ত্রিশ হাজার মানুষের আহাজারি-শোনার কি কেউ নেই?
মোঃ জানে আলম
স্থানীয় কমিশনার থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র, জেলা প্রশাসক থেকে প্রধান উপদেষ্টা, জহুরুল হক ঘাঁটি প্রধান থেকে বিমান বাহিনী প্রধান, কেউ যেন শুণছে না ত্রিশ হাজার মানুষের আহাজারি। বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটির কতিপয় কর্মকর্তার খামখেয়ালী সিদ্ধান্তের জের হিসাবে ত্রিশ হাজার লোক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছেÑতাদের নিজ পিতৃভূমিতে । মাইজ পাড়া, চৌধুরী পাড়া ও পূর্ব কাটগড়ের মধ্য দিয়ে নির্মিত এম,ই,এস সড়কের দু’পাশে কাঁটা তারের বেড়া ও ইটের দেওয়াল নির্মাণের মাধ্যমে প্রকারান্তরে ত্রিশ হাজার এলাকাবাসীকেই অবরুদ্ধ করে ফেলা হচ্ছে কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা ছাড়াই যার লক্ষ্য হতে পারে বিনাক্ষতিপূরণে এলাকাবাসীকে তাদের বসতভিটে থেকে উচ্ছেদ করা। তাদের এ অযৌক্তিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা হতে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সর্বমহলে অনেক আবেদন-নিবেদন করেছেন। এলাকার সকল বয়সের নারী-পুরুষ মানব বন্ধন, মৌণ মিছিল, কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনও করা হয়েছে । কোন কিছুতেই কেউ যেন সাড়া দিচ্ছেন না, এগিয়ে আসছেন না কেউ। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন আদালতের। আদালতের কারণ দর্শাও নোটিশ সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আদালতে উপস্থিত হওয়ারও গরজ দেখাচ্ছেন না। লাগাতার অনুপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দেওয়াল নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। মনে প্রশ্ন জাগে, এ অবরুদ্ধ হতে যাওয়া ত্রিশ হাজার মানুষ কী এ সমাজের অ¯পৃশ্য ? তাদের কী কোন নাগরিক তথা মৌলিক অধিকার নেই? তারা কারা এ জনপদের বাসিন্দা? উপরোক্ত এলাকার একজন সংক্ষুদ্ধ ভূমিপুত্র ও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে জাতির বিবেকের কাছে বিষয়টা আমি তুলে ধরতে চাই।
বঙ্গোপসাগরের উর্মিল তটরেখায় সবুজ-শ্যামল পতেঙ্গা জনপদ। প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের লীলাভূমি হলেও তাদের মৌরসী জমির উপর বৃটিশ আমলে নির্মিত বিমান বন্দর যেন এ জনপদের মানুষের ললাটে চিরস্থায়ী দুঃখের তিলক । যখনি কোন যুদ্ধ হয়-সেই প্রথম থেকে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ, ষাটের দশকের পাক-ভারত যুদ্ধ এবং একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধ-তখনি এতদাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির অন্ত থাকেনি। প্রতিবার যুদ্ধে তাদের বাড়ি-ভিটে ছেড়ে পালাতে হয়েছে, জীবন রক্ষার তাগিদে। বঙ্গোপসাগরত আছেই চিরদুঃখের কারণ হয়ে। কিছু বছর পর পর ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসও এতদাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যলিপি হয়ে আছে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় বৃটিশরাজ তাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করে যুদ্ধের প্রয়োজনে আবাদী জমির উপর দিয়ে তৎকালীন বিমান বন্দরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে উত্তর-পশ্চিমে পূর্ব কাটগড় সড়ক পর্যন্ত— একটি পাকা সড়ক নির্মাণ করে, যুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে যা এম,ই,এস সড়ক নামে খ্যাত। সরকারীভাবে পি,এস, (ভূতপূর্ব পাকিস্তান সরকার পরিচালিত জরিপ) ও স্বাধীন-উত্তর বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত বি,এস জরিপে এ সড়কটি এম,ই,এস সড়ক নামে চিহ্নিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় হতে এ এমইএস সড়কটি এলাকার জনগণের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পতেঙ্গাস্থ বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত সুউচ্চ পাকা বাউণ্ডারী দ্বারা বৃহৎ মাইজ পাড়া থেকে এমনভাবে আলাদা করা যে, বেসামরিক এলাকার সাথে তার কোন সংস্রব নেই।
এ এম,ই,এস সড়কের পূর্বে যে বিশাল জনপদ, তার নাম পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর মাইজ পাড়া । এম,ই,এস সড়কে পশ্চিম পার্শ্বের যে জনপদ তার নাম চৌধুরী পাড়া। সে সড়কের উত্তর পূর্বে পূর্ব-কাঠগড়। উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম মাইজপাড়াকে অর্ধবৃত্তের মত বেষ্টন করে প্রবাহিত এ এম,ই,এস সড়ক যা সংযুক্ত হয়েছে কাঠগড় সড়কের মাধ্যমে শহরগামী সিডিএ সড়কের সাথে। একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমান বাহিনীর ঘাঁটির পরিবর্তে এখানে ছিল বেসামরিক বিমান বন্দর। এ বিমান বন্দরকে পাকিস্তানী সৈন্যরা ঘাঁটি করার প্রেক্ষিতে এ জনপদের বাসিন্দাদের জীবন চরমভাবে বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। তারপরও অপরিসীম ত্যাগ-তীতিক্ষার পাশাপাশি পাকসেনাদের প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছিল এ এলাকার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা। জীবন বলি দিয়েছিল অর্ধশতাধিক মানুষ। এপ্রিল মাসে এক রাতে পাঞ্জাবী হায়নারা চৌধুরী পাড়া সংলগ্ন শীল পাড়ার অর্ধশত লোককে ‘পাশ’ দেওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের করে, সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে, রাইফেল উঁচিয়ে নিয়ে গিয়েছিল । অতঃপর মধ্য রাতে রানওয়ের জিরো-ফাইভ পয়েন্টে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে, ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে তাদের দিয়ে খোঁড়ানো কূপে গণকবর দিয়েছিল। সে ভয়াবহ রাতের স্মৃতিচারণ করে এখনো শিউরে ওঠে এলাকাবাসী। তারা গর্বের সাথে স্মরণ করে ২৫ শে মার্চের পর কী অকুতোভয় সাহসে এ জনপদের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা হাতে রামদা ও মরিচের গুড়া নিয়ে পাক সেনাদের প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিয়েছিল। যুদ্ধ বিমানে করে প্রচুর পাঞ্জাবী সৈন্য পতেঙ্গা বিমান বন্দরে নামানোর পর গ্রামবাসীর এ প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাইজ পাড়ার হাবিলদার আলী হোসেন মাষ্টারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার পর তারা এলাকায় প্রবেশ করে। অতঃপর বাড়িতে বাড়িতে প্রবেশ করে মুক্তিফৌজ খোঁজার অজুহাতে নানা রকম নির্যাতন করা শুরু করল। তখন এতদাঞ্চলের মানুষ আবারো তাদের পৈতৃক ভিটে বাড়ি ছেড়ে পালাতে লাগল। অধিকাংশ পালিয়ে যেতে বাধ্য হল কর্ণফুলীর অপর পাড়ে । বাড়ি ঘর খালি পেয়ে পাঞ্জাবীরা প্রত্যেক পরিবারের হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল তুলে নিয়ে তাদের উদরপূর্তি করল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভিষীকার শিকার হয়ে যাদের পুর্ব পুরুষেরা হারিয়েছিল তাদের সহায় সম্পদ, তারা এবার দেশমাতৃকার স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রত্যক্ষ খেসারত দিতে গিয়ে আবারো বাস্তুচ্যুত হল। পতেঙ্গা জনপদের ছেচল্লিশ জন যুবক যার মধ্যে মাইজ পাড়া ও চৌধুরী পাড়ার ছিল ১৮ জন সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর এলাকাবাসী আবারো তাদের পরিত্যক্ত ঘরবাড়িতে ফেরত আসে। আজ সে এলাকায় প্রায় ত্রিশ হাজার জনগণের বসবাস।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন বৃটিশ সরকার আবাদী জমির উপর গ্রামের মধ্য দিয়ে যুদ্ধকালীন প্রয়োজনে এম,ই,এস সড়ক নির্মান করলেও উক্ত সড়ক নির্মাণের জন্য জমির কোন ক্ষতিপূরণ আমাদের পুর্ব পুরুষদের প্রদান করেনি । উক্ত এম,ই,এস সড়ক গ্রামের মধ্য দিয়ে নির্মিত বিধায় উপরোক্ত জনপদের লোকজনদের চলাচলের আর কোন বিকল্প রাস্তা বা সড়ক কখনো নির্মিত হয়নি। ফলতঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় হতে সে রাস্তা জনগণের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হিসাবে চালু আছে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর হতে বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এ রাস্তার উন্নয়ন ও মেরামত কাজ সম্পন্ন করে। উপরোক্ত জনপদের লোকজনের চলাচলের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয় ১৯৮৯ থেকে ২০০৬ আর্থিক সাল পর্যন্ত উক্ত এম,ই,এস সড়কের সাথে ১৭টি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছেন। সর্বশেষ স্থানীয় জনগণের অব্যাহত দাবীর প্রেক্ষিতে বিগত ২০০৪ ইং সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর এলজিআরডি মন্ত্রণালয় এক কোটি বাইশ লক্ষ টাকা খরচ করে চলাচলের প্রায় অযোগ্য সে এমইএস সড়কের উন্নয়ন সম্পন্ন করে তাকে যানবাহন ও জনগণের চলাচলের উপযোগী করে। বিগত সেপ্টেম্বর, ২০০৭ ইং থেকে বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাটি কর্তৃপক্ষ এম,ই,এস সড়কের উভয় পার্শ্বে এমনভাবে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে যাতে আমাদের উল্লে¬খিত তিনটি গ্রাম সস্পূর্ন একটি অবরুদ্ধ জনপদে পরিণত হয়। অতি সম্প্রতি বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি কর্তৃপক্ষ উক্ত সড়কের দু’পার্শ্বে পাকা দেওয়াল নির্মাণ করা শুরু করেছে, যার ফলে আমাদের উপরোক্ত জনপদ সম্পূর্ন অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। একটি সড়কের দু’পাশে দেওয়াল নির্মান করে পুরো সড়কটাকে একটি টানেলে পরিণত করার মাধ্যমে বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের কী লাভ হবে তা আদৌ বোধগম্য নয়, অথচ তাতে প্রায় ৩০,০০০ এলাকাবাসী অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। কারণ উপরোক্ত এমইএস সড়ক ছাড়া এলাকাবাসীর এলাকা থেকে বের হওয়ার আর কোন বিকল্প রাস্তা নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত নভেম্বর মাসে মাইজ পাড়ার একটি বাড়িতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংগঠিত হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েও কোন ভাবেই কাঁটা তারের বেড়ার জন্য সে বাড়িতে ঢুকতে পারে নি, যার সংবাদ পরদিন কয়েকটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। তাছাড়া কোন এ্যাম্বুলেন্স কিংবা যন্ত্রচালিত বাহন সে এলাকায় চলাচল করতে পারবে না।
তাছাড়া এমইএস সড়কের দু’পাশে কাঁটাতারের বেড়া ও সর্বশেষ দেওয়াল নির্মাণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ একতরফাভাবে এ সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে তারা পি,এস ও বি,এস জরিপ অনুসরণ করেন নি। আর,এস/ পি,এস/ বি,এস জরিপে নাম জারি থাকা এবং বি,এস খতিয়ান মোতাবেক ২০০৬ ইং সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধিত থাকা সত্ত্বেও কিছু পরিবারের আজীবনের সঞ্চয়ের বিনিময়ে নির্মিত পাকা বাড়ি ঘর গুড়িয়ে দিয়ে তাদের বসতভিটে বেদখল করা হয়েছে। তারা আজ শাব্দিক অর্থে বাস্তুচ্যুত। ক্ষতিগ্রস্থ এ সকল পরিবারও আলাদাভাবে আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। বাদীদের বারংবার আবেদন-নিবেদন সত্ত্বেও আদালত এ একতরফা দেওয়াল নির্মাণের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি ন্যূনতম একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান কিংবা তাদের প্রার্থণা নামঞ্জুর কিছুই করছেন না। সংশ্লিষ্ট বিচারকের এহেন আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ করছে বিচার বিভাগের সে বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতাকেও।
আমরা এ ত্রিশ হাজার মানুষ অত্র এলাকার এলাকার ভূমিপুত্র । আমাদের মৌরসী জমির উপর গড়ে উঠেছে বর্তমান বিমান ঘাটি । উপরোক্ত এমইএস সড়ক ব্যতিরেকে আমাদের চলাচলের কোন বিকল্প রাস্তা নেই এবং এ রাস্তাটি জহুরুল হক ঘাটির সাথে সংলগ্নও নহে, শুধু তার সাথে এ ঘাটির সংযোগ আছে। দেশে বিদ্যমান পথাধিকার আইন ( এইজমেন্ট এ্যাক্ট) অনুসারেও চলাচলের রাস্তা পাওয়া আমাদের মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভূক্ত। সরকার প্রযোজন মনে করলে এ এলাকার জনগণকে অন্যত্র পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করে আমাদের বাড়ি ভিটে আইনানুগভাবে অধিগ্রহণ করে বিমানঘাঁটির এলাকা বিস্তৃত করে নিতে পারেন। কিন্তু তা না করে যে ভাবে আমাদের সমগ্র এলাকাকে পাঁকা দেওয়াল নির্মাণের মাধ্যমে একটি অবরুদ্ধ জনপদে পরিণত করা হচ্ছে, তাতে এলাকার জনগণ বিনা ক্ষতিপূরণে তাদের বাস্তুভিটা ত্যাগ করতে বাধ্য হবে এবং এ দেওয়াল নির্মাণের মাধ্যমে স্বার্থন্বেষী কোন মহল সে চেষ্টা করছে বলে আমাদের বিশ্বাস।
একাত্তুরের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কাছে আমার নিবেদন-আমরাও এ দেশের নাগরিক, আমাদেরও আছে বেঁচে থাকার অধিকার, বাসস্থানের অধিকার-যা আমাদের মৌলিক অধিকারও বটে। তাই আমাদের বাস্তুচ্যুত করার ষড়যন্ত্র হিসাবে এ অযৌক্তিক দেওয়াল নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধ করুন ।
নিবেদক
এডভোকেট মোঃ জানে আলম(মুক্তিযোদ্ধা)
দক্ষিণ পতেঙ্গা, মাইজ পাড়া
ডাকঘর-মধ্যম পতেঙ্গা
চট্টগ্রাম-৪২২২