বিজয় দিবস ২০০৭-�?র বিশেষ রচনা
সৌজন�?যেঃ

আইন আছে, প�?রমাণ আছে, নেই উদ�?যোগ
বিচার না করে উল�?টো য�?দ�?ধাপরাধীদের সঙ�?গে আ�?তাত করেছে রাজনৈতিক সরকারগ�?ল

আরিফ�?র রহমান ও জাহিদ হোসেন

য�?দ�?ধাপরাধীদের বিচারের জন�?য স�?স�?পষ�?ট আইন, অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দা�?ড় করানোর জন�?য প�?রয়োজনীয় নানা উপাদানের উপস�?িথতি সত�?ত�?বেও বাংলাদেশে য�?দ�?ধাপরাধের বিচার আটকে আছে সরকারের সদিচ�?ছার অভাব আর সিদ�?ধান�?তহীনতার কারণে। বিশেষ করে রাজনৈতিক সরকারগ�?লো বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে য�?দ�?ধাপরাধীদের সঙ�?গে উল�?টো আ�?তাত করেছে ক�?ষমতায় যাওয়ার স�?বার�?থে অথবা ক�?ষমতা পাকাপোক�?ত করতে।
আইন ও সংবিধান বিশেষজ�?ঞদের সঙ�?গে কথা বলে ও ১৯৭৩ সালের ‘ইন�?টারন�?যাশনাল ক�?রাইমস (ট�?রাইব�?য�?নাল) অ�?যাক�?ট’ পর�?যালোচনা করে দেখা গেছে, ওই আইন অন�?যায়ী য�?দ�?ধাপরাধীদের বিচার করার দায়িত�?ব কেবলই সরকারের। �?মনকি �?ই আইনে দায়ের হওয়া মামলার অন�?সন�?ধানের জন�?য পৃথক তদন�?ত ইউনিট গঠনের ক�?ষমতাও দেওয়া হয়েছে সরকারকে। ৩৪ বছর ধরে দেশে �? আইন বলবৎ থাকলেও বিস�?নয়কর হলো, �?র আওতায় আজ পর�?যন�?ত কোনো সরকার মামলা দায়ের করেনি। ১৯৭৫ সালের পট পরিবর�?তনের পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক�?ষমতায় �?সে �? নিয়ে কোনো উচ�?চবাচ�?য যেমন করেনি, তেমনি বি�?নপিও বিভিন�?ন মেয়াদে ক�?ষমতায় থাকলেও য�?দ�?ধাপরাধীদের বিচারের কোনো উদ�?যোগ নেয়নি। যদিও আওয়ামী লীগ ও বি�?নপির �?কটি অংশ সম�?প�?রতি য�?দ�?ধাপরাধীদের বিচার দাবি করছে।
সেক�?টরস কমান�?ডার ফোরামের সদস�?য-সচিব ম�?ক�?তিযোদ�?ধা ডা. �?ম �? হাসান �? বিষয়ে প�?রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক সরকারগ�?লো দেশ পরিচালনায় যেমন নানাভাবে ব�?যর�?থতার পরিচয় দিয়েছে, তেমনি নিজেদের আমলে য�?দ�?ধাপরাধের মতো গ�?র�?ত�?বপূর�?ণ বিষয়টি �?ড়িয়ে গেছে বলেই আজ নিরপেক�?ষ তত�?ত�?বাবধায়ক সরকারের আমলে �?ই দাবি উঠেছে।
য�?দ�?ধাপরাধ, মানবতার বির�?দ�?ধে অপরাধ, হত�?যা, ধর�?ষণ �?বং অপহরণের মতো য�?দ�?ধকালীন অপরাধের বিচারের জন�?য ৩৪ বছর আগে ১৯৭৩ সালের ২০ জ�?লাই প�?রণয়ন করা হয় ‘ইন�?টারন�?যাশনাল ক�?রাইমস (ট�?রাইব�?য�?নাল) অ�?যাক�?ট’। শ�?ধ�? য�?দ�?ধাপরাধীদের বিচারের জন�?য হাইকোর�?টের সমমর�?যাদাসম�?পন�?ন �?ই ট�?রাইব�?য�?নাল গঠনের বিধান করা হয়।
আইন বিশেষজ�?ঞ ব�?যারিস�?টার আমীর-উল ইসলাম �? বিষয়ে প�?রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প�?রচলিত বিভিন�?ন আইনের মতো ইন�?টারন�?যাশনাল ক�?রাইমস অ�?যাক�?টও �?কটি। আইনটি অত�?যন�?ত শক�?তিশালী �?বং স�?বয়ংসম�?প�?র�?ণ।’ তিনি বলেন, আইন আছে, আছে য�?দ�?ধাপরাধ প�?রমাণ করার �?কাধিক তথ�?য, উপাত�?ত �?বং সাক�?ষ�?য। প�?রয়োজন শ�?ধ�? রাষ�?ট�?রীয় উদ�?যোগ; যা �?তকাল কোনো সরকারই নেয়নি।
সংবিধানের প�?রথম সংশোধনের মাধ�?যমে য�?দ�?ধাপরাধে অভিয�?ক�?ত আসামিদের জন�?য সব ধরনের মানবাধিকার বাতিল করা হয়। য�?দ�?ধাপরাধীদের বিচারের সময় প�?রচলিত সাক�?ষ�?য আইন �?বং কার�?যবিধির বদলে �? আইনের জন�?য নিজস�?ব কার�?যবিধির ব�?যবস�?থা রাখা হয়েছে। য�?দ�?ধকালীন বাস�?তবতায় সাক�?ষী পাওয়ার সীমাবদ�?ধতার কথা বিবেচনা করে আজ থেকে ৩৪ বছর আগে করা �?ই আইনে সংবাদপত�?রের খবর, দাপ�?তরিক নথি, ফিল�?ম �?বং রেকর�?ড করা টেপকে সাক�?ষ�?য হিসেবে গ�?রহণ করার বিধান রাখা হয়েছে।
আইন বিশেষজ�?ঞ ড. শাহ�?দীন মালিক আলাপকালে বলেন, য�?দ�?ধাপরাধী বিশেষ করে য�?দ�?ধাপরাধ ও মানবতার বির�?দ�?ধে অপরাধ করে থাকলে পাকিস�?তানি বাহিনী ও সেই কাজে তাদের সহায়তাকারী প�?রত�?যেকের বির�?দ�?ধে ইন�?টারন�?যাশনাল ক�?রাইমস (ট�?রাইব�?য�?নাল) অ�?যাক�?টে বিচার করা যাবে। তিনি বলেন, �? আইন অন�?যায়ী যেকোনো সময় য�?দ�?ধাপরাধীদের বিচারের জন�?য ট�?রাইব�?য�?নাল গঠন করা যাবে। �?ই আইনের আওতায় পাকিস�?তান সেনাবাহিনী �?বং তাদের সহযোগীদের �?খনো বিচারের আওতায় আনা সম�?ভব। ওই সময় রাজাকার, আলবদর, আল-শামস বাহিনী পাকিস�?তান সেনাবাহিনীর অধীনে কাজ করেছিল।
আইনে কী আছে: ১৯৭৩ সালের ২০ জ�?লাই জাতীয় সংসদে য�?দ�?ধাপরাধীদের বিচারের জন�?য আইন প�?রণয়ন করা হয়। �? আইনে তিন থেকে পা�?চ সদস�?যবিশিষ�?ট ট�?রাইব�?য�?নালকে হাইকোর�?টের সমমর�?যাদা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মামলা বিরতিহীনভাবে চলবে−�? ব�?যবস�?থার কথাও বলা হয়েছে।
�? আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, সশস�?ত�?র বাহিনী, প�?রতিরক�?ষা অথবা সহযোগী বাহিনী যেকোনো দেশের নাগরিকের বিচার করতে পারবে ট�?রাইব�?য�?নাল। �? আইন প�?রণয়নের আগে বা পরে আইন ভঙ�?গ করলে অপরাধীদের বিচারের ক�?ষমতা ট�?রাইব�?য�?নালকে দেওয়া হয়েছে। ৩ (২) ধারায় অপরাধের প�?রকৃতিগ�?লোও চিহ�?নিত করা হয়েছে। �?ই ধারা অন�?যায়ী হত�?যা, ধ�?বংস, জোরপূর�?বক অবর�?দ�?ধ রাখা, অপহরণ, নির�?যাতন, ধর�?ষণ প�?রভৃতি অপরাধ যখন কোনো বেসামরিক ব�?যক�?তির বির�?দ�?ধে করা হয়, তখন �? আইনে তার বিচার হবে। �? ছাড়া গণহত�?যা, য�?দ�?ধ আইনের লঙ�?ঘন �?বং আন�?তর�?জাতিক মানবাধিকার লঙ�?ঘনের অভিযোগে বিচার �? আদালতে হবে।
�? আইনের ৪ ধারায় ‘অপরাধের দায়’ সম�?পর�?কে বলা হয়েছে, সংগঠিতভাবে অনেকে মিলে অপরাধ সংগঠন করলেও সংশ�?লিষ�?ট প�?রত�?যেকে ব�?যক�?তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। �? ক�?ষেত�?রে ওই অপরাধ তিনি �?কাই করেছেন বলে সাব�?যস�?ত হবে।
�? আইনে আরও বলা হয়েছে, অপরাধ সংগঠনের নির�?দেশদাতা কমান�?ডার, ঊর�?ধ�?বতন কর�?মকর�?তা �?বং অপরাধে সরাসরি অংশগ�?রহণকারী প�?রত�?যেকেই �? আইনের ৩ ধারায় অপরাধের জন�?য দোষী হবেন।
�? আইনের ৩ ধারায় বর�?ণিত অপরাধের বিচারের জন�?য সরকার প�?রজ�?ঞাপনের মাধ�?যমে �?ক বা �?কাধিক ট�?রাইব�?য�?নাল গঠন করতে পারবে। প�?রতিটি ট�?রাইব�?য�?নালে �?কজন চেয়ারম�?যান �?বং সর�?বনিম�?ন দ�?ই বা সর�?বোচ�?চ চারজন সদস�?য থাকবেন। হাইকোর�?টের বিচারক হওয়ার যোগ�?যতাসম�?পন�?ন কেউ অথবা হাইকোর�?ট বা স�?প�?রিম কোর�?টের বিচারক হিসেবে দায়িত�?ব পালন করেছেন �?মন কাউকে ট�?রাইব�?য�?নালের চেয়ারম�?যান বা সদস�?য করা যাবে।
�? আইনে বিচারের জন�?য সরকার কৌ�?স�?লি নিয়োগ দিতে পারবে। �?মনকি সরকার চাইলে আইনের ৮ ধারা অন�?যায়ী �? ধরনের অপরাধ তদন�?তের জন�?য তদন�?ত সংস�?থাও গঠন করতে পারে।
বিচার প�?রক�?রিয়া: প�?রো বিচার কার�?যক�?রম চলবে ইংরেজিতে। তবে কারও প�?রয়োজন হলে সরকার দোভাষী নিয়োগ দেবে। ট�?রাইব�?য�?নালের বিচার সবার জন�?য উন�?ন�?ক�?ত থাকবে। তবে আদালত মনে করলে সাধারণের প�?রবেশে নিষেধাজ�?ঞা দিয়েও (ক�?যামেরা ট�?রায়াল) বিচার করতে পারেন।
আইনের ১৩ ধারায় বলা হয়েছে, বিচার কার�?যক�?রম স�?থগিত করা যাবে। তবে ট�?রাইব�?য�?নাল যদি �?ই মর�?মে সন�?ত�?ষ�?ট হয় যে, ন�?যায়বিচারের স�?বার�?থে ম�?লতবি প�?রয়োজন, তাহলে তা�?রা সে আদেশ দিতে পারবেন।
আদালত বৈধ মনে করলে যেকোনো সংবাদপত�?র, ম�?যাগাজিনে প�?রকাশিত খবর বা ছবি, ফিল�?ম ও রেকর�?ড করা টেপ সাক�?ষ�?য হিসেবে গ�?রহণ করতে পারবেন।
�? আইনের আওতায় দোষী ব�?যক�?তিকে মৃত�?য�?দন�?ডসহ উপয�?ক�?ত শাস�?তি দেওয়ার �?খতিয়ার আদালতকে দেওয়া হয়েছে। দন�?ডিত আসামি স�?প�?রিম কোর�?টের আপিল বিভাগে সাজা ঘোষণার ৬০ দিনের মধ�?যে আপিল আবেদন করতে পারবেন।
[প�?রথম আলো, ১৫ ডিসেম�?বর, ২০০৭]

[আর�?কাইভের বাংলা সেক�?‌শনের মেইন পেজ-�? ফিরে যেতে �?খান ক�?লিক কর�?ন]