অন্তর্ঘাত
(রাজনৈতিক উপন্যাস)
আবুল হোসেন খোকন
[ সত্তর দশক বিশেষ করে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে সামরিক শাসনের পটভূমিকে ভিত্তি করে এই রাজনৈতিক উপন্যাসটির অবতারণা। অপ্রকাশিত এ পাণ্ডুলিপির অংশবিশেষ ধারাবাহিকভাবে মুক্তমনায় তুলে ধরা হলো। লেখক ]
পার্ট - ৪
আবার সেই দোকান। এখানেই ক’দিন আগে এসেছিল বিনু আর বকুল। দোকানদারের নাম আনিস উদ্দিন। সবাই ডাকে আনিস দোকানদার বলে। শক্ত কড়াঘাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল আনিসের। অনেক রাত পর্যন্ত বেচা-কেনা করে দোকানেই ঘুমিয়েছিল। ভেবেছিল বেশ বেলা করে ঘুমুবে। কিন্তু ক্রেতাদের অত্যাচারে পারা যায় না। সকাল না হতেই ডাকাডাকি শুরু করে। আবার শব্দ করে কড়াঘাত হলো। একেবারে বেয়ারা কড়াঘাত। একটু গলা চরিয়ে আনিস বললো, ‘কিডা?’ কেও উত্তর দিলো না। বরং আগের চেয়েও বাজে এবং ধাপ্ ধাপ্ করে দরজায় ধাক্কালো কেও। ‘কিডা ডাকে?’ রাগত স্বরে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিয়ে উঠে বসলো আনিস। তারপর দরজা খুলতে লাগলো।
আবার ঘটঘট শব্দে আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে ঝট করে দরজার ডালাটা খুলে দিলো। হা হয়ে গেল আনিস। ওর দিকে লকলক করে তাকিয়ে আছে বেয়োনেট লাগানো একটা যুদ্ধাস্ত্র। ওটা ধরে রেখেছে দড়ি পেঁচানো হেলমেটধারী কিম্ভুতকিমাকার এক রক্তচোখা মিলিটারি। সঙ্গে আরও কয়েকজন। ওরা এমনভাবে আনিসের দিকে চেয়ে আছে যেন মিটিমিটি হেঁসে বলছে, ‘বাছা পালিয়ে যাবে কোথায়? এইতো ধরে ফেললাম।’
বেয়োনেট নাচালো সৈন্যটি। বেরিয়ে আসতে বলছে। ভয়ে ভয়ে দরজা গলিয়ে মাটিতে পা রাখলো আনিস। তখনই সবুট লাথি পড়লো বুকে, ‘বান্চোৎ, দেরী করলি ক্যান্, হাতিয়ার কোথায়?’ লুটিয়ে পড়ে গেল ও। আরও দু’জন ঝাঁপেিয় পড়লো তখন। অন্য একজন দরজা দিয়ে দোকানের ভিতরে ঢুকলো। সবকিছু উল্টে-পাল্টে শরু করলো তলাশী। বুটের আঘাতে আলু, মরিচ, ডাল আর মাটির পাত্রে রাখা মাল-পত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেল। সাব মেশিনগানের ধাক্কায় উল্টে গেল জিনিস-পত্র বোঝাই র্যাক। ক্যাশবাক্সের কাছে গিয়ে থামলো সেনাটি। একটানে ডালা খুলে ফেললো। এক টাকা পাঁচ টাকা দশ টাকা থেকে শুরু করে একশ’ টাকার নোটের স্তুপ ছিল। শটাশট ওগুলো তুলে সেনাটি প্যাণ্টের পকেটে ঢোকালো। তারপর এদিক-ওদিক তাকিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো। বললো, ‘নাই, কিছু নাই।’
দাঁড় করানো হয়েছিল আনিসকে। ধাপ্ ধুপ্ করে আরও কয়েকটা বুটের লাথি হাঁকানো হলো ওর শরীরে। অশ্লীল গালি দিয়ে একজন সেনা জিজ্ঞেস করলো, ‘বল্ হাতিয়ার কোথায় রেখেছিস্? দরজা খুলতে দেরী করলি কেন?’ জবাব দেয়ার জন্য মুখ খুলছিল আনিস। কিন্তু তার আগেই সাব মেশিনগানের বাঁটের আঘাতে আবার মটিতে পড়ে গেল। একজন সৈন্য ওকে টেনে দাঁড় করিয়ে তারপর জিজ্ঞেস করলো, ‘ওরা কোথায়?’
‘ওরা? কারা স্যার?’ হতভম্ব আনিস কোন রকমে বললো। বুকের ওপর রাইফেলের কুঁদো এসে পড়লো, ‘বান্চোৎ, ওরা কারা জানিস না?’ সেনাটি ঠেলে একটা গাছের কান্ডের কাছে নিয়ে এলো ওকে। এই সুযোগে আনিস তাকিয়ে দেখলো গ্রামের সর্বত্র মিলিটারি গিজগিজ করছে। সবে সকাল। সূর্য উঠছে। কিন্তু সাত সকালে এসব কি দেখছে আনিস! স্বপ্ন না সত্যি? ঠিকমতো ঠাঁহর করতে পারছে না ও।
ছড়িয়ে থাকা মিলিটারির দল বাড়ি বাড়ি ঢুকছে। তল্লাশী করছে। যুবক-তরুণদের বেদম প্রহার করছে। লাথি মারছে বয়স্কদের। যতোদূর চোখ যায় শুধু অত্যাচার আর নির্যাতনের দৃশ্য। গ্রামটায় যেন হঠাৎ পিশাচের দল ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
******************
সকাল সাড়ে আটটা মতো। গোটা গ্রামে তল্লাশী অভিযান শেষ করেছে সামরিক বাহিনী। এবার যুবক-তরুণ-বয়স্ক এবং মহিলাদের অনেককে ধরে নিয়ে স্কুল মাঠ, খেলার মাঠ অথবা বড় কোন উঠোনে দাঁড় করানো হয়েছে। সৈন্যরা বহু দলে ভাগ হয়ে আলাদা আলাদাভাবে এই কাজে অংশ নিয়েছে।
এর একটি অংশের দৃশ্য। যৌথ পরিবারের অনেকগুলি ঘর। বাইরে মাঠের মতো বড় উঠোন। সেখানে দাঁড় করানো হয়েছে ৫০/৬০ জন মানুষকে। এদের মধ্যে যুবক-তরুণ-বয়স্ক এবং মহিলা রয়েছেন। শিশুদেরকেও এক জায়গায় জড়ো করা হয়েছে। সৈন্যরা ঘিরে রেখেছে সবাইকে। একজন অফিসার কিছু নির্দেশ দিলো। আটক লোকদের এবার বসতে বলা হলো। আতঙ্কিত এবং দিশেহারা মানুষগুলো অক্ষরে অক্ষরে নির্দেশ পালন করলো। এরপর শুরু হলো বাছাই পর্ব। যুবক এবং তরুণদেরকে আলাদা করে বসানো হলো। বয়স্কদের আলাদা করা হলো। মোট চার ভাগে ভাগ করে বসানো হলো মানুষগুলোকে। শিশুদের যেখানে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল, ওদের সেখানেই রাখা হলো।
চারপাশে ইতস্ততঃ ঘুরছে হেলমেট এবং অনেক রকমের প্যাক বাধা সৈন্যরা। ওদের হাতের একে-৪৭ রাইফেলগুলোর বাঁট বগলতলায় রাখা এবং নলগুলো কিছুটা মাটির দিকে নিচু করা। একজন অফিসার বেতের ছড়ি হাতে পাইচারি করছে, আর মাঝে মাঝে পায়ের দিকে প্যাণ্টের ওপর শটাশট ছড়ি দিয়ে আঘাত করছে। হঠাৎ বন্দি মানুষগুলোর দিকে আগুন চোখে তাকালো সে। প্রত্যেকটি মানুষকে চোখের আগুনে যেন ভস্ম করে দিতে চাইলো। তারপর হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠলো, ‘বানচোৎ, মাদারচোতের বাচ্চারা। তোদের সবাইকে খুন করে ফেলবো। ক্যাম্পে ধরে নিয়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করাবো। বান্চোৎ, তোমরা ডাকাতদের আশ্রয় দাও। শালাদের হাতিয়ার লুকিয়ে রাখো। বল্ মাদারচোতের বাচ্চারা হাতিয়ার কোথায়?’ ধাঁই করে সামনের এক মধ্য বয়সীকে লাথি হাঁকলো অফিসার। সবুট লাথি খেয়ে ছিটকে পড়লো লোকটি। তার উপর আরও কয়ে ঘা ছড়ির আঘাত হানা হলো। গোঙাতে থাকলো মানুষটি।
আবার পাইচারি করতে করতে অফিসার এক যুবকের চুলের মুঠি খাঁমচে ধরলো। তারপর হাঁটু চালিয়ে তাকে ঠেলে দিলো সামনের সৈনিকের কাছে। নির্দেশ দিলো, ‘পিঠের চামড়া তুলে ফেলো।’ সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন সৈন্য রুলার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো যুবকটির ওপর। বিকট চিৎকারে কেঁপে উঠলো এলাকা। কিন্তু বেপরোয়া রুলারের আঘাত থামলো না। লুটিয়ে পড়লো যুবক।
আবার চিৎকার করে উঠলো অফিসার, ‘বল্ বান্চোতের বাচ্চারা হাতিয়ার কোথায়? মাদারচোতরা কোথায়? না বললে সবক’টাকে পিটিয়েই মেরে ফেলবো।’
এতক্ষণ ফুঁপিয়ে কাঁদছিল মহিলারা। শিশুদের চোখে পানি। যুবকটির চিৎকারে এবার সবাই ডুকরে উঠলো। কয়েকজন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা অকস্মাৎ অফিসারের পায়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো। বললো, ‘আমরা কিছু জানি না বাবা, ছাওয়ালটাকে ছেড়ে দাও বাবা। আ মরা ছাওয়াল, মরে যাবে।’ অফিসার এবং সৈন্যদের লাথি খেয়ে ছিটকে গেল সবাই। চিৎকার করে জবাব দিলো, ‘হাতিয়ার এবং ডাকাতের দল কোথায় আছে বল্, তাহলে ছেড়ে দেবো। বল্?’
প্রায় ৮০ বছরের মতো বয়স্ক এক বৃদ্ধ হাতজোড় করে বললো, ‘বিশ্বাস করো বাবারা, আমাদের এই গ্রামে কুনু ডাহাত নাই। খুব ভালো গাঁও এডা।’ বৃদ্ধটির দিকে ঠিক কেউটে সাপের মতো এগিয়ে গেল এক দশাসই সেনা। সে ঘাড় ধরে দাঁড় করালো বসে থাকা বৃদ্ধকে।। তারপর বললো, ‘বাল্ তো মনে হয় একটাও কাঁচা নেই। মাদারচোৎ কাঁহেকা! ডাকাত নাই তাহলে অস্ত্র নিয়ে যারা ঘোরে তারা কি ফেরেস্তা? যাদেরকে বাড়িতে বসিয়ে আদর করে খাওয়াস্ তারা কি তোর জামাই? বান্চোৎ, মরার বয়স হয়ে গেল, তাও মিথ্যা কথা ছাড়ো নাই। পাছার মধ্যে রুলার ঢুকিয়ে মিথ্যা বের করে দেবো শালা বান্চোৎ।’ ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়া হলো বৃদ্ধকে। উল্টে পড়ে গেল বেচারা। কোন রকমে উঠে তিনি কাঁদতে লাগলেন।
অফিসার কিছু ইঙ্গিত করলো। সৈন্যটি থেমে দাঁড়ালো। হাতের ছড়িটা শপাং শপাং করে নিজেরে পায়ে বসালো অফিসার। জ্বলন্ত চোখে সবাইকে পর্যবেক্ষণ করলো। তারপর বন্দিদের মুখোমুখি দাঁড়ালো, ‘বান্চোতের বাচ্চারা, সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে বলে মনে হচ্ছে না। বাঁকা না হয়ে উপায় নেই দেখছি।’ কয়েকজন বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা হাউমাউ করে উঠলো। জোড়হাত করে আল্লাহ’র দোহাই দিয়ে কিছু বললো তারা। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গুঞ্জন তুললো অন্যান্যরাও। ‘শাট আপ’ গর্জে উঠলো অফিসার। সঙ্গে সঙ্গে থেমে গেল কাকুতি-মিনতি। চেচিয়ে বললো অফিসার, ‘এই গ্রামে কারা কারা ডাকাতি করে, অস্ত্র নিয়ে ঘোরে, তারা এখন কোথায়? না বললে কোন মাদারচোতের জীবন থাকবে না। বল্ বান্চোতের বাচ্চারা সব বলবি কি না?’
নিশ্চুপ বন্দিরা। কেও কথা বললো না। একজন মুরুব্বি মুখ খুললেন হঠাৎ, ‘বাবারা, আমরা মুরুক্ষু মানুষ, জমি-জিরাতের কাম কইরা খাই। এহানে ডাহাত আসবি ক্যাম্নে? তয় একজন ডাহাত আছে।’ ‘কই, কোথায়? হাতিয়ার আছে তার কাছে?’ আগ্রহে চিৎকার করে উঠলো অফিসার। মুরুব্বি জবাব দিলো, ‘আছিলো ছ্যার। থানার পুলিশরে দিয়া দিছে। অনেকগুলো কেস আছে। পুলিশের লগে খাতির আছে। কিন্তুক ডাহাতি ছাড়ে নাই।’ প্যাণ্টের উপর ছড়ি চালাতে চালাতে অফিসার বললো, ‘কোথায় সে, কি নাম?’ মুরুব্বি বললো, ‘নাম নিজাম স্যার। বাড়ি ওই গাঁওয়ের কোণায়। কিন্তু বাড়িত কেও নাই স্যার। আমরা গেরামের মানুষ এক হইয়া ওই ডাহাত্রে খেদাইয়া দিছি।’
এ সময় সৈন্যদের সঙ্গে আসা এক পুলিশ কর্মকর্তা মিলিটারি অফিসারটির কানে কানে বললো, ‘স্যার, আমাদের ওই ইনফরমারের কথা বলছে স্যার।’ চোখ পাকিয়ে পুলিশের কথা শুনলো অফিসার। তারপর হুঙ্কার দিয়ে উঠলো, ‘বান্চোৎ, একজন ভাল লোককে ডাকাত বলো! সিপাহি, হাঁকাও বান্চোৎকে।’ একে-৪৭ হাতে ঝাঁপিয়ে পড়লো এক সৈন্য। পিটিয়ে আধমরা করে ফেলা হলো মুরুব্বিকে।
ঘড়ি দেখলো অফিসার। কিছু একটা কমান্ড করলো। মারপিট বন্ধ করলো সৈন্যটি। অফিসার আবার ইঙ্গিত করলো। এবারে বয়স্ক বন্দিদের ভেতর থেকে মোট পাঁচজনকে বাছাই করা হলো। এদের মধ্যে একজন ৪০/৫০ বছর বয়সী মহিলাও আছেন। সৈন্যরা মাটিতে ২০টি খুঁটি পুতলো। গরুর গোয়াল থেকে এসব সংগ্রহ করা হয়েছে। আরো সংগ্রহ হলো গরুরর দড়ি। এবার এক একজনকে মাটিতে উপুর করে শোয়ানো হলো। হাত-পা টানটান করা হলো। তারপর খুঁটিগুলোর সঙ্গে সেই হাত-পা শক্ত করে বাধা হলো। শুরু হলো বেতের ছড়ি দিয়ে আঘাত। একজন বন্দির উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো তিনজন করে সেনা। তাদের ছড়ি অবিরাম আঘাত হানতে থাকলো পা, শরীরের পিছনের অংশ এবং পিঠের উপর। হাত-পা বাধা মানুষগুলোর গগনবিদারী চিৎকারে প্রকম্পিত হয়ে উঠলো গোটা আকাশ-বাতাস।
একইভাবে নির্যাতন চলছে গোটা গ্রাম জুড়ে। এলাকার আকাশ-বাতাস তাই পাল্লা দিয়ে এ সম্মিলিত চিৎকারের শব্দ বুকে ধারণ করছে।
নির্যাতনের পাশাপাশি অন্যান্য বন্দিদের জেরা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘ডাকাতদের’ ধরিয়ে না দিলে এবং তাদের অস্ত্র-শস্ত্র না দিলে পিটিয়ে মেরে ফেলা হবে তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়দের। গ্রামের সমস্ত যুবক-তরুণদের মিলিটারি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। আর জ্বালিয়ে দেওয়া হবে সব মানুষের বাড়ি-ঘর। গোটা গ্রাম ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখানো হলো।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেনারা তেমন কোন তথ্য পেলো না। পেলো না অস্ত্র আর ‘ডাকাত’ দলকে। তবে সেনারা চিহ্নিত করলো অনেকগুলো মানুষের বাড়ি, বাছাই করলো অনেক তরুণ আর যুবককে।
***************
আবার সেই জোনাব আলী। বেলা এখন প্রায় সাড়ে ১০টা। জোনাব আলী দ্বিতীয়বারের মতো হতভম্ব হয়ে দেখলো, তার বাড়ির পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে সারি সারি মিলিটারি। ওদের পকেটগুলো ভর্তি। হাতে নানা ধরনের পুটলি। হয়তো লুটপাটের মাল! জোনাব আলী দেখলো, শুধু মিলিটারিই নয়। ওদের সঙ্গে রয়েছে বহু তরুণ আর যুবক। সবাই বন্দি। ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দূরের গ্রামটির দিকে একনজর তাকিয়ে জোনাব আলী দেখলো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে যাচ্ছে। হয়তো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘর-বাড়ি।
হ্যাঁ, পাইকারী হারে লুট, অত্যাচার-নির্যাতন, ধর্ষণ আর বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পর অপারেশন শেষ হয়েছে সেনা দলটির। এখন বন্দিদের নিয়ে তারা ফিরে যাচ্ছে সেনা ছাউনিতে। একটা স্বাধীন দেশে এ দৃশ্য হতভম্ব করার মতোই। সুতরাং জোনাব আলী হতভম্ব হলো।
---- চলবে ----
আবুল হোসেন খোকন : লেখক-সাংবাদিক, কলামিস্ট ও মানবাধিকার কর্মী।