জাহারুল ইসলামের উত্তরে

-বিপ্লব  পাল 

WRT:

https://gold.mukto-mona.com/Articles/azaharul_islam/protikriya_biplab.htm 

আজাহারুল ইসলামের লেখাটা পড়ে মার্ক্সের শেষ জ়ীবনের সেই খেদোক্তিটিই মনে বাঁধলো-আমি মার্ক্সবাদী নই। মার্ক্স যা চেয়েছিলেন-আর মাও লেনিন যা করেছেন, তার মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। চীনে  রমরমিয়ে ধনতন্ত্র চলছে। চীনের যাবতীয় উন্নতি এই ধনতান্ত্রিক কাঠামোতেই হয়েছে-তাও সমস্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। লেবারদের নুন্যতম অধিকার সেখানে ভারতের থেকেও কম। আমেরিকা, ইউরোপ শ্রমিকের স্বার্থের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে আছে। শুধু কমুনিজমকে লিপ সার্ভিস দিলেই সেটা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র? এটাত বাংলাদেশের বি এন পির সমর্থকদের মতন পরিচয়বোধের সংকট। কোকো কোকেন খেলে কি যায় আসে! ইসলাম রক্ষাত্রে দুটো ডায়ালোগ দিলেই সে সাচ্চা ইমান!   

যাইহোক আজাহারুল ভাইয়ের তোমরা-আমরা তত্ত্বটি, যা আদপেই কোন অংশে ধর্মীয় মৌলবাদের চেয়ে কম বিষাক্ত নয়-তা পরীক্ষা করা দরকার। তার আগেও তার তাত্ত্বিক ভুলটা-যা বিশ্বের যাবতীয় কমিনিউস্টরা করে থাকেন, তা ধরিয়ে দিই। 

সমাজ এবং মানুষকে বুঝতে বর্তমানে দর্শনের সবথেকে দুটো উর্বর শাখা  এম্পিরিসিজম এবং রিয়ালিজম। সমাজ এবং মানুষ  সম্মন্ধে আমাদের যা উপলদ্ধি-তার কিছু কিছু সার্বজনীন এবং তত্ত্বের পর্যায়ে ফেলা যায়-যা সমাজ বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত (এম্পিরিসিজম)। আবার অধিকাংশ সামাজিক উপলদ্ধি এবং বাস্তবতা মোটেও বিজ্ঞানের আঙিনাতে পড়ে না-তা একান্ত ই ব্যাক্তিগত উপলদ্ধি (রিয়ালিজম)। আর এই সীমারেখাটাও ঘোলাটে। যেমন ধরুনঃ 

 মানুষে মনে করে ঐশ্বরিয়া রায় সুন্দরী 

এটা সামাজিক বিজ্ঞান না বাস্তবতা? অধিকাংশ মানুষ মনে করে ঐশ্বরিয়া রায় সুন্দরী তাই এটাকে সমাজ বিজ্ঞানে ফেলা যায় কি? না এটা মানুষের বাস্তব একটা উপলদ্ধি? 

সমাজ বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে পপারিয়ান ফলসিফিকেশন শর্তটি আবশ্যিক ভাবে মানতে হয়। অর্থা পরীক্ষার ত্রুটির মাধ্যমে কোন সুত্রকে বিচার করতে হবে। 

দ্বান্দিক বস্তুবাদ, বিজ্ঞানের অলঙ্ঘ্য উপাদান। কিন্তু ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, যা সমাজের বিবর্তনকে সামন্ততন্ত্র থেকে ধনতন্ত্র, ধনতন্ত্র থেকে সমাজতন্ত্রে দেখে তা বিজ্ঞান (এম্পিরিসিজম) না বাস্তবতা ( রিয়ালিজম)?  ধনতন্ত্র থেকে সমাজতন্ত্রের উত্তরোনের একটাও উদাহরন আছে? বলশেভিক বিপ্লব নিরেপেক্ষ দৃষ্টিতে বা গণিতে দৃষ্টিতেও শ্রেফ ক্যাওটিক সিস্টেমে একটা এক্সিডেন্ট। কেন সেই প্রসঙ্গে একটু বাদে আসছি। 

তার থেকেও বড় কথা একটা সমাজকে ধনতান্ত্রিক , সমাজতান্ত্রিক এইভাবে ভাঙা যায় কি? ৫০০০ বছর আগে হরপ্পাতে ধনতান্ত্রিক কাঠামো ছিল না? না আমেরিকান সমাজে সামন্ততান্ত্রিক বা সমাজতান্ত্রিক পাটার্ন গুলো নেই?  এই ধরনের বিভাগ, শ্রেফ একধরনের সামাজিক উপলদ্ধি (রিয়ালিজম)-যা মোটেও বিজ্ঞানের পর্যায়ভুক্ত নয়। আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন-তাহলেই বুঝবেন আমি সমাজতন্ত্র এবং ধনতন্ত্রের কঠোর সমালোচক-কারন দুটি শব্দ ই উপলদ্ধি মাত্র-বৈজ্ঞানিক কিছু নয়।

http://biplabpal2000.googlepages.com/empiricism.pdf 

আমেরিকার অত্যাচারের কাহিনী আমি ১১টা অধ্যায়ে লিখেছি-আপনি সেগুলো পড়েন নি-তাই শ্রেনীশত্রু নামে ছায়াশত্রু তৈরী করে শুন্যে গদা আস্ফালন করছেন। আমেরিকার বিরুদ্ধে আমার লেখার সংখ্যা অন্য অনেকের থেকেই বেশী-পার্থক্যটা হচ্ছে আমি ভালো দিকটাও বলি। 

এবার আপনার বলশেভিক অক্টোবর-নভেম্বর বিপ্লবের কথায় আসি। আপনাদের ভাষায় ওটাত দুনিয়া কাঁপানো দশদিন। এবার আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিনঃ 

[১] ১৯১৭ সালে ফেব্রুয়ারী বিপ্লবের সময় বলশেভিকদের পায়ের তলায় মাটি ছিল?  না মার্ক্সিস্ট সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের নিয়ে কেও ভাবিত ছিল? লেনিন পরবাস কাটিয়ে রাশিয়াতে ফিরেছিলেন ১৯১৭ সালের তেশরা মার্চ। কেন বলুন ত?  সেই সময় এনার্কিস্ট বিপ্লবীরাই কি সব থেকে বেশী জনপ্রিয় ছিলেন না? তারা কি মার্ক্সিস্ট? না বাকুনীনের শিষ্য?  তারাই বলশেভিক পার্টির ওপর নিশেধাজ্ঞা তোলেন। এটা ভুলে গেলেন কেরেনাস্কি বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন বলেই লেনিন রাশিয়াতে ফিরতে পারলেন? 

[২] ১৯১৭ সালের জুলাই মাসে লেনিন আবার ফিনল্যান্ডে পালালেন-পেট্রোগাডে সেনারা, শ্রমিকরা তার কথা শুনে বিদ্রোহী হল না-কেরেনাস্কি ভালোই ম্যানেজ করলেন। তখনো বলশেভিকদের কোন বেস ই তৈরী হয় নি। সোভিয়েতের ধারনা তখনো জনপ্রিয় হয় নি। আরো আসল সত্য হল এনার্কিস্ট বিপ্লবীরা সোভিয়েতের ধারনা কে প্রথম থেকেই বর্জন করেছেন-তারাই ছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ-এটা ভুলে যাবেন না।

বলশেভিকদের গ্রেফতার করা হল। তাহলে হঠা করে শেষ দুমাসে মাসে বেসটা তৈরী হল কি করে? 

[৩] আগস্ট মাসে জেনারেল লভর কর্নিলভ , কেরেনাস্কিকে সরানোর চেস্টা করলেন। কেরেনাস্কি এবার বলশেভিকদের সাহায্য চাইতে বাধ্য হলেন। এটা জেনেও, বলশেভিকরা তাকেই সরাবে আগে। ট্রটস্কি নির্বিদিধায় রেড আর্মি গঠন করলেন। 

এবার বলুনত-জেনারেল কর্নিলভ যদি কেরেনাস্কির বিরুদ্ধে না যেতেন, ট্রটস্কি রেড আর্মি গঠন করতে পারতেন? না কেরেনাস্কি রেড আর্মিকে মেনে নিতেন বাধ্য হয়ে?  

জেনারেল কর্নিলভ কেরেনাস্কিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল না করতে চাইলে,  বলশেভিকরা আগস্ট মাসেই মুখ থুবরে পড়ে। কেরেনাস্কি যথেস্ট ই জনপ্রিয় ছিলেন-যদিও রুটি এবং চাকরীর অভাবে শ্রমিক এবং কৃষক শ্রেনীর মধ্যে হতাশা বাড়ছিল যা বলশেভিকরা ক্রমশ ব্যাবহার করেছেন। 

[৪] রেড আর্মি ক্ষমতা দখলের পর এনার্কিস্টদের সাথে বলশেভিকদের পাঁচ বছরের চোরাগুপ্ত যুদ্ধটা ভুলে গেলেন? এনার্কিস্টরা কেন লেনিন কে মানেন নি? কেন বার বার বলেছেন লেনিন বিপ্লবীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন? কারন এই বিপ্লবীরাই তাকে মাথায় করে এনেছিল একসময়। কেন তারা সোভিয়েত কে বলেছেন জারের দমননীতির অন্যপিঠ? এরাইত সংখ্যাগরিষ্ঠ বিপ্লবী ছিলেন-তারা কেন লেনিনকে বিপ্লবের বিশ্বাসঘাতক বল্লেন?  

আপনি রেফারেন্স চাইলে আমি অনেক রেফারেন্স দিতে পারি। বলশেভিকদের দিক দিয়ে দেখলে লেনিন মহানায়ক-এনার্কিস্ট বিপ্লবীদের দৃষ্টীতে দেখলে লেনিন বিপ্লবের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কারন ফেব্রুয়ারী বিপ্লবের প্রথম দাবী ছিল রাজনৈতিক বাক্ স্বাধীনতা-যার জন্যে বাকুনীনের শিষ্যরা ৭০ বছর ধরে জারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন-লেনিন এসে, বিপ্লবের নামে প্রথমেই রাজনৈতিক স্বাধীনতাতেই ছুরি চালালেন। 

চটি বই মার্কা বলশেভিক বিপ্লব শেখাবেন না। যেটাকে আপনারা বিপ্লব বলেন, এনার্কিস্ট সমাজবাদিরা বলে প্রতিবিপ্লব। কে ঠিক? এবার বুঝবেন সামাজিক বাস্তবতার জ্বালা। ইতিহাস যে- যেমন দৃষ্টি ভংগীতে দেখে-এর কোন বৈজ্ঞানিক সত্য হয় না। 

স্টালিন সম্মন্ধে আমার কিছু বলার নেই। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান বর্তমানে স্টালিনের অপরাধ হিটলারের সমগোত্রীয় কিনা তাই নিয়ে কমিশন বসিয়েছে। তারাই এটা ভাল বলবে। 

অর্থা তার অভিধানে বোধ হয় আদর্শবাদ শব্দের কোন বালাই নাই তাহলে তিনি গরীব বা সাধারণ মানুষকে কিসের স্বপ্ন দেখাবেন? যদি কাউকে কোন স্বপ্ন দেখাতে না চান, স্বপ্ন দেখাতে না পারেন তবে কেন এত লেখালেখির ছড়াছড়ি?” 

আজাহারুলের এই লেখা থেকেই সুষ্পস্ট তিনি মার্ক্স আদৌ পড়েন নি। তিনি কি জানেন মার্ক্সীয় বস্তুবাদ আদর্শবাদ বিরোধি? মার্ক্সীয় বস্তুবাদের মূল প্রতিপাদ্য ই হচ্ছে হেগেলিয়ান ডায়ালেক্টকে আদর্শবাদ থেকে মুক্ত করে বস্তুবাদে বসানো। তিনি কি জানেন, আদর্শবাদি সমাজতন্ত্রীদের প্রতি মার্ক্সের বক্তবটা কি? এই ভদ্রলোক যে আদর্শবাদি সমাজতন্ত্রী এবং মোটেও মার্ক্সবাদি নন ( যদিও মার্ক্স না পড়ে, ভুল ভাবে নিজেকে মার্ক্সবাদি ভাবেন) সেটা আরো পরিস্কার  

কারণ লড়াকু ইসলাম যে লড়াকু চরিত্র তার মধ্যে জন্ম লগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠিত  তাকে আজ বাগে আনা দরকার সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিশেষ করে সোভিয়েত রশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় জন্মগত ঐতিহ্যের অধিকারী লড়াকু ইসলাম সমাজতন্ত্রের শত্রুদের জন্য দরকার ছিল 

আপনার উপরোক্ত কথাগুলি ইসলামিক সমাজতন্ত্রীদের মনের কথা। এবার বলুনত-রাশিয়া যখন আফগানিস্থান আক্রমন করে-তখন আফগানিস্থানের মুসলিমরা সোভিয়েতের বিরুদ্ধে  যে লড়াই করছিল-সেই লড়াকু ইসলাম আপনার মনঃপুত কি না? না সেই লড়াকু ইসলামেও আপনি সমাজতন্ত্র শোষনমুক্তি দেখে থাকেন? 

আধ্যাত্মিকতা মানে আত্মঅনুসন্ধান। একজন মার্ক্সিস্ট ও আধ্যাত্মিক। শুধু তার পথটা মার্ক্সীয়। আমার পথটা বিজ্ঞানের পথ। আর আধ্যাত্মিকতার পথে মুক্তি-এটা আমি কোথায় লিখলাম? দেখাবেন? বন্ধন এবং মুক্তির ধারনার বৈজ্ঞানিক স্বরূপটা আমি এই প্রবন্ধে লিখেছি। পরিষ্কার দেখিয়েছি ওটাও একধরনের ইল্যুউশন 

http://biplabpal2000.googlepages.com/Bigganbad.pdf 

আস্তিক নাস্তিকদের মধ্যে কেন পার্থক্য করি না-সেটা প্রবন্ধে ই লিখেছি।  

 মানুষ অনেক হাইপোথিসিস নিয়েই বেঁচে থাকে। যারা ঈশ্বর নামক হাইপোথিসিস বিশ্বাস করে বেঁচে থাকে, তাদের সাথে আমার মূল পার্থক্যটা কোথায় বলবেন? সেও চাই তার সন্তান থাকুক দুধে ভাতে-আমিও তাই চাই। আসল জৈবিক সত্ত্বায় ত কোন পার্থক্য নেই। এই পার্থক্যটা আসলেই নেই-অথচ সবধর্মে বোঝানো হয়, ধার্মিকরা ভাল, নাস্তিকরা খারাপ। আপনি উলটোটা বললেন। আপনার সাথে তাহলে ধার্মিকদের পার্থক্যটা কোথায়? তারাও তোমরা-আমরা তত্ত্বে বিশ্বাসী-আপনিও তাই! 

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সমাজতন্ত্র, ধনতন্ত্র, হিন্দুত্ব, ইসলামের কোন অস্তিত্ব নেই। আমরা সবাই মানুষ হিসবে আসলে একগোত্রের-আমাদের জ়ৈবিক সত্ত্বা আসলেই হুবহু এক-অথচ ইসলাম, হিন্দুত্ব, সমাজতন্ত্র, ধনতন্ত্র-সব্বাই তোমরা-আমরা তত্ত্ব আবিষ্কার করে চলেছে, অথচ মুখে সেই ঐক্যের বাণী।

ইসলামে সব মানুষকে সমান বলা হল অথচ যারা ইসলাম মানবে না, তাদের জন্য খিস্তি আর বৈষম্যে ভর্ত্তি  কোরান। মুসলিম দেশে অমুসলীমরা টিকতেই পারে না! 

হিন্দুধর্মে মানুষকে বলা হল  অমৃতস্য পুত্র-অথচ শুদ্রদের প্রতি অমানবিক সব বিধান। 

সমাজতন্ত্রে সাম্যের গান গাওয়া হল-অথচ লেনিন, স্টালিন এবং মাও য়ে জমানায়, সেই আমলারাই দেশ চালিয়েছে-শ্রমিকদের ধনধন্ত্রে যেটুকু অধিকার আছে-সেটুকুও ইনারা দেন নি! 

http://biplabpal2000.googlepages.com/America11.pdf 

তাহলে বাস্তব কি দাঁডাচ্ছে? সবাই মানবতা, মানব সাম্যকে লিপ সার্ভিস দিচ্ছে-অথচ সিস্টেমটা দাঁড় করাচ্ছে সব থেকে অমানবিক! 

 কেন এমন হয়-সেটা বিশ্লেষন করতে গিয়ে স্যার কার্ল পপার বলেছেন-যারা  স্ব র্গের স্বপ্ন দেখায়, তাদের আসল স্বরূপটা হচ্ছে জাহান্নামের ব্যাবসাদার। 

আজাহারুল ভাই মার্ক্স এর রচনা কিছুই পড়েন নি-বাঙালী মার্ক্সীয় পন্ডিতদের চোতা বই পড়েছেন। আর আমার লেখাও সব পড়েন নি। সেটাও পরিষ্কার। যাইহোক মার্ক্সের ১৮৬০ সালের আগের লেখাগুলো পড়লে উনি বুঝতেন, আমি মোটেও মার্ক্সবিরোধি কিছু বলছি না। ১৮৬০ সালের পর, মার্ক্স এঙ্গেলেস নিজেই ঐতিহাসিক বস্তুবাদ নিয়ে মেতে ওঠেন। মার্ক্স আদর্শবাদের বিরুদ্ধে শুরু করেও, ঐতিহাসিক বস্তুবাদকে এক আদর্শবাদ হিসাবেই প্রতিষ্টা করে যান।  যেটা তার ঐতিহাসিক ভুল ছিল। আমি কিন্তু আদি মার্ক্সবাদেই আছি-শুধু বস্তুবাদি বিশ্লেষনে বিজ্ঞানের আধুনিক সত্যগুলিকে কাজে লাগাচ্ছি।  যা আদি-মার্ক্সবাদ। মার্ক্সের ভুলগুলো বর্জন করে ক্ষীরটা তুলে নেওয়া  অন্যায় কিছু নয়।    


. বিপ্লব পাল, আমেরিকাতে বসবাসরত পদার্থবিদ, গবেষক এবং লেখক। এক সময় ভিন্নমতের মডারেটর ছিলেন, বর্তমানে www.fosaac.tv সম্পাদনার সাথে জড়িত।