আয়ান হারসি আলি-নিঃসন্দেহে এই শতাব্দির অন্যতম নির্ভীক নারীবাদি খোট্টা মোল্লাদের এই গলাধাক্কা দরকার ছিল-যুক্তি যখন দরজা ভাঙে নাতখন তা করাত দিয়েই কাটতে হয় 

তবে আমি উনার কিছু বক্তব্যের সাথে একমত নই যেমন উনি বলেছেন  ইসলাম মানে নরকের আগুনের পোড়ার ভয়ে আল্লার কাছে আত্মসমর্পন বাস্তবে ব্যাপারটা তাই দাঁড়িয়েছে এখন-কারন বর্তমানে মুসলমানদের না আছে প্রকৃত বিজ্ঞান শিক্ষা-না ধর্ম শিক্ষা  অতীতে ইসলামের ইতিহাস ঘাঁটলে অন্যচিত্রই চোখে পড়ে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে যেখানে হিন্দু এবং খ্রীষ্টান ধর্মে নরকের ভয়ে মানুষ পোড়ানো হয়েছে, সুফী দার্শনিকরা-রুমি, আল-হাল্লাজ আল্লার নারকীয় শাসক রূপ সম্পূর্ন বাতিল করে, প্রেমিক আল্লার সাধনা করেছেন তখন ইসলামই ছিল বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতায় সব থেকে এগিয়ে থাকা ধর্ম নরকের সাধনা তারা করেন নি-তখন নরকের ভয়ে থাকত অন্য ধর্মের লোকেরা  আর এখন পুরোটা উলটে গেছে মুসলিমদের মধ্যে অজ্ঞানের অন্ধকার আরো বাড়ছে,  শিক্ষিত মুসলমানরা সস্তার জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য, ধর্মের সমালোচনা থেকে বিরত  থাকছেন  কোরানে বিজ্ঞানের সন্ধান করলে, না হবে আধ্যাত্মিক সাধনা-না জাগবে  বিজ্ঞান চেতনা এইসব বুজরুকি, আত্মপ্রবঞ্চনায় জীবন নির্বাহ করলে, এরা গাধা থেকে খোঁড়ানো গাধা হবেএটা খুবই দুঃখের ইসলামে জালালুদ্দিন রুমি, মনসুর আল হিলাজের  মতন সর্বোচ্চ মানের আধ্যাত্মিক দার্শনিক সত্যের যে আলো বিশ্ববাসীকে দিয়েছেন, তা  নিয়ে পড়াশোনা না করে-সেই শ্রেষ্ট আধ্যাত্মিক পথের সন্ধানে না থেকে- বর্তমান মুসলমান সমাজ  বুকাইলের কোরানিক বিজ্ঞান এবং শরিয়ার অধরা আফিং এ বেঁহুশ জাকির নায়েকের মতন  মুসলিম প্রচারকদের জ্ঞানের বহর এবং তজ্জনিত লাফালাফি চিড়িয়াখানায় খাঁচায় আবদ্ধ লম্ফরত বানরদের স্মরণ করায়-সাথে সাথে ইসলামিক সমাজে আধ্যাত্মিক এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের দেওলিয়াপনা দেখে দুঃখ ও হয়-এককালে এদের  কাছ থেকেই তো গোটা বিশ্ব শিখেছে! 

 ধন্যবাদ!
 
বিপ্লব


. বিপ্লব পাল, আমেরিকাতে বসবাসরত পদার্থবিদ, গবেষক এবং লেখক। এক সময় ভিন্নমতের মডারেটর ছিলেন, বর্তমানে www.fosaac.tv সম্পাদনার সাথে জড়িত।