স্বাধিনতা কারে কয়
(বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আলোকে)-বেলাল বেগ
স্বাধিনতা মানে
যখন তখন জিপার খুলে জল-বিয়োগের সুখ
স্বাধিনতা মানে
চাটতে পারা যখন তখন ক্রীত নারীর মুখ।
স্বাধিনতা মানে
লেক্সাস ফেলে টেক্সিতে যাওয়া, রিকশাওয়ালার পিছু
স্বাধিনতা মানে
ছুরি মেরে কারো পকেট হাতনো যদি পাওয়া যায় কিছু।
স্বাধিনতা মানে
সেনা -পুলিশ হওয়া সোনায় সালামে ভরাবে জগত
স্বাধিনতা মানে
মানিব্যাগ ছাড়া খাওয়া, ফূর্তি, ঘোরাঘুরি মুফত।
স্বাধিনতা মানে
ছন্দ মেলানোর কান-সুখ খেলায় সময় হত্যার মজা
স্বাধিনতা মানে
মদ, ভাঙ, তাড়ি, জামাত-শিবিরের ধর্ম নেশার রাজা।
স্বাধিনতা মানে
তারেক রাজ্যে বাঘ-ছাগলের একত্র জলপান
স্বাধিনতা মানে
পুত্রের জন্য বাজেট রচেন সাইফুর রহমান।
স্বাধিনতা মানে
এনটিভি ফালু, খাম্বা মামুন, বনখেকো মহারাজ
স্বাধিনতা মানে
হাওয়া ভবনের জগৎ কাঁপানো ঈশারায় করা কাজ ।
স্বাধিনতা মানে
বাজারের পর মাজার দখল, কচ্ছপ গজার নিধন
স্বাধিনতা মানে
বোমা ফাটিয়ে মিটিং মিছিলে আল্লার নামে শাসন।
স্বাধিনতা মানে
সেনাপতি হওয়া, শেখেরে মারা, ফাকিং বাংলাদেশ
স্বাধিনতা মানে
জিয়াকে মেরে শহীদ বানিয়ে লুন্ঠনের পরিবেশ।
স্বাধিনতা মানে
আমার ইচ্ছা, আমি কেবল, আমিই বাংলাদেশ
স্বাধিনতা মানে
চেটেপুটে খাও, লুটেপুটে খাও সোনার বাংলাদেশ।
নিউ ইয়র্ক
২৯আগষ্ট, ২০০৭দ্রষ্টব্যঃ উপরের কবিতাটি উপভোগ করে থাকলে পাঠক-পাঠিকা পড়ে দেখতে পারেন জাহেদ আহমদের প্রায় একই শিরোণামে ইতিপূর্ব্বে লিখিত ছড়া স্বাধীনতা কাহারে কয়।
-সম্পাদক