জেনে শুনে বিষ করেছি পান
দিলরুবা সুলতানা
দেশের বর্তমান হালহকিকত নিয়ে প্রেডিক্ট করা রিস্কি কাজ, প্রায় আবহাওয়া-সংক্রান্ত প্রেডিকশনের সমতুল্য। বিজ্ঞ আবহাওয়াবিদরা বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে ফতোয়া দিয়েছেন-‘ঠা ঠা রদ্দুর’। সুতরাং আপনি নিশ্চিন্ত মনে বিনা ছাতায় বেরিয়েছেন, আপনাকে ফিরতে হলো মুর্গীস্নান হয়ে। রাজনৈতিক আকাশের অবস্থাও অনেকটা সেরূপ। প্রধান উপদেষ্টা এক কথা বললেন- আপনি খানিকটা নিশ্চিন্ত হয়ে বগল বাজাচ্ছেন। ভাবছেন- যাক্ বাবা- এবারের মতো বাঁচা গেল। পরদিনই হয়তো- আইনমন্ত্রী কিংবা দুদকের তরফ থেকে ঠিক উল্টো বক্তব্য এলো। কার প্রেডিকশন সঠিক বলে ধরে নিয়ে কলম চালাবেন আপনি? এজন্যেই হয়তো আগাচৌ’র মতো বাঘা বাঘা কলামিষ্টদের কলমও আগের মতো ঝলসায় না আজকাল। বলবে একটা ঘটবে আরেকটা, পাঠকদের কাছে বেইজ্জতি। এর চেয়ে চুপচাপ বসে থাকা নিরাপদ। তবে আমাদের মতো অপেশাদার লেখিয়েদের কথা আলাদা। তাদের তো ইজ্জত হারানোর ভয় নেই, এমনিতেই খবরের কাগজের বিজ্ঞ সম্পদকরা ছাইপাশ বিবেচনা করে এসব লেখা ঘৃনাভরে ওয়েষ্টপেপার বাস্কেটে নিক্ষেপ করেন। তাতে যদি ইজ্জতের হানি না ঘটে, তবে সামান্য একটা ভুল প্রেডিকশনের কারণে তার কতটুকুই বা ক্ষতি হতে পারে? সেই যে কথায় আছে- ‘তেমন কিছু না। গালে সামান্য একটা চড় মেরেছে মাত্র, অপমান করেনি’। অপমানের ভয় যখন নেই, তখন নির্ভয়ে মনের কথাটা বলে নিয়ে হালকা হওয়া ভাল।
কিছুদিন আগে বর্তমান সরকারের মিশন নিয়ে দু’টো কলাম লিখেছিলাম (‘এক মঞ্জিল দো রাস্তা’ এবং ‘অথঃ বিড়ালং সমাচারেৎ’)। উক্ত লেখা দুটিতে আমি প্রেডিকশন করেছিলাম যে উত্তর গোলার্ধের (!) শক্তিটির এক প্রভাবশালী অংশ চায় না যে পাকিস্তান হত্যাকারী মরহুম শেখ মুজিবের দল আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসুক। তাদের পছন্দ প্রধানতঃ জামাত এবং এর পৃষ্ঠপোষক শহীদ জিয়ার বিএনপি। ছিয়ানব্বুইতে বাই চান্স ক্ষমতায় যাওয়ার পর বহু কষ্টে নিজেদেরকে সংযত করে রাখতে হয় তাদের, কারণ সরাসরি হস্তক্ষেপ করার মতো উপযুক্ত ভুমন্ডলীয় পরিবেশ তখন ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা ছিল ডেমোক্র্যাটদের হাতে, বিল ক্লিন্টন ছিলেন কেনেডির উত্তরসুরী- বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামকে যিনি খোলাখুলিভাবে সাপোর্ট করেছিলেন। একটা প্রচ্ছন্ন আশা ছিল যে একুশ বছর পর ক্ষমতায় বসে আওয়ামী লীগ কিছুতেই সুষ্ঠুভাবে দেশ চালাতে পারবে না, তাদের ক্ষমতার মেয়াদ বড়জোর ছয় মাস। কিন্তু তাদের সেই আশায় ছাই দিয়ে চমৎকারভাবে দেশটা চালিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ। উত্তর গোলার্ধের মুখপাত্র ম্যাডাম জিয়ার নির্বাচনপুর্ব ভবিষ্যতবানীগুলির একটিও বাস্তবায়ন করেনি সে (যথা মুসলমান মেয়েদেরকে শাঁখাসিঁদুর পরানো, মসজিদে উলুধ্বনির ব্যবস্থা করা, ভারতের কাছে দেশ তথা ফেনী শহরকে বেচে দেয়া, চুয়াত্তরের মতো আরেকটি দুর্ভিক্ষ আনয়ন করা ইত্যাদি)। দুর্ভিক্ষের পরিবর্তে উল্টো প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ম্ভর হয় বাংলাদেশ, যার রি-এ্যাকশনে প্রথিতযশা একাউন্ট্যান্ট সিলেটরতœ সাইফুর রহমান ঘোষণা করেন যে এলডিসি কান্ট্রিগুলির খাদ্যে স্বয়ংস¤পূর্ণতা অর্জন মোটেও ঠিক নয়, কারণ তাতে করে বিদেশী সাহায্য কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পণ্যবাজার এতটাই নিয়ন্ত্রনে থাকে যে রমজানের সময়ও জিনিসের দাম বাড়েনি পাঁচ বছরে। জাতিসংঘের হিসেব মোতাবেক স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখে আওয়ামী লীগ। এই রকম একটা বিতিকিচ্ছিরি অবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপের অজুহাত খুজে বার করা বড়োই মুশকিল।
সে যাহোক্, আমার পুর্ববর্তী প্রেডিকশনের আলোকে গত দু’সপ্তাহের রাজনৈতিক ডেভেলপমেন্টের চালচিত্র একটু ঝালিয়ে নেয়া যাকঃ-
১- সমকালের ২১শে অক্টোবর (২০০৭) সংখ্যায় বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে নানা মহলের তৎপরতা সম্পর্কে একটি রিপোর্ট ছাপা হয়। উক্ত রিপোর্টের সারসংক্ষেপ করলে যা দাড়ায়- ‘কোনমতেই যেহেতু আওয়ামী লীগকে দ্বিখন্ডিত করা গেল না সেক্ষেত্রে বিভক্ত বিএনপিকে জোড়া না লাগাতে না পারলে উপায় নেই, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা। বিএনপিকে একত্রীকরণের এই মিশনে একটি বিশেষ প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদ রয়েছে, এমনটি জানতে পেরে ভুইয়া গ্র“পের এক ঝাক জাতীয়তাবাদী তারকা (৩২ জন সাবেক এমপি) ফুলের তোড়া নিয়ে খন্দকার দেলোয়ারের বাসায় যেয়ে অজান্তে বিষ পান করার জন্যে অনুতাপ প্রকাশ করেছেন। (২৪-১০-২০০৭ তারিখের টিভি নিউজ)। দেলোয়ার সাহেবও উদারভাবে এই অজ্ঞানতাজনিত বিষপানের অপরাধ ক্ষমা করে দিতে রাজী হয়েছেন; তবে যারা জেনে শুনে বিষ খেয়েছে করেছে তাদের ক্ষমা নেই। একত্রীকরণ প্রক্রিয়ার পেছনকার প্রভাশালী মহলটি কে, তা বুঝে নিতে খুব একটি রাজনৈতিক প্রজ্ঞার দরকার হয় কি? কিছুদিন আগে বিএনপি’র বিপ্লবী নেতা জনাব হান্নান শাহ এ্যারেষ্ট হন এবং রিমান্ডে যান। রিমান্ডে তাকে কি ছবক দেয়া হয়েছিল পাব্লিক জানে না, তবে অচিরেই দেখা গেল যে রিমান্ডের বরকতে তার স্পিরিট ইনশাল্লাহ আরও বেড়ে গেছে। জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে (এই সরকার কতৃক গ্রেফতার হওয়া অসংখ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে তিনিই এমাত্র ব্যক্তি যিনি সহজেই জেল গেট পেরোনোর রেকর্ড করেছেন) দ্বিগুন শক্তিতে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। স্বর কতটুকু চড়া করতে হবে, লয়তান কীরূপ হবে- তার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিহার্সেল করে তবেই তাকে ফিল্ডে ছেড়ে দেয় হয়েছে বলে অনেকে বলে থাকেন। তিনি এমন কথাও বলেছেন যে যদি আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ম্যাডামকে বের করা না যায় তবে বিকল্প পন্থা অর্থাৎ কর্মসুচী দেয়া হবে। তার এই অমিত সাহস যে খুটি হতে উৎসারিত, ঐক্যপ্রক্রিয়ার নির্দেশও যে সেখান থেকেই এসেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই’। সবচেয়ে আশ্চর্য্যরে বিষয় “এ ব্যাপারে কয়েকটি মাধ্যমে কারাবন্দী দলীয় চেয়ার পার্সন বেগম জিয়ার পরামর্শ নেয়া হয়েছে” বলেও জানিয়েছে সমকাল। অর্থাৎ জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন ম্যাডাম ! পক্ষান্তরে আওয়ামী শিবিরের অবস্থা দেখুন, হাজার দেন দরবার করেও জিল্লুর রহমান একটি বারের জন্যেও তার নেত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার অনুমতি পাননি। মতিয়া চৌধুরির মতো অনেষ্ট এবং ক্লিন নেত্রীও মুখ ফুটে কিছু বলার সাহস করেন না। কি জানি বাবা, গরম গরম কিছু বললে কোন ছিদ্র দিয়ে ঢুকিয়ে দেবে- জীবনেও বার হওয়া যাবে না। সামান্য একটু বেফাঁস কথা বলার খেসারত হিসেবে আব্দুল জলিলকে অসুস্থ্য শরীরে মাসের পর মাস বিনা বিচারে হাজতবাস করতে হচ্ছে, মাফ চেয়ে এবং বাজারে ক্যাসেট ছেড়েও রেহাই মেলেনি।
২- অক্টোবর ২৪ তারিখের (২০০৭) সংবাদপত্রগুলিতে পাশাপাশি দু’টি লিড নিউজ- আজম.জে.চৌধুরির তিনকোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলায় শেখ রেহানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী ও তার মালামাল বাজেয়াপ্ত বনাম মামুন দম্পত্তির অবৈধভাবে ১১১ কোটি টাকা অর্জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল। তিন কোটির আসামী তিনজন, বঙ্গবন্ধুকন্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, যুগ যুগ ধরে প্রবাসে বসবাসকারী রেহানা ও শেখ সেলিম। (মামলাটি নিয়ে জনমনে দারুন সন্দেহ রয়েছে কারণ মামলা দায়েরের পুর্বে প্রায় সপ্তাহ দুয়েক চৌধুরি যথারীতি নিখোঁজ ছিলেন, লোকে সঙ্গত কারণেই সন্দেহ করে যে টর্চার চেম্বারের টর্চার সহ্য করতে না পেরে বিশেষ মহলের নির্দেশেই মামলার কাগজে সই করতে হয়েছে তাকে। এর আগে জনৈক তাজুল ইসলামকে দিয়ে আরেকটি মামলা করানো হয় হাসিনার বিরুদ্ধে। সেটি ছিল প্রথম মামলা, সাম্ভাব্যতা যাচাই ঠিকমতো না করেই মামলাটি রুজু করা হয়। পরে সংবাদপত্রে যখন কোটি টাকার বান্ডিলের ওজন নিয়ে রসালো কাহিনী ছাপা হতে থাকে, সদাশয় সরকার শরম পেয়ে মামলাটি হিমাগারে পাঠিয়ে দিয়ে আজম চৌধুরি নামক আরেক স্কেপ-গোটকে যোগাড় করে)। সে যাহোক্, কথিত চাঁদা দেয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধু ট্রাষ্টকে, যৌথভাবে যার ট্রাষ্টি হচ্ছেন হাসিনা-রেহানা। সরকারের ভাষ্যে “যাহাকে চাঁদাবাজি বলা হইয়াছে, সাধারণ্যে তাহা দান বা ডোনেশন বলিয়া পরিচিত”, কারণ বঙ্গবন্ধু ট্রাষ্ট একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান যাকে হাসিনারেহানারা তাদের কোটি টাকা মুল্যের পৈতৃক বাড়ীটিও দান করে দিয়েছেন। যদি সত্যি সত্যিই আজম চৌধুরি টাকা দিয়েও থাকেন তবুও এক দৃষ্টিতে তা পুন্য কাজ। কারণ চ্যারিট্যাবল সংস্থায় দানখয়রাত বা ডোনেশন বিশ্বব্যপী একটি প্রশংসনীয় কাজ বলে স্বীকৃত। হ্যা, হাসিনা যদি মিগ ক্রয় প্রক্রিয়ায় কোন অর্থ গ্রহণ করে থাকেন এবং তার পরিমান যদি কমও হয়- সেটি হবে দুর্ণীতি। সরকার সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে কাহিনীর পর কাহিনী রচনা করে হাসিনাকে শত শত কোটি টাকা লুটপাটকারীদের সম পর্য্যায়ে নামিয়ে আনার প্রয়াস পাচ্ছে। অথচ আশ্চর্য্যরে বিষয় হচ্ছে- শত কোটি বা হাজার কোটি টাকার ডিলের সাথে যারা জড়িত তারা একেবারেই চুনোপুটি। গিয়াসউদ্দিন আল মামুন কে? মোসাদ্দেক আলী ফালু কে? কী তাদের সামাজিক ষ্ট্যাটাস? তিন পয়সা দামের এই সব মালেরা কীভাবে কার মদদে মাত্র চার বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক হলো? এদের পেছনের ‘বড় ভাইয়া’দের বিরুদ্ধে আজ পর্য্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কী? নাকি কয়েকদিন পর বলা হবে- জামাতের মতো বড় ভাইয়ারাও দুধে ধোয়া তুলসী পাতা, তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রমান যোগাড় করা যায়নি। তারেক জিয়া প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছিলেন- জামাতবিএনপি ভাই ভাই। এক্ষনে এক ভাই জামাতকে যখন ক্লিনম্যান হিসেবে ঘোষনা দেয়া হলো, তখন আরেক ভাইকে দিতে আর বাধা কোথায়? ঘটনার অনিবার্য্য পরিনতি হয়তো বা সেদিকেই গড়াচ্ছে।
সমকালের রিপোর্টে উল্লেখিত অদৃশ্য শক্তিটি প্রথমে মাইনাস টু থিওরী নিয়ে এগিয়েছিল এবং বিকল্প শক্তি হিসেবে ডক্টর ইউনুস, ফেরদৌস কোরেশী ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গকে ফোরফ্রন্টে আনার চেষ্টা করেছিল। তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়, জনগণকে কিছুতেই হাসিনাখালেদা ট্যাবলেট থেকে দুরে রাখা যায়নি। এই ট্যাবলেট কতটা মারাত্মক তার প্রমান খন্দকার দেলোয়ার। তার ও তার সুপুত্র ডাবলু-পবনদের বিরুদ্ধে এত কেলেঙ্কারীর কাহিনী ছাপা হওয়ার পরও ম্যাডামের মনোনীত বিধায় বিএনপি’র ৯৭% পারসেন্ট সাপোর্টার তার পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বাংলার ত্রয়োদশ ভুইয়া বলে কথিত পরাক্রমশালী মান্নান ভুইয়া শত চেষ্টা করেও কিছু করতে পারলেন না। তার চারপাশের লেফটেন্যান্টরা সদলবলে দেলোয়ারের বাসায় যেয়ে আত্মসমর্পপনের দলিলে স্বাক্ষর করে দিয়ে এসেছে। সেদিন বোধ হয় দুরে নয় যেদিন তাকে হয়তো সত্যি সত্যিই ডুগীতবলার সাহায্য নিতে হবে; গাইতে হবে- ‘আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান”। এই রকম একটা পরিস্থিতিতে সরকার বোধ হয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে যখন কোনভাবেই রাজনৈতিক অঙ্গন হতে নির্বাসন দেয়া যাবে না, সুতরাং তারাই খেলুক। তবে রেফারিং করতে হবে সাবধানে, যাতে ন্যাচারাল মিত্ররাই নির্বাচনে জিতে আসতে পারে।
এমতবস্থায় খুব হিসেব করে এগুতে হবে আওয়ামী লীগকে। তাদের জন্যে উত্তর গোলার্ধের কোন শক্তি নেই। জনসাধারণই তাদের একমাত্র সহায় কিংবা শক্তি। লড়াই হবে জামাত-বিএনপি অক্ষশক্তি প্লাস উত্তর গোলার্ধের অদৃশ্য শক্তির সাথে। বড় কঠিন লড়াই এ, এক অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চাইতেও কঠিন। সাধে কি আর প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন-“একাত্তরের চেয়েও ঘোর দুঃসময় এখন। কারণ একাত্তরে এত রাজাকার ছিল না” (ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল)।
লেবানন- বৈরুত ২৭-১০-২০০৭ e-mail: [email protected]