প্রিয়দর্শিনী পেলিনের জন্য প্রেমগাঁথা
আমি এমনিতেই প্রচণ্ড রকমের টেলিভিশন বিমুখ মানুষ। ভুলে ভালেও সাধারণত টেলিভিশনের সামনে যাওয়া হয় না আমার। তবে সেই আমিই আজকাল টেলিভিশনের প্রেমে পড়ে গিয়েছি। কাজে অকাজে টেলিভিশনের সামনে গিয়ে ড্যাব ড্যাব চোখে বসে থাকি আমি। আগে টেলিভিশনটা বলতে গেলে আন্নার একার দখলেই থাকতো। সিএনএন, এনবিসি, ফক্স ইত্যাকার রাজ্যের চ্যানেল দেখে এসে সে আমেরিকা নামের এই বিচিত্র দেশের বিচিত্র সব মানুষের বিচিত্র কায়কারবার উগরে দিতো আমার উপর। কোথায় পাগলা বাবা বুশ আবার কি নতুন পাগলামি করলো, কোথায় কোন আটলান্টিকের দূরপ্রান্তে প্রলয়ংকারী কোন ঘূর্নিঝড় চুপি চুপি ভূমিষ্ঠ হলো, কোথায় কোন সেলিব্রিটি পোশাকের দোকান থেকে প্যান্টি চুরি করে জেলে গেল ইত্যাকার যত অপ্রয়োজনীয় সব কথাবার্তা আমাকে হাসিহাসি মুখ করে শুনে যেতে হতো। যদিও সেগুলোর কোনটাই আমার কর্ণকুহর ভেদ করে মর্মমূলে পৌঁছাতো না কিছুতেই। এমনিতে দুনিয়াদারী সম্পর্কে আমার কৌতুহল খুবই সামান্য। ঘরের বাইরের কোন জিনিষ নিয়েই অযাচিত কোন আসক্তি নেই আমার। নিজের ভূবনে পড়ে থাকাটাই মহা তৃপ্তিকর আমার জন্য। কাজেই এই সমস্ত অর্থহীন নিরানন্দ খবরাখবরে কী আনন্দ আছে সেটা আমার মাথায় কাজ করতো না কিছুতে। তবে গৃহ শান্তির তরে সেগুলোকে নীরবে হজম করে নিতে হতো আমাকে। একটাই মাথা ঘাড়ে আমার। তাই ঘাড় গুঁজে ইন্টারনেটে গুতাগুতি করাটাই আমার জন্য যে অনেক বেশি মজাদার, আনন্দময় সে কথা বোঝানোর চেষ্টা তাকে করিনি কখনো।
আগেই বলেছি টেলিভিশনে অনাসক্ত, বহির্জগতের প্রতি নির্লিপ্ত সেই আমিও ইদানিং বেশ নড়ে চড়ে বসেছি। সন্ধ্যা হলেই এক মগ কফি বা এক গ্লাস পেপসি হাতে নিয়ে আন্নার পাশ ঘেষে গুটিসুটি মেরে বসে পড়ি আমি। গভীর মনোযোগ দিয়ে সিএনএনের খবর দেখি। ল্যারি কিং লাইভ দেখি। এন্ডারসন কুপারের সুপার ডুপার থ্রি সিক্সটি প্রোগ্রাম গোগ্রাসে গিলি। স্বীকার করতেই হবে আমেরিকার প্রেসিডেনশিলাল ইলেকশনের মত এতো মজাদার জিনিষ দুনিয়াতে নেই। টোয়েন্টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের চেয়েও অনেক বেশি উত্তেজনা, শিহরণ, রোমাঞ্চ এবং নাটকীয়তা দিয়ে ঠাসা থাকে পুরো জিনিষটা। সারা দুনিয়ার লোকজনেরাই তুমুল আগ্রহ এবং উত্তেজনা নিয়ে উপভোগ করে থাকে এর প্রতিটা মূহুর্ত। অনেকে হয়তো বলবেন যে, যেহেতু গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ আমেরিকা তাই সবারই স্বাভাবিক কৌতুহল থাকে এই নির্বাচন নিয়ে। কেননা এই নির্বাচনের মাধ্যমে যিনি জয়ী হবেন আগামি চার বছর পৃথিবীর ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত হবে তার হাতে। চার্লি চ্যাপলিনের গ্রেট ডিক্টেটরের মত গোলাকার গ্লোব নিয়ে ফুটুস ফাটুস ফুটবল খেলবেন তিনি। ইরাক বিশ্ব মানচিত্রে থাকবে কি থাকবে না, ইরানকে কী রকম কষে প্যাদানি দিতে হবে, আফগানিস্তানে কত মণ বোমা ফেলতে হবে, পাকিস্তানকে প্রেমিকা ভেবে কোলে তুলে চুমু খেতে হবে নাকি ভিলেন ভেবে পশ্চাতদেশে প্রচণ্ড পদাঘাত লাগাতে হবে অথবা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় লাঠিয়াল বাহিনী থাকবে নাকি দুই বেগমের কেউ একজন থাকবে সবকিছুর চাবিকাঠি থাকে তার হাতে। আর সে কারণেই ছেলে বুড়ো সকলেই গভীর আগ্রহে এই তামাশা দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে বসে থাকে। তবে আমার কাছে মনে এর বাইরেও যে প্রক্রিয়ায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় তার অভিনব ধরণটাই মনে হয় মানুষকে আকৃষ্ট করে অনেক বেশি করে।
এ বছর আমার আগ্রহ অবশ্য ভিন্ন কারণে। গর্ধভ দলের নমিনেশনের ইঁদুর দৌঁড়ে শেষ দুই ইঁদুরের একজন মহিলা এবং একজন কৃষ্ণ বর্ণের হওয়াতে স্বাভাবিকভাবে গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছি আমি। এর মানে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর বাড়িতে পা রাখার ফিফটি পার্সেন্ট সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গেছে তাদের যে কোন একজনের পক্ষে। মহিলা অবশ্য ফিতা ছুই ছুই দূরত্বের এসে দমের অভাবে হাঁসফাঁস করতে করতে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন। বাকী রয়েছেন শুধু দারুণ স্মার্ট শিকাগোর শ্যামবাবু। আমেরিকার প্রায় আড়াইশ’ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোন কালো মানুষ সাদা ঘরে ঢোকার জন্য সদম্ভ রণহুংকার দিচ্ছে। শত শত বছর সাদাদের দাস হিসাবে যারা জীবন কাটিয়েছে, মাত্র চুয়াল্লিশ বছর হয় যারা কাগজে কলমে সমান অধিকার পেয়েছে তাদেরই একজন ছড়ি ঘোরাবে সাদা প্রভুদের উপর। এর চেয়ে রোমাঞ্চকর আর কী হতে পারে? অন্যদিকে হস্তী দলের ফিরিঙ্গি সাহেবের প্রতিও আমার কিঞ্চিৎ আগ্রহ তৈরি হয়েছে তার ঘরে অতি আদরে বড় হওয়া বাংলাদেশি এক হতভাগ্য কিশোরীর কারণে।
তবে এর সব কিছুকেই ছাড়িয়ে গেছে হস্তী দলের ভিপি নমিনেশনে। হস্তী দল তাদের হোদল কুতকুতে চোখ দিয়ে সারা আমেরিকার মূল ভূখন্ডের মাটি তন্ন তন্ন করে চষেও যোগ্য কাউকে খুঁজে না পেয়ে সারাহ পেলিন নামের এক প্রিয়দর্শিনী সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা রমণীকে ধরে নিয়ে এসেছেন ক্যানাডার অপরপ্রান্তে থাকা রাশান ভালুকের লেজ ঘেষা বরফের আস্তরণে ঢাকা আলাস্কা থেকে। আমেরিকানদের সাধারণ জ্ঞানের অবস্থা যে রকম তাতে কেউ যদি এই প্রথম জেনে থাকে যে আলাস্কা নামের তাদের কোন স্টেট আছে তবে তাকে দোষ দেওয়া যাবে না কিছুতেই। এই প্রিয়দর্শিনী তার প্রথম দেখাতেই ঝলক লাগানো রূপ দিয়ে ঝলসে দিয়েছেন আমেরিকানসহ সকল বিশ্ববাসীকে। একসময় বিউটি কুইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি। কাজেই রূপে যে তিনি অনন্যা হবেন সেটাতো বলাই বাহুল্য।
শুধু রূপেই না, গুণেও যে তিনি অনন্যা তার স্বাক্ষর তিনি দিয়ে দিয়েছেন সাংবাদিকদের সামনে। বিশ্ব-রাজনীতি সম্পর্কে তার ধারণা কতটুকু তার জবাবে তিনি গর্ব করে বলেছেন যে তিনি তার বাড়ির আঙ্গিনা থেকে উঁকি দিয়েই রাশিয়াকে দেখতে পান। আমেরিকানদের আর খামোখা জুজুর ভয় না করলেও চলবে। তিনি তার উঠোন থেকেই রাশান পাঁজি বদমাশদের দিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করে থাকেন। কাজেই ওই সমস্ত গুন্ডা পাণ্ডাদের সামান্যতম সন্দেহজনক নড়াচড়া দেখলেই তিনি বড়সড় দম নিয়ে বাঁশিতে লম্বা একটা ফুঁ দিয়ে গুড আমেরিকানদের সতর্ক করে দিতে পারবেন। পররাষ্ট্র বিষয়ে এর চেয়ে জরুরী জ্ঞান আর কী হতে পারে? দেশ আর জনগণের নিরাপত্তা বলে কথা!
পররাষ্ট্র বিষয়ে গলাবাজি করলেও নিজের দেশের প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের বুশ ডক্ট্রিন নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি একেবারে নিশ্চুপ ছিলেন অবশ্য। সবাই ভেবেছিল যে তিনি হয়তো তার উত্তর জানেন না। আসল সত্যি হচ্ছে তিনি ঠিকই জানতেন কিন্তু বলেননি। বরং বুশ পাগলা নিজেই বুশ ডক্ট্রিন কি সেটা জানে কিনা তাই নিয়ে বরং তার ঘোরতর সন্দেহ আছে। কিন্তু তিনি চুপ মেরে ছিলেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে। শ্যামবাবু যেভাবে তার বুড়ো হাবড়া সঙ্গীকে জংলী বুশের সাথে জড়ানোর অপচেষ্টা করে আসছেন তাতে এই বিষয়ে তার কোন কথা না বলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ ছিল তখন। কি দরকার বাবা সেধে সেধে ঝামেলা ডেকে আনার।
সর্বভুক পাঠকও তিনি। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খবরাখবর রাখার জন্য সবগুলো পত্রপত্রিকায়ই তিনি গোগ্রাসে গিলে থাকেন। সবগুলোই যেহেতু পড়েন কাজেই কোনটার আলাদাভাবে নাম জানার কোন চেষ্টা তিনি কখনোই করেননি। আর এ কারণেই এনবিসির কেটি কুরিক নামের এক কুরূপা কাইষ্ঠা বেটি কেউ কেউ করে মাত্র একটা পত্রিকার নাম জানতে চাওয়াতে তিনি বিরক্ত হয়ে বলেই ফেলেছেন যে তোমরা কি ভাব আমরা অজপাড়্গায়ে বাস করি। আলাস্কায় খালি আলুঝালু বরফই থাকে না, আমরাও থাকি। হু হু বাবা! আমরা সব পত্রপত্রিকাই পেয়ে থাকি সেখানে।
কাজেই, ঘরে বউ থাকতেও এরকম দুর্দান্ত জ্ঞানী-গুণী অপরূপার প্রেমে ঝপাস করে পড়ে যেতে বিন্দুমাত্রও সময় লাগেনি আমার। তৃষিত প্রেমিকের মত এখন আমি প্রতিদিন টেলিভিশনে আতিপাতি করে পেলিনকে খুঁজি। তাকে না দেখলে রাতের ঘুম এবং আরাম দুটোই হারাম হয়ে যায় আমার। মায়াবতীও কখনো নিরাশ করেন না আমাকে। প্রতিদিনই কোন না কোন জ্বলন্ত ইস্যুতে তিনি তার ভূবন মোহিনী রূপ আর বিচিত্র আলাস্কিয়ান উচ্চারণ নিয়ে হাজির হন টেলিভিশনের পর্দায়। আম-জাম-কাঠাল জনতাকে একেকটা অমূল্য কথা বলেন আর নিচের ঠোট উপরের দিকে টেনে নিয়ে চেপে ধরে মাথা উপর নিচ করে তার গুরুত্ব বোঝান। দেখে অন্য সকলের মত আমিও বিমল আনন্দে আমোদিত হই।
তবে সবাই যে আমার মত এই প্রিয়দর্শিনীর প্রেমে পড়েনি সে কথা বলাই বাহুল্য। পৃথিবীতে দুষ্টু লোকের তো আর অভাব নেই। সেরকমই কেউ কেউ তার দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছেন। তিনি নাকি আলাস্কার চীফ অব স্টেট পুলিশকে বরখাস্ত করেছিলেন কারণ ওই ভদ্রলোক পেলিনের কথামত তার বোনের প্রাক্তন স্বামীকে শায়েস্তা করার জন্য বরখাস্ত করতে রাজী হননি বলে। কাউকে বরখাস্ত করার ব্যাপারে পেলিনের অভিজ্ঞতা অবশ্য নতুন কিছু নয়। তিনি যখন ছোট্ট শহর ওয়াসিলার মেয়র ছিলেন তখনো সেখানকার পুলিশ চীফ এবং লাইব্রেরি ডিরেক্টরকে ফায়ার করেছিলেন কোন ধরনের সতর্কতা ছাড়াই। হতেই হবে। কেননা তিনি শুধু কোমল মায়াবতী হকি মমই নন, একই সাথে ঠোটে লিপস্টিক লাগানো আক্রমনাত্মক পিটবুলও বটে। ইদানিং শ্যামবাবুও তার দাঁতের ধারটা ভালভাবেই টের পাচ্ছেন।
হস্তী দল বেশ বড় গলা করে বিশাল বেলুন ফুলিয়ে জানিয়েছিল যে, সারাহ পেলিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন বহুদিন ধরেই। তার এই জেহাদি কার্যক্রম তিনি পার্টির মধ্যেও চালিয়েছিলেন। নিজের দলের বলে বিন্দুমাত্র ছাড়ও তিনি দেননি কাউকে। অথচ হস্তী দলের সেই গর্বের বেলুনকে সুই ঢুকিয়ে ফুটিয়ে দিয়েছে হিংসুক লোকেরা। পেলিন নাকি দাওয়াত ছাড়াই তার বাচ্চা-কাচ্চাদের যত্রতত্র নিয়ে যেতেন এবং তাদের যাতায়াত এবং থাকা খাওয়ার সমস্ত খরচ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তুলে নিতেন। কী আশ্চর্যি কথাবার্তা! দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদি মানবীর বিরুদ্ধে কিনা ছিচকে চুরির অভিযোগ!
এই লোকগুলো এমনই জঘন্য যে তারা তার পোশাক আশাক নিয়েও টানা হেচড়া শুরু করে দিয়েছে ইদানিং। মেয়ে মানুষের শালীনতা বলে যে একটা কিছু আছে আর সেটা নিয়ে যে টানা হেচড়া করতে নেই সে বিষয়টা ঢাকাই ছবির এই ভিলেনদের বোঝাবে কে। তিনি কত দামের পোশাক পড়েন, এবং সেই পোশাক যে পার্টির ইলেকশন ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে ইত্যাকার নানা অভিযোগ নিয়েও গলাবাজি করছে তারা। জনগনের জন্য জানপ্রাণ দিয়ে দিচ্ছেন তিনি। পাঁচ পাঁচটা ছেলেমেয়েকে নিয়ে হাচড়ে পাচড়েও রাষ্ট্রীয় গুরু দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেন শুধুমাত্র ম্যাংগো-জনতার কথা ভেবে। আর সেই জনতার ফান্ড থেকে সামান্য কটা কাপড় কেনা হয়েছে তাই নিয়ে কত না হইচই। কেউ একবার ভেবেও দেখলো না যে তিনি এই পোশাকগুলো পরে চ্যারিটিতে দিয়ে দিলে সেগুলো নিলামে কি পরিমাণ দামে বিক্রি হবে। লোকজন ঝাপিয়ে পড়বে না তার পরা পোশাক কেনার জন্য। অথচ দেখুন কী রকম গরীব দেশের মানুষ হয়েও খালেদা-ইমেলদারা কত রাজপাট লোপাট করে দিয়েছে। তারপরও মানুষ তাদেরকে কত্তো ভালবাসে। অথচ সবচেয়ে ক্ষমতাবান দেশের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন তিনি। আর তার ব্যাপারেই যত বৈষম্য।
তার সন্তানদের নিয়েও লোকজনের মাথা ব্যথা কম নয়। ইন্টারনেটেতো কেউ কেউ চ্যালেঞ্জ দিয়ে রেখেছে যে তার ছোট ছেলে ট্রিগ নাকি আসলে তার ছেলে নয় বরং তার মেয়ের ছেলে অর্থাৎ নাতি। ছিঃ ছিঃ কী শরমের কথা! কোথায় তিনি সবেমাত্র নানী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর লোকজন কিনা আগেই তাকে ঠেলে ঠুলে নানী বানিয়ে দিতে চায়। কেউ কেউ আবার ট্রিগের জন্মের আগের ফ্যামিলি ছবিও ছেড়ে দিয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে তার পেট ক্রিকেট মাঠের মত সমতল আর তার মেয়ের পেট হয়ে আছে কিঞ্চিৎ স্ফীত। লোকজন যে আকামে কুকামে কত সময় ব্যয় করতে পারে তার ঠিক ঠিকানা নেই।
যাকগে দুষ্টু লোকদের দুষ্টু কথায় না ভুললেও চলবে আমাদের। যদিও এখন পর্যন্ত শ্যামবাবু ইঁদুর দৌঁড়ে এগিয়ে আছে তবুও হস্তী দলকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া যাবে না কিছুতেই। কথায় আছে না ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে। হস্তী দলের বিশ্বস্ত বন্ধু লাদেন হুজুর পাগড়ী মাথায় আফগানিস্তানের গুহায় সেই শেষ মাইর হাতে নিয়ে শেষ রাতের জন্য বসে আছেন। নির্বাচনের আগে ব্রক্ষ্মাস্ত্রের মত সেই শেষ মাইরের অব্যর্থ বাণ মারবেন আমেরিকার দিকে। আর সেই বাণের তোড়েই বানের জলের মত ভেসে যাবে শ্যামবাবু আর তার গর্ধভ দল। নামেও যেমন ওরা গর্দভ কামেও ওরা সেই রকমই একেকটা গর্ধভ। আর তখন, তখন কি? তখনতো তিনি মাত্র ওয়ান হার্টবিট এওয়ে ফ্রম প্রেসিডেন্সি। বাহাত্তরে পাওয়া ভীমরতিতে ধরা বাহাত্তরা বুড়ার মাত্র একটা হার্টবিট মিস হলেই প্রিয়দর্শিনী তখন সাদা বাড়ীর হার্টথ্রব হয়ে বসবেন। হুররে! এর থেকে মজাদার জিনিষ দুনিয়াতে আর কি হতে পারে? গড ব্লেস আমেরিকা।
মায়ামি, ফ্লোরিডা। [email protected]
===============================================
মুক্তমনার মডারেটর, 'মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে' গ্রন্থের লেখক।