মোহাম্মদের কি মৃগীরোগ ছিল?
ক্রিস্টোফার হিচেনস
অনুবাদ: অগ্নি অধিরূঢ়
ইসলাম একটি স্বতন্ত্র ধর্ম কিনা এ বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন করে । এই ধর্ম আরবদের নিজস্ব ভাষায় তাদের যাবতীয় প্রয়োজনকে মেটাত। মেসিডোনিয়ার আলেকজান্ডার যখন আক্রমণাত্মক ছিল না তখনই তিনি আদর্শগত দেউলিয়াত্বে ভুগেছিলেন। অবশ্য ভূমধ্যসাগর ও বলকান অঞ্চলের চমক তাকে একেবারে নি:স্ব করে দিয়েছিল। কিন্তু ইসলামকে বিশ্লেষণ করলে পুরনো নীতি-দর্শনের চুরি করা এলোমেলোভাবে সাজানো কথার ফুলঝুরি ছাড়া অন্য কিছু মনে হয় না।
প্রাচীন পুস্তক এবং প্রথাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে এটা গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে আর্নেস্ট রেনান (Ernest Renan) যতটা গুরুত্বের সাথে বলেছিলেন, সেই 'ইতিহাসের আলোময় আবির্ভাব' এর ধারেকাছেও ইসলাম নেই। ইসলাম যে সব তত্ত্ব ধার করে তৈরি করা হয়েছে, সে সবকেও ভালভাবে আত্মস্থ করতে পারেনি। বরং ধার করা নীতি-আদর্শসমূহের প্রচ্ছায়া হয়ে গেছে। বরং এটা নিজেই নিজের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তৈরি করেছে। বিনাশর্তে দাসত্ব স্বীকার, জঘন্যভাবে আত্মসমর্পণ, মতভিন্নতা এবং অবিশ্বাসীর কাছ থেকে শ্রদ্ধা আদায়ের অপচেষ্টা ইসলামকে বিতর্কিত করে তুলেছে। বিনা বিচারে মেনে নেয়া বা তার ঔদ্ধত্যকে নির্মোহভাবে বিচার করার বিষয়ে ইসলামের কোন শিক্ষা নেই। না, কোনই শিক্ষা নেই।
আমাদের হিসাব মতে নবী ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মারা গেছেন। মৃত্যুর সম্পূর্ণ ১২০ বৎসর পরে তার পূর্ণাঙ্গ জীবনকাল ইবনে ইসহাক তৈরি করেছেন। এর মূল কপি হারিয়ে গেছে। পরবর্তীতে ৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে মারা যাওয়া ইবনে হিসাম কর্তৃক পুনর্লিখিত কাহিনীর মধ্য দিয়ে নবীকে আমরা চিনতে পারি।
জনরব এর উপর নির্ভর এই অস্পষ্ট জীবনী মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। শোনাকথার উপর ভিত্তি করে নবীর অনুসারীরা কোরানকে যেভাবে সাজিয়েছেন তাকেও মেনে নেয়া যায় না। অথবা নবীর বিভিন্ন বক্তব্যকে (যার বেশিরভাগ সেক্রেটারি কর্তৃক লিখিত) কিভাবে সঙ্কলিত করা হয়েছে তার কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই। খ্রিস্টানদের সমস্যার চাইতেও এই সমস্যা বেশি জটিল। যিশুর মত মৃত্যুর পরে পুনরুত্থান মোহাম্মদের ক্ষেত্রে ঘটেনি। যিশুর যেমন কোন বংশধর ছিল না, মোহাম্মদের ক্ষেত্রে তেমনটাও ঘটে নি। মোহাম্মদ একজন যুদ্ধবাজ অধিনায়ক এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন। মেসিডোনিয়ার আলেকজান্ডারের মত মোহাম্মদ নি:সন্তান ছিলেন না। তারপরও তার স্থানে কে বসবে সে বিষয়ে কোন নির্দেশনা দিয়ে যান নি। তিনি মারা যাবার প্রায় সাথে সাথে নেতৃত্ব নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। তিনি মারা যাবার সাথে সাথেই ইসলাম ভেঙে শিয়া ও সুন্নী দু'ভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। কোন মতবাদের ত্রুটি চিহ্নিত করা ছাড়া আমাদের কোন সম্প্রদায়ের পক্ষাবলম্বন করার দরকার নেই। জাগতিক খলিফার পদের জন্য ঝগড়া, বিবাদ, লড়াই, দাঙ্গা ইসলামের প্রাথমিক পরিচয়কে স্পষ্ট করে তোলে। নবরি ছেড়ে যাওয়া পোষাক কে পড়বে তা নিয়ে যে ধরণের ঝগড়া ফ্যাসাদ ইসলামের প্রাথমিক যুগে হয়েছে তাতে ইসলামকে প্রথম থেকেই মানুষের তৈরি বলে চিহ্নিত করেছে।
মোহাম্মদ মারা যাবার অব্যবহিত পর আবু বকর খলিফরর দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। এই সময়ে কয়েকজন মুসলিম নেতা সন্দেহ করেন যে মোহাম্মদের বাণী মানুষ হয়ত ভুলে গেছে। সেই সময়ে বিভিন্ন যুদ্ধে অসংখ্য মুসলিম সৈন্য মারা গেছে। মোহাম্মদের কাছাকাছি থেকে যারা নিজ কানে তার বিভিন্ন বক্তব্য শুনেছে তাদের সংখ্যা আশংকাজনকহারে কমতে শুরু করেছিল। তখন জীবিতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় তথ্যকে সংরক্ষণের কথা চিন্তা করা হল। কাগজ, পাথর, তালপাতা, হাড়, চামড়া ইত্যাদি মাধ্যমে লিখে রাখা শুরু হল। এই লেখাগুলোকে পাণ্ডুলিপি হিসেবে নবীর প্রাক্তন সচিব জাইদ বিন তাহবিত এর কাছে এর সবগুলো জমা রেখে সংরক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হল। এই সংগ্রহ সম্পূর্ণ হবার পর বিশ্বাসীরা একটি যথাযথ তথ্যসূত্রের আকর বলে স্বীকৃতি দিল।
এই ঘটনার যথার্থতা বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় কোরান এবং মোহাম্মদের জীবন কাল সমসাময়িক। এতে উপরের কাহিনীর সময়কাল নিয়ে দলমত নির্বিশেষে কোন ঐক্যমত্য নেই। কেউ বলে 'আলি প্রথম নয়, সে চতুর্থ খলিফা এবং শিয়া মতবাদের প্রবক্তা।' অন্যরা বিশেষত অধিকাংশ সুন্নীর দাবী এটা খলিফা ওসমানের কাজ। তিনি ৬৪৪ থেকে ৬৫৬ সার পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। তিনিই শিয়া সুন্নী বিভেদটাকে পাকাপোক্ত করেছেন।
ওসমানের সেনাপতি একদিন বলছিল যে, কোরানের পরস্পরবিরোধীতা নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা সৈন্যরা মাঝেমধ্যেই মারামারি করে। তখন ওসমান কোরানের বিভিন্ন অংশগুলো। একখানে জড়ো করার জন্য জায়েদ ইবনে তাহবিতকে (Zaid ibn Tahbit) আদেশ দেন। বিভিন্নরকম কোরান একখানে জড়ো করে একটি একক কোরানে রূপান্তর করা হয়। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে খলিফা ওসান সেগুলোর কপি কুফা, বসরা, দামেস্কসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেন। আর একটি কপি মদিনায় রেখে দেন। এই ক্ষেত্রে ওসমান একটি বিশেষ কাজ করেন। আলেকজান্দ্রিয়ার বিশপ আথানাসিয়াস (Athanasius) এবং ইরেনাস (Irenaeus) যেমন খ্রিস্টিয় বাইবেলকে প্রমিত করার জন্য বিভিন্ন ধারাগুলোকে সংশোধন করেছিলেন ঠিক তেমন কোরানের বিভিন্ন অংশকে ওসমান সংশোধন করেন। তিনি কোরানের কিছু অংশকে প্রমিত পাঠ এবং অভ্রান্ত বলে ঘোষণা দেন। আর বাকী অংশকে অপ্রামাণ্য বলে চিহ্নিত করেন। আথানাসিয়াসের মত ওসমান কোরানের আগের সংস্করণ এবং পরস্পরবিরোধী অংশগুলোকে ধ্বংস করার আদেশ দেন।
কোরানের এই নতুন সংস্করণটিকেও যদি সঠিক বলে ধেরে নেয়া হয়, তাহলে মোহাম্মদের সময়ে আসলে ঠিক কি ঘটেছিল সে ম্পর্কে কিছু আন্দাজ করা, সংশোধন করা বা আলোচনা করার কোন সুযোগ পণ্ডিতদের নেই। ওসমান সব ধরণের বিভ্রান্তির পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। ওসমান সব ধরণের বিভ্রান্তির পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। লিখিত আরবী ভাষার দুইটি রূপ এভাষা শিক্ষায় ইচ্ছুক বিদেশীদের কাছে জটিল করে তুলেছে। কিছু ব্যাঞ্জনবর্ণ যেমন 'ব' এবং 'ত' কে আলাদা করার জন্য এই ভাষায় বিন্দু'কে ব্যবহার করা হয়। প্রাচীন আরবী ভাষায় হ্রস্ব স্বরবর্ণকে বোঝাবার জন্য কোন চিহ্নের ব্যবহার হত না। তার বদলে বরং বিভিন্ন রকম ড্যাশ ও কমার মত দাগ দেয়া হত। এই ধরণের পার্থক্য ওসমানের বিভিন্ন কোরানের মধ্যেও ছিল। আরবি লিপি নিজেও নবম শতকের শেষভাগের আগে প্রমিত রূপ লাভ করেনি। এই সমসাময়িক সময় বিন্দু ছাড়া ও অস্বাভাবিক স্বরবর্ণের সমন্বয়ে লেখা কোরানের বিভিন্ন প্রকারের ভাষ্য বহুল প্রচারিত হয়েছিল। এটা এখনও চলে আসছে। এ ধরণের ঘটনা 'ইলিয়াড' এর জন্য কোন সমস্যা নয়। কিন্তু মনে রাখবেন আমরা আল্লাহর অপরিবর্তনীয় এবং শেষ বাণী নিয়ে কথা বলছি। এটা স্পষ্ট যে এই দাবীটি সম্পূর্ণ দুর্বল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। কোরানকে অপরিবর্তনীয় বলাটা নিশ্চিত গোঁড়ামীর উপর ভর করেই এতদূর এসেছে। আরেকটি উদাহরণ বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। জেরুজালেমের ডোম অফ রক (Dome of the Rock) এর বাইরে লিখিত সব আরবি শব্দ কোরানের যে কোন সংস্করণের চাইতে আলাদা।
মোহাম্মদের কথা ও কার্যাবলীর আকর, মুখে মুখে রচিত দ্বিতীয় প্রধান গ্রন্থ হাদীসকে সামনে আনলে দেখা যাবে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় ও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। হাদীসকে কোরানের বাণীর সংকলন এবং মোহাম্মদের স্পর্শধন্য বলে প্রচার করা হয়। কোন হাদীসকে প্রামাণিক বলতে হলে তাকে কোন নির্ভরযোগ্য উৎস অথবা ধর্মীয় নেতাদের দ্বারা সমর্থিত হতে হবে। অনেক মুসলমান তাদের প্রাত্যাহিক জীবনের বিভিন্ন কার্যাবলী এই হাদীস দিয়ে নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাখ্যা করে থাকে। তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে মোহাম্মদ তার নিজ জীবনে যেমন করেছেন, যে সব আচরণ করেছেন, মানুষকেও ঠিক তেমন আচরণ করতে হবে।
হাদীসের ছয় রকম প্রামাণ্য সংকলনগুলো সব জনশ্রুতির উপর ভিত্তি করে রচিত। এগুলো জনশ্রুতি থেকে তৈরি হওয়া আরেক জনশ্রুতির উপর দাঁড় করানো। যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লম্বা সুতোর এলোমেলো গোলা। এর অর্থ 'ক' বলেছে 'খ' কে, 'ক' সেটা শুনেছে 'গ' এর কাছ থেকে, 'গ' আবার সেটা শুনেছে 'ঘ' এর মুখ থেকে।
আরোপিত ব্যাখ্যাকে বিশ্বাসযোগ্য করার উদ্দেশ্যে শত বৎসর ধরে এগুলোকে একত্রিত করা হয়েছে। হাদীসের ছয় জন সংকলকের মধ্যে সবচাইতে বিখ্যাত হলেন বুখারি। তিনি মোহাম্মদের মৃত্যুর ২৩৮ বছর পর মারা যান। বুখারির সংগ্রহকে মুসলমানরা সবচাইতে নির্ভরযোগ্য এবং সত্যি বলে গণ্য করে। তাঁর যোগ্যতার মাপকাঠি সম্পর্কেও মুসলমানদের মধ্যে সুখ্যাতি আছে। তিনি হাদীস সংগ্রহের জন্য সারাজীবনে ত্রিশ লক্ষ সাক্ষ্য সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে বিশ লক্ষ সাক্ষ্যকে তিনি মূল্যহীন এবং অগ্রহণযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছেন। আরও কিছু সন্দেহজনক, অনিশ্চিত, দ্বিধাপূর্ণ বিশ্বাস এবং প্রশ্নবিদ্ধ ধর্মীয় আচরণের কারণে বর্জন করতেকরতে তার সংগৃহীত হাদীসের সংখ্যা মোট দশ হাজারে নেমে আসে। আপনার যদি খুঁতখুঁতে স্বভাব থাকে তবুও আপনি এইগুলোতে বিশ্বাস রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্য আপনি সম্পূর্ণ স্বাধীন। মোহাম্মদের মৃত্যুর দুইশত বৎসরেরও বেশি সময় পরে ধার্মিক বুখারি ব্যাপক অজ্ঞতা ও আংশিক স্মরণে থাকা তথ্যাবলি থেকে যেগুলো নিখুঁত ও পরীক্ষায় উতরে গেছে শুধু সেগুলোই গ্রহণ করেছেন।
খুব সম্ভব এই মানবীয় বাগাড়ম্বরপূর্ণ সিদ্ধান্ত সার্বিক সমস্যার সমাপ্তি টানার চাইতে অধিকতর 'অভ্রান্ত' ছিল। অসংখ্য পরস্পরবিরোধীতা এবং অসঙ্গতির কারণে পরিশেষে কোন কোরাসূত্রকেই প্রামাণ করা সম্ভব হত না। সালমান রুশদী এইসব কারণে কোরানকে "শয়তানের বাণী" বলে অভিযুক্ত করেছেন। এই সুযোগে আরেকটি বিশেষ কথা জানাই। মোহাম্মদ সেই সময়ের মক্কার কয়েকটি বহুঈশ্বরবাদী নেতার মন পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এজন্য তাদেরকে পুরনো স্থানীয় বিশ্বাসের চর্চা চালিয়ে যেতে অনুমতি দেয়ার জন্য প্রত্যাদেশ পেয়েছিলেন। পরে হঠাৎ তার মনে হল এমনটা চলতে দেয়া ঠিক নয়। শয়তানের কোন সুক্ষ্ম চাল হয়তো তাকে এ বিষয়ে সতর্ক হতে দেয় নি। শয়তান নিশ্চয় একেশ্বরবাদের বিপক্ষে অব্যাহত লড়াইয়ের অংশ হিসেবে তাকে এ বিষয়ে মনোযোগী হতে দেয় নি। (মোহাম্মদ শুধু শয়তানে নয়, মরুভূমির কম শক্তির অন্যান্য আধিভৌতিক শক্তিকেও বিশ্বাস করতেন, যেমন জ্বিন)। নবীর স্ত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ তাকে সতর্ক করে বলেছিল যে এই সাময়িক সুবিধা পাবার জন্য যে প্রত্যাদেশ তিনি পেয়েছিলেন আখেরে তা তাকে বিদ্রুপ করতে পারে।
কেউ বিশ্বাস করুক আর নাই করুক, আমাদেরকে আরও বলা হয়েছে যে যখন তিনি প্রকাশ্যে প্রত্যাদেশ পেতেন তখন তার শরীরে খিঁচুনি শুরু হত, তার সর্বাঙ্গ কাঁপতে থাকতো, কানে ঘন্টা ধ্বনির তীব্র শব্দ শুনতেন। ঠাণ্ডা দিনেও তার শরীর দিয়ে ঘাম ছুটত। কোন কোন হৃদয়হীন খ্রিস্টান অবশ্য বলে থাকে যে মোহাম্মদের মৃগীরোগ ছিল। (তারা দামাস্কাসের রাস্তার পল এর একই রকম উপসর্গকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে)। আপাতত এ বিষয়ে আলোচনা করার কোন দরকার নেই। কারণ ডেভিড হিউমের 'উপেক্ষা করা কঠিন এমন প্রশ্নাবলী' আমরা ইতিমধ্যে উত্থাপন করেছি। এটা খুব সম্ভব যে পূর্ব থেকেই প্রচলিত ধারণা যে ঐশ্বরিক বাণীর প্রচারক হিসেবে আল্লাহর একজন মানুষকে ব্যবহার করা উচিত। অথবা পূর্ব থেকে প্রচলিত নীতিনিয়মগুলোকে চালু রাখা বা নিজে গভীরভাবে বিশ্বাস করা উচিত, কারণ আল্লাহ সেগুলো করতে বলেছেন। শারীরিক ব্যথা, খিঁচুনি অথবা ঘামে ভিজে যাওয়া যাই বলুন না কেন, আল্লাহর সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ হওয়াটা মোটেও কোন শান্ত, সুন্দর, নির্ঝঞ্ঝাট বিষয় নয়।