালে। মিলান তখন গায়ে গতরে প্রায় ফ্লোরেন্সের কাছাকাছি, ফোরজা পরিবারের একনায়কতন্ত্রে শাসিত স্বচ্ছল নগররাষ্ট্র। তবে এর প্রাচুর্য, দারুণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব সত্ত্বেও  শিলপকলার দিক থেকে রোম বা ফ্লোরেন্সের তুলনায় পিছিয়ে ছিল বহুদূর। 

মিলানের শাসক ফোরজারা যে একেবারে সংস্কৃতি বিবর্জিত মানুষ ছিলেন তা অবশ্য নয়। তবুও কেন যেন সব বিখ্যাত চিত্রশিল্পীরাই ছুটে গেছেন ফ্লোরেনসের টানে এবং বাড়িয়েছেন ফ্লোরেনসের মহিমা। টাকার জোরে মিলান অনেক সঙ্গীত শিল্পী, কবি, প্রকোশলী বা বৈজ্ঞানিকদেরকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে ঠিকই, কিন্তু কোন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বা ভাস্করকে কাছে টানতে পারেনি। আলোকিতদের মধ্যে ছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীত স্রষ্টা ফ্রানচিনো গুফুরিও এবং ব্যাপকভাবে প্রশংসিত কবি এন্টনিও ফ্রেগোসো এবং গ্যাসপেয়ার ভাইকন্টি। শুধু অর্থনৈতিক না, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদেরও উস ছিল মিলান। পাভিয়াতে আসাধারণ একটা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ছিল ইটালির সেরা। এই লাইব্রেরিই পরবর্তীতে লিওনার্দোকে তার পড়াশোনা এবং গবেষণায় রসদ যুগিয়েছে দারুণভাবে। 

মিলান এবং ফ্লোরেন্স বিভিন্ন দিক দিয়েই ছিল ভিন্ন ধরনের শহর। মিলানের বৈচিত্র্যহীন রোমান স্থাপত্য ছিল লিওনার্দোর সমসাময়িক অনেকের কাছে রীতিমত অশ্লীল। কিছু যে চমতকার স্থাপত্য ছিল না তা অবশ্য নয়। তবে সেগুলো সবই ডিজাইন করা ছিল ফ্লোরেন্সের স্থপতিদের দ্বারা। চিকিসা বিষয়ক পড়াশোনার শ্রেষ্ঠ জায়গা অপসিডেল ম্যাগিওর এর নকশা করেছিলেন এন্টনিও ফিলারেটে। মাইকেলোজোর করা মেডিসি ব্যাংকের  স্থাপত্য নকশা মিলানের স্থাপত্যকলায় ফ্লোরেন্সের প্রভাবকে চিহ্নিত করে সুস্পষ্টভাবে। এমনকি আজকের দিনে যে ক্যাথেড্রালকে মনে করা হয় অনন্য মহিমাদীপ্ত কোন স্থাপত্য, তাকেও সেই যুগের নন্দনতাত্ত্বিকেরা অমার্জিত এবং অশীষ্ট বলেই মনে করতেন। এর কারণ এই যে, ক্যাথেড্রালটি ডিজাইন করা হয়েছিল বর্বর জার্মান স্টাইলে। 

পরিশীলিত টাসকেনি (ইটালির একটা শহর) ধারার তুলনায় মিলান উত্তর ইউরোপীয় ঐতিহ্য দিয়ে অনেক বেশি প্রভাবিত ছিল। মিলান ছিল জনবহুল ও ঘিঞ্জি, দূষিত এবং হিংস্র শহর। আবহাওয়া ছিল গরমের সময় তীব্র গরম এবং শীতের সময় জমে যাওয়ার মত শীত। কিন্ত কোন এক অজ্ঞাত কারণে লিওনার্দো পছন্দ করে ফেলেছিল এই শহরকে। যে দুই দশক লিওনার্দো কাটিয়েছিলেন মিলানে, সেই দুই দশক ছিল তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় এবং সবচেয়ে সৃষ্টিশীল সময়। 

মেডিসি পরিবার যেমন পঞ্চদশ শতাব্দীতে ফ্লোরেনসের সমার্থক ছিল, ঠিক তেমনি মিলানের চরিত্রও তৈরি হয়েছিল এর অদম্য শাসক লুডোভিকো ফোরজার মাধ্যমে। 

লুডোভিকো ফোরজাকে তার গায়ের কালো বর্ণের কারণে মুর হিসাবে ডাকা হত। ফরাসী দখলের আগ পর্যন্ত, ১৪৭৬ থেকে ১৪৯৯ পর্যন্ত মিলানের একচ্ছত্র শাসনকর্তা ছিলেন তিনি। ফোরজা ছিলেন বহুমুখী মানুষ। বেশ শিক্ষিতও ছিলেন। সংস্কৃতিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের প্রতি তার আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। কিন্ত সেই তুলনায় প্রকৃত সৌন্দর্য অনুভূতির কোন বিকাশ তার মধ্যে ঘটেনি। লুডোভিকোর কাছে সবকিছুই ছিল রাজনীতি। সবকিছুই আবর্তিত হচ্ছে রাজনীতিকে কেন্দ্র করে। সামরিক ক্ষমতা বা কূটনীতির মত সংস্কৃতিও সেখানে শুধুমাত্র তার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তার উপলব্ধি হয়েছিল যে, পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজে শাসককে শ্রদ্ধা অর্জনের জন্য বুদ্ধিমত্তার সাথে সাথে কিছু ঐতিহ্যবাহী গুনাবলীও থাকা প্রয়োজন। 

কোন এক অজ্ঞাত কারণে লুডোভিকোর ধারণা ছিল যে তিনি বোধহয় বেশিদিন বাঁচবেন না। জীবিত অবস্থায় লোকে তার যতই গুরুত্ব দিক না কেন, মরে গেলে হয়তো কেউ মনেও রাখবে না। আর সে কারণে তার মধ্যে বিরাট কিছু করে যাওয়ার ইচ্ছা সুতীব্রভাবে কাজ করতো। যাতে করে মৃত্যুর পরও তার কীর্তি থেকে যায় এই ধরাধামে। আর সে কারণেই বিপুল অর্থ ব্যয়ে বিশাল সব স্থাপত্য প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলেন তিনি। বড় ধরনের শিল্পকর্মের জন্যও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন তিনি। অনেক পরে লিওনার্দো যখন লুডোভিকোর পৃষ্টপোষকতা পাওয়া শুরু করে তখন লুডোভিকোর এই আচরণ তার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। লিওনার্দো তার শিল্প সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই ধরনের তাড়াহুড়া এবং তাগাদাকে ভয়াবহভাবে অপছন্দ করতেন। তিনি তার নোটবুকে একবার লিখে রেখেছিলেন, আদেশ দেওয়াটা ভদ্রলোকের কাজ, কিন্তু সেই আদেশ পালন করাটা ভৃত্যের আচরণ'। 

লিওনার্দো তার নিজের মূল্য সম্পর্কে যথেষ্ট আস্থাবান ছিলেন এবং সেই সাথে উচ্চাকাংখীও ছিলেন। যে কারণেই তিনি মিলান এসে থাকুন না কেন, মিলানের রাজদরবারে নিজেকে পরিচিত করানোর সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন তিনি। তার নোটের মধ্যে লিখে রাখা বিখ্যাত এক চিঠি থেকেই এ বিষয়ে মোটামুটি ধারণা করা যায়। সেই চিঠিতে তিনি লুডোভিকো ফোরজাকে তার কি কি দক্ষতা দিয়ে উপকৃত করতে পারেন তার বিশদ বর্ণনা করা ছিল। লুডভিকোকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিটা ছিল এরকমঃ 

মান্যবর লর্ড,

 

দক্ষ উদ্ভাবকের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে বিবেচনা করে এবং প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্রের থেকে কোনক্রমেই পার্থক্য না থাকা যুদ্ধাস্ত্র তৈরির সমকক্ষতা হওয়ার সাপেক্ষে কোনরকম দ্বিধা না রেখেই আমি আমার সকল গোপন দক্ষতা মহামান্যের কাছে প্রকাশ করতে ইচ্ছুক। আমি আশা করবো তিনি তার সুযোগ এবং সময়-সুবিধা অনুযায়ী সেগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করবেন।

 

আমার খুব শক্তিশালী কিন্তু হালকা সেতুর মডেল আছে। সেগুলোকে খুব সহজেই বহন করা যায়।  ইচ্ছা করলেই যে কোন স্থানে স্থাপন করা যায় বা শত্রুর কাছ থেকে পালানোর সময় খুব সহজে খুলে নিয়ে যাওয়া যায়। আমার শক্তপক্ত সেতুও আছে, যেগুলো আগুন এবং শত্রুর আক্রমন প্রতিরোধ করতে দারুণভাবে সক্ষম। সেগুলোকেও খুব সহজেই স্থাপন করা যায় এবং কোন রকমের ঝামেলা ছাড়াই আবার খুলে নেওয়া যায়। শত্রুর সেতু ধ্বংস করা বা পুড়িয়ে দেওয়ার উপায়ও আমার জানা আছে বেশ ভাল করেই।

 

ঘেরাওয়ের সময় পরীখা থেকে কীভাবে পানি সরিয়ে ফেলতে হয় এবং কিভাবে অনির্দিষ্ট সংখ্যক সেতু, গুপ্ত পথ বা মই এবং এই ধরনের আরো যন্ত্রপাতি তৈরি করতে হয় তা আমার জানা আছে। যদি কোন কারণে বাঁধের উচ্চতা বা শক্তিশালী জায়গা বা আকৃতির কারণে বোমা বর্ষনের মাধ্যমে শত্রুকে কাহিল করা সম্ভব না হয়, কিভাবে সিটাডেল বা দূর্গকে ধ্বংস করতে হয় সেই পদ্ধতিও আমি জানি। এমনকি সেগুলো যদি পাথরেরও তৈরি হয় তাতেও কোন সমস্যা নেই।

 

আমার কাছে বাস্তবসম্মত মর্টার আছে, যা খুব সহজেই বহন করা যায়। এগুলো দিয়ে আমি এমনভাবে পাথর ছুড়তে পারি যে মনে হবে বৃষ্টির মতো পাথর বর্ষণ হচ্ছে। এর সৃষ্ট ধোয়া শত্রুর বুকে আতংক এবং সংশয় তৈরি করে দেবে।

 

যদি যুদ্ধ হয় সাগরে, সেক্ষেত্রেও আক্রমন এবং রক্ষণের জন্য আমার অনেক সুদক্ষ জলযান আছে। এগুলো কামানের গোলা, আগুন এবং বারুদ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

 

আমি জানি কিভাবে গোলক ধাঁধাঁ তৈরি করতে হয়, তৈরি করতে হয় গোপন সুড়ঙ। নিঃশব্দে সেগুলোকে খুঁড়তে পারি এবং অত্যন্ত জটিল বিন্যাসে নিয়ে যেতে পারি কোন নির্দিষ্ট জায়গায়। এমনকি পরীখা বা নদীর নিচ দিয়ে নিতে হলেও সেটা করে দিতে পারি।

 

মহামান্যের আদেশ হলে তৈরি করবো ঢাকনাযুক্ত গাড়ি, যা হবে নিরাপদ এবং অভেদ্য। শত্রুর সীমানায় তা ঢুকে যাবে তার কামান নিয়ে এবং ধ্বংস করে দেবে সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনীকেও। পদাতিক বাহিনী কোন বাধা এবং ক্ষতির সম্মুখিন না হয়েই সেগুলোকে অনুসরণ করে খুব সহজে ঢুকে যেতে পারবে শত্রুর এলাকায়।

 

প্রয়োজন হলে আমি তৈরি করবো বিশাল বোমাবর্ষক, মর্টার এবং অগ্নি নিক্ষেপক যন্ত্র। এই যন্ত্রগুলো হবে একই সাথে সৌন্দর্যমন্ডিত এবং কার্যকর। এবং অতি অবশ্যই সেগুলো হবে প্রচলিত যে সমস্ত এ ধররনের অস্ত্র আছে সেগুলোর থেকে ভিন্নতর।

 

বোমাবর্ষক যেখানে ব্যর্থ হবে সেখানে আমি তৈরি করবো ক্যাটাপালট, ম্যানগোনেলস (পাথর নিক্ষেপকারী যন্ত্র বিশেষ), ট্রাবোচি অথবা অপ্রথাগত অসাধারণ দক্ষ যন্ত্রসমূহ। মোদ্দাকথা, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমি আক্রমণ এবং রক্ষণের জন্য দ্রুতগতিতে অসংখ্য ধরনের যন্ত্র তৈরি করতে সক্ষম।

 

শান্তিকালীন সময়েও আমি মহামান্যের খেদমতে আসতে পারি। স্থাপত্যকলার এবং বিল্ডিং ডিজাইন বা জলব্যবস্থাপনা এবং সঞ্চালনে যে কোন সুদক্ষ ব্যক্তির সমপর্যায়ের দক্ষতা আমার রয়েছে।  আমি মার্বেল, ব্রোঞ্জ এবং মাটি দিয়ে ভাস্কর্য তৈরি করতে পারি। যে কোন উকৃষ্ট শিল্পীর মতই আমি যে কোন ধরনের চিত্রকলা আঁকতে পারি। সবচেয়ে বড় কথা, ব্রোঞ্জের এমন একটা ঘোড়া তৈরি করে দিতে পারবো যা সুবিখ্যাত ফোরজা পরিবার এবং আপনার স্বর্গত পিতার অপার মহিমা এবং মর্যাদাকে প্রতিফলিত করবে।

 

যদি উপরে উল্লেখিত কোন বিষয় কারো কাছে মনে হয় যে, অসম্ভব বা অবাস্তব। সেক্ষেত্রে আমি আপনার উদ্যানে বা আপনার মনোনিত অন্য যে কোন স্থানে হাতে কলমে সেগুলোর প্রদর্শন করতে প্রস্তুত। 

মোটামুটি নিশ্চিত যে এই চিঠিটা কখনোই পাঠানো হয়নি। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে লিওনার্দো অত্যন্ত যত্নের সাথে চিঠিটা লিখেছিলেন। এক ধরনের সিভি বা পোর্টফোলিও হিসাবে একে বিবেচনা করা যায়। তিনি হয়তো আশা করেছিলেন যে এর মাধ্যমে ফোরজাকে পর্যাপ্তভাবে মুগ্ধ করতে পারবেন। ফলে তার জীবিকা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। 

চিঠিটাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে বিশ্লেষণের যোগ্য। প্রথমেই যেটা চোখে পড়ে তা হচ্ছে যে সামরিক যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে তার দক্ষতার উপর ব্যাপক নির্ভরশীলতা। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় হচ্ছে ব্যাপকভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে এমন সব অস্ত্রের প্রতি লিওনার্দোর অতি উসাহ। তার মর্টার এমনভাবে অঝোর ধারায় পাথর ছুড়ে মারে যে মনে হবে পাথরের বৃষ্টি হচ্ছে। মর্টারের ধোয়া শত্রুকে আতংকের মধ্যে নিমজ্জিত করে এবং তাদেরকে হতবিহ্বল করে দেয়। এই মার মার কাট কাট জঙ্গি মনোভাব অবশ্য লিওনার্দোর ভেজিটেরিয়ান ইমেজের সাথে খুব একটা খাপ খায় না। 

এই অসঙ্গতিকে বুঝতে হলে লিওনার্দোর ব্যক্তিগত পরিস্থিতি, সেই সময়কার আবহ এবং সেই সাথে সাথে সেই যুগের নৈতিকতার কাঠামোকে বুঝতে হবে। পঞ্চদশ শতাব্দীর ইউরোপের অন্য শহরের মতই মিলানকেও তরবারীর জোরের উপরই টিকে থাকতে হয়েছিল। বিত্তশীল শহর হিসাবে এর অবস্থান ধরে রাখা কেবলমাত্র সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একটি শক্তিশালী সেনাদল থাকার মাধ্যমেই সম্ভবপর ছিল। ১৪৭০ সালের মধ্যে মিলান ইটালীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র উপাদনকারী শহরে পরিণত হয়েছিল। লিওনার্দ সে সম্পর্কে খুবই সচেতন ছিলেন এবং জানতেন যে এর মাধ্যমেই তিনি মিলানের রাজদরবারে স্থান করে নিতে পারবেন হয়তো। এর সে কারণেই হয়তো নিজের অশেষ গুণকীর্তন করে এরকম একটা চিঠি তিনি লিখেছিলেন। তবে যা লিখেছিলেন সেগুলো যে শুধু নিছক কথাবাজি ছিল না সেটা আজকে এতদিন পরে ঠিকই প্রমাণিত হয়ে গেছে। 

 

                                                                                     (চলবে)

মায়ামি, ফ্লোরিডা।                                                                      [email protected]                                                             

===============================================

মুক্তমনার মডারেটর, 'মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে' গ্রন্থের লেখক।