Mullah's double standard

Shamim Chowdhury

Published on September 20, 2007

 

It is sometime ago, November of 1998 Kishor Kontho a monthly magazine of Islami Chatra Shibir printed a very similar joke. No one of these Islamic sole agents at that time or now demanded that keeper of that joke or the editor of the magazine should be brought to justice and magazine license should be revoked. Readers of that joke took it as mere fun with the spirit of the section titled “ Hashir Baksho”.


 

একই অপরাধে পার পেয়ে গেছে জামাতি প্রকাশনা কিশোরকণ্ঠ

কাগজ প্রতিবেদক : দৈনিক প্রথম আলোর রম্য সাময়িকী আলপিনে মহানবী হযরত মুহম্মদকে (সাঃ) অবমাননা করে কার্টুন ও কৌতুক কাহিনী ছেপে যে অপরাধ করা হয়েছে জামাতে ইসলামীর কিশোর প্রকাশনা ‘কিশোরকণ্ঠ’ও কার্টুন ও একই রকম কৌতুক ছেপে একই ধরনের অপরাধ করেছিল। একই অপরাধে প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট প্রদায়ক কার্টুনিস্টকে গ্রেপ্তার, আলপিনের সংশ্লিষ্ট সংখ্যা বাজেয়াপ্ত করা দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা ও ঐ কার্টুন কাহিনী প্রত্যাহার করে নিয়ে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। অথচ একই ধরনের অপরাধ করার পরেও কিশোরকণ্ঠ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বির"দ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি পত্রিকা কর্তৃপক্ষও পরে কোনো ধরনের ক্ষমা বা ভুলের প্রার্থনা বা ভুলের কথা স্বীকার করে তা প্রত্যাহার করে নেয়নি।

 

 

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী দল জামাতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের মাসিক কিশোর প্রকাশনা কিশোরকণ্ঠের ১৯৯৮ সালের নভেম্বর সংখ্যায় মুহম্মদ (সাঃ)-এর নামের সঙ্গে জড়িয়ে একটি কার্টুন ও সম্প্রতি প্রথম আলোর আলপিনে প্রকাশিত কৌতুকটির অনুরূপ কৌতুক ছাপা হলেও প্রকাশনাটি ও এর সঙ্গে জড়িত শিবির নেতাদের বির"দ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি আলেম সমাজ বা ইসলামি কোনো দলও এর প্রতিবাদ করেনি। অথচ সম্প্রতি প্রথম আলোর রম্য ম্যাগাজিন আলপিনে ভুলবশত ও অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি অগ্রহণযোগ্য ও অমনোনীত কার্টুন কাহিনী হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর নামের সঙ্গে জড়িয়ে ছাপায় পত্রিকাটির পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া, কার্টুন কাহিনী প্রত্যাহার করা এবং সরকারের পক্ষ থেকে আলপিনের ঐ সংখ্যা বাজেয়াপ্ত করা, কার্টুনিস্টকে গ্রেপ্তার ও সংশ্লিষ্ট একজনকে চাকরিচ্যুত করার পরেও জামাতসহ কিছু উগ্র ইসলামি মৌলবাদী দল এই নিয়ে রাজনীতি করতে চাচ্ছে। এর নেপথ্যে জামাত কলকাঠি নাড়লেও তাদের প্রকাশনায় যখন মুহম্মদকে (সাঃ) অবমাননা করে আলপিনের মতো কার্টুন ও কৌতুক ছাপা হয়েছিল তখন তারা নীরব ছিল। কিশোরকণ্ঠ ঐ কৌতুক কাহিনী বা ঐ সংখ্যাটি বাজেয়াপ্ত বা প্রত্যাহার বা কারো বির"দ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল এমন কোনো নজির পাওয়া যায়নি। কোনো সরকারি ব্যবস্থা বা প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কথাও জানা যায়নি।

কিশোরকণ্ঠের ১৯৯৮ সালের নভেম্বর সংখ্যায় ‘হাসির বাকসো’ বিভাগে মুহম্মদ (সাঃ)-এর নাম নিয়ে যে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনের সঙ্গে যে কৌতুকটি ছাপা হয়েছিল সেটি পাঠিয়েছিলেন ফেনীর আমিরাবাদ এম এম ইস সি মাদ্রাসার ছাত্র মুহাম্মদ মাসুদ। কিশোরকণ্ঠের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উপদেষ্টা সম্পাদক মোশাররফ হোসেন খান, সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মুহম্মদ জাহিদুর রহমান, নির্বাহী সম্পাদক মুহম্মদ রেজাউল করিম এবং অলংকরণ ও শিল্প নির্দেশক হামিদুল ইসলাম। এর মধ্যে সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান যথাক্রমে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত অন্যরাও জামাত ও শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।