রাজাকারদের জন্য আলাদা গোরস্থান চাই
মুনতাসীর মামুন
বেশ কয়েক বছর আগে লন্ডনে এক প্রৌঢ় ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা। বিলেতে আছেন বছর পঞ্চাশেক হলো। আলাপের এক পর্যায়ে জানালেন, তিনি তার সন্তানদের বলেছেন, তাঁর মৃত্যু হলে তাঁকে যেন বাংলাদেশে তাঁর গ্রামের মাটিতে দাফন করা হয়। জানতে চাইলাম, কোন গ্রাম? তিনি আর গ্রামের নাম মনে করতে পারেন না। এটুকু মনে আছে তা নোয়াখালীতে। কিন্তু কিন্তু গ্রামটি আছে না নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে তা তার জানা নেই। কারণ প্রায় ৫০ বছর তার সঙ্গে গ্রামের কারো সঙ্গে যোগাযোগ নেই। ঘটনাটি বিস্ময়কর বটে কিন্তু সত্য। আমার কাছে আরো বিস্ময়কর মনে হয়েছে যে, তাঁর সঙ্গে সেই গ্রাম বা গ্রামের কেউ বা আত্মীয়স্বজন কারো সঙ্গে যোগাযোগ নেই, কিন্তু গ্রামে তিনি সমাহিত হতে চান। একেই বোধহয় বলে মাটির টান বা জন্মভূমির মায়া। আর এর জন্যই ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছিল। এ কারণেই জন্মভূমিকে অনেকে বলেন ‘মা’ বা মায়ের সঙ্গে তুলনা করেন। যদ্দুর মনে পড়ে গোলাম আযম একবার বলেছিলেন, যে দেশে থাকেন সেটিই দেশ। এখানেই আমাদের সঙ্গে জামাতিদের পার্থক্য। এখানেই বাঙালির সঙ্গে জামাতিদের পার্থক্য। যে দেশে জন্মেছি, সে দেশকেই দেশ বলে জানি।
এ ঘটনা মনে পড়লো পত্রিকায় একটি খবর দেখে। তিনদিন আগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিমের মৃত্যু হয়েছে (ইন্নালিল্লাহেঃরাজেউন)। এই রেজাউল করিম ১৯৭১ সালে পরিচিত ছিলেন রিজু রাজাকার নামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের একাংশ এক সময় তাকে বরখাস্ত করার দাবিতে আন্দোলন করেছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিত রাজাকার অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে এবং তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামাত। তাই আন্দোলনকারী শিক্ষক -ছাত্ররা নাজেহাল হয়েছিলেন ‘কিন্তু ‘রিজু রাজাকারের’ কিছু হয়নি। কিছু হলো তার মৃত্যুর পর। রিজুর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আগ্রহী পাঠক গত পরশুর ভোরের কাগজ ও সমকাল দেখতে পারেন।
রিজু রাজাকারের মৃত্যুর পর ঘটেছে চমকপ্রদ ঘটনা। তার দেশের মাটিতে তার কবর হয়নি। কিন্তু তার আগে দেখা যাক এই রিজু রাজাকার কে?
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রেজাউল করিম ওরফে রিজু রাজাকার ছিল মাগুরার কুখ্যাত খুনি রাজাকার। তার অন্যতম সহযোগী ছিল রাজাকার হাসান কবির। তাদের ডাকা হতো রিজু কবির নামে। মাগুরার মানুষজন তার হত্যাযজ্ঞের কথা ভোলেনি। রিজু বিচিত্র সব উপায়ে মানুষকে কষ্ট দিতো। লুৎফুন্নাহার হেলেনা ছিলেন একসময় ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী, ১৯৭১ সালে ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। তার দুবছরের শিশুসন্তান ছিল একটি। রিজু একদিন তার দলবল নিয়ে হেলেনাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়। অভিযোগ তার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ আছে। হেলেনাকে রিজু তুলে দেয় স্থানীয় পাকিস্তনি কমান্ডারের হাতে। সেখানে তিনি চরমভাবে লাঞ্ছিত হন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। লাঞ্ছনার পর হেলেনাকে জিপের পেছনে বেঁধে সারা শহর ঘোরানো হয়। তারপর মৃত হেলেনাকে খালের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। তাকে দাফন করতে পর্যন্ত দেয়নি রিজু রাজাকার। এ ছাড়া মাগুরার লুৎফর রহমান, গোলাম কবির, হামেদ মীর, লিটু - এ রকম প্রগতিশীল অনেককে মোট ১৩৬৫ জনকে হত্যা করে রিজু। তার বিশেষ আনন্দ ছিল মানুষ ‘জবেহ’ করা। রিজু কবির গং যে ১৩৬৫ জনকে হত্যা করেছিল তাদের তালিকা মাগুরার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্মূল কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। নির্মূল কমিটির সম্পাদক কাজী মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে তালিকা পেতে পারেন।
গোলাম আজম-নিজামী-মুজাহিদদের মতো ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমানের কল্যাণে রিজু পার পেয়ে যান। সসম্মানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সওয়ার হন।
এহেন রিজুর মৃত্যু হয়েছে দিন তিনেক আগে। তাকে দাফনের জন্য মাগুরা নিতে চেয়েছিল তার পরিবার-পরিজন। এ খবর পাওয়ার পর পুরো মাগুরা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এরকম রাজাকারের লাশ মাগুরার মাটিতে তারা দাফন করতে দেবে না। তখন তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ফেনীতে তার শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে তাড়াহুড়ো করে তার লাশ দাফন করা হয়। কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ নয়। ফেনীবাসী মুক্তিযোদ্ধারা খবর পেয়ে দাবি তুলেছেন, রিজুর লাশ ফেনী থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। ‘এ বিষয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে [ফেনীর] ফরহাদনগরের মাটি থেকে রাজাকারের লাশ প্রত্যাহার না করা হলে তারা স্থানীয়ভাবে আন্দোলন শুর" করতে বাধ্য হবেন।’ (যুগান্তর, ১৯.১২.০৭) রিজুর লাশের যদি এ অবস্থা হয় তাহলে বড়ো আল-বদরদের মৃত্যুর পর তাদের কী হবে?
দেয়ালের লিখন সবাই পড়তে পারেন না। যারা পারেন তারা উৎরে যান। রাজাকারদের আস্ফালনের পর সারা দেশে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত রাজাকারবিরোধী ঘৃণা ছড়িয়ে পড়েছে। রিজুর ঘটনা এর প্রমাণ। এ বছর রাজাকারবিরোধী ঘৃণা এখন আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। রাজাকাররা সঙ্গত কারণেই ভেবেছিল দেশে এখনো তারা ক্ষমতায় আছে। সে কারণেই ছিল তাদের আস্ফালন। কিন্তু আন্দোলনের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বঙ্গভবনের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে রাজাকারসমর্থক ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল/ব্যক্তি যায়নি। এরশাদের মতো মানুষ বঙ্গভবনে যাননি, ডা. বদর"দ্দোজা চৌধুরী যাননি। এমনকি সরকারসমর্থক বলে পরিচিত ড. কামাল হোসেনও যাননি। বঙ্গভবনের অনুষ্ঠান বয়কটের আহ্বান জানিয়েছিল সেকটর কমান্ডারস ফোরাম এবং নির্মূল কমিটি। শুধু তাই নয়, বঙ্গভবনেও ঘটেছে অশ্র"তপূর্ব ঘটনা। পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, তারা যদি জানতেন এখানে জামাত নেতারা আসবে তাহলে তারা আসতেন না। পূর্বোক্ত দুটি সংগঠন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিল এ বলে যে, বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে যেন যুদ্ধাপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাতকে আমন্ত্রণ জানানো না হয়। রাষ্ট্রপতি সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। শুধু বলবো, সরকার দেয়ালের লিখন বুঝতে অক্ষম। আর যারা দেয়ালের লিখন পড়তে অক্ষম তাদের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল-এমন কথা ইতিহাস বলে না।
মৃত্যু বা মৃতকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু খুনি যুদ্ধাপরাধীরা বাধ্য করছে মন্তব্য করতে। কারণ তারা মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি করে। বিশেষ করে ডানপন্থীরা। আপনাদের অনেকের এসব কথা শুনতে ভালো লাগবে না। কিন্তু সত্যের মুখোমুখি হওয়া দরকার।
বাংলা একাডেমির উল্টোদিকে তিন নেতার মাজারের কথা ধর"ন। সেখানে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও সোহরাওয়ার্দীর কবর দেওয়া হয়েছিল। খাজা নাজিমুদ্দিনের মৃত্যুর পর এ দুজনের মাঝে নাজিমউদ্দিনকে সমাহিত করা হলো যিনি ছিলেন বাঙালিবিরোধী যাতে ঐ দুজনের স্মৃতির মহিমা ম্লান হয়। স্বাধীনতাবিরোধী খান এ সবুরের কবর দেওয়া হলো জাতীয় সংসদ চত্বরে জাতীয় কবরস্থানে বিএনপি আমলে। ভাবা যায়! শুধু তাই নয়, খুলনা শহরে ঢোকার মুখে প্রধান সড়কের নাম তার নামে। এটি দেখে খুলনা আর যাইনি। আমি জানি না, খুলনাবাসী কীভাবে এই অমর্যাদাকর বিষয়টি মেনে নিলেন। জাতির জনক রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে শুধু নৃশংসভাবে হত্যা-ই করা হলো না তাঁকে কবর দেওয়া হলো টুঙ্গীপাড়ায়। অথচ জিয়াউর রহমানকে জাতীয় সংসদ চত্বরে! শুধু তাই নয়, সুদৃশ্যভাবে তা সংরক্ষণ করা হয়েছে, সেখানে যাওয়ার জন্য ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। ঐ সময় এ নিয়ে দুর্নীতির কথা উঠেছিল। কিন্তু , আমরা জানি দুদক তা গ্রাহ্য করবে না কারণ জিয়া সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি। অথচ যার অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে, যিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই তাজউদ্দিন আহমদকে দাফন করা হয়েছে নিতান্ত অবহেলায় বনানী কবরস্থানে। এভাবে প্রতিক্রিয়াশীল ডানপন্থীরা বাংলাদেশবিরোধী রাজাকার ও রাজাকার সমর্থকদের মহিমা তুলে ধরতে চেয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে। আমরা নিতান্ত নপুংসক, অকৃতজ্ঞ জাতি দেখে এর প্রতিবাদ করিনি।
এখন মনে হচ্ছে জাতির ঘুম ভাঙছে। নিজেদের মহিমা ও আত্মসম্মান তারা আবার ফিরে পেতে চাইছেন। মাগুরা-ফেনীর ঘটনা এর প্রমাণ। আত্মমর্যাদা পুনর"দ্ধারের এ আন্দোলন ও স্পিরিটকে সমর্থন জানিয়েছে নির্মূল কমিটি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সরকারসমর্থক কয়েকটি দল ছাড়া সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছেনÑ খুনিদের বিচার করতে হবে। না করলে হবে তা নৈতিক দুর্নীতি ও সুষ্ঠু নির্বাচনবিরোধী। এরপরও সরকার তা অনুধাবন না করলে আমাদের কিছু বলার নেই।
এটিও লক্ষ্যণীয় যে, এই প্রথম একটি দাবিতে ডান-মধ্য-বাম সবাই একমত। এ ধরনের ঐকমত্য হয়েছিল ১৯৭১ সালে। এবং আমরা জানি, এ ধরনের ঐকমত্য হলে কী হয়। শুধু সমাসীন সরকার তা বোঝে না।
রিজুর ঘটনার পর অনুমান করে নিচ্ছি, ভবিষ্যতে এ ধরনের রাজাকারের মৃত্যু হলে নিজ এলাকায় তার দাফন করা মুশকিল হবে। প্রতিদিন এ ঘটনা ঘটলে সরকার তা থামাবেন কী করে? কারো মৃত্যু নিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটুক তা আমরা চাই না। আমি তাদের উত্তরাধিকারীদের কথা ভাবি। তাদের কী হবে?
সম্প্রতি, সেনাপ্রধান একটি উত্তম প্রস্তাব দিয়েছেন। সাভার স্মৃতিসৌধে বীরশ্রেষ্ঠ সাতজনকে দাফন করার। সবাই এ প্রস্তাবকে সানন্দে অভিনন্দন জানিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্মূল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। রাষ্ট্রের স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে, জর"রি বিধিমালার স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, সরকার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। প্রস্তাবটি হলো, রাজাকারদের জন্য আলাদা গোরস্থান হোক। এখানে কুখ্যাত রাজাকারদের কবর দেওয়া হবে। সরকারি প্রটেকশনে। তাহলে স্থানীয় জনগণের ক্ষোভ থাকবে না। রিজুর ঘটনার মতো ঘটনা ঘটতে থাকলে সরকার বা রাজাকার পরিবারগুলো তা সামাল দেবে কী করে? সবার লাশ তো সৌদি আরব বা পাকিস্তানে পাঠানো যাবে না। এতে যে পরিমাণ অর্থ অপচয় হবে তার চেয়ে কম খরচে রাজাকার গোরস্থান কমপ্লেক্স করা যাবে। এতে রাজাকারদের উত্তরসূরিদের এবং আমাদেরও সমস্যার সুরাহা হবে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে না। তা না করলে, রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা সরকারের প্রতি চলে যেতে পারে যেটি আমরা চাই না। এমনিতেই সরকার সব করবে অথচ রাজাকারদের বিচার করবে নাÑ এ মনোভাবে সবাই ক্ষুব্ধ। আমরা মনে করি অরাজনৈতিক সরকারের উচিত, বিচারের প্রক্রিয়া শুর" করে দেওয়া। পরবর্তী সরকার যদি সে কাজ সম্পন্ন না করে তাহলে ঘৃণার দহনে তারাই জ্বলবে। এ সরকার কেন যুদ্ধাপরাধীদের দায় নেবে? মইনুল হোসেন বলেছেন, ৩৬ বছর যারা বিচার করেনি তাদের বিচার জর"রি। [ব্যারিস্টার সাহেব নিজে এক সময় সরকারদলীয় সাংসদ হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন] এ সরকার বিচার প্রক্রিয়া শুর" না করলে তাদেরও যে এ ধরনের বক্তব্যের সম্মুখীন হতে হবে না তার নিশ্চয়তা কে দিলো।’
স্মৃতিসৌধে বীরশ্রেষ্ঠরা সমাহিত হলে সেখানে দেশবাসী এই বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। সেটি একটি দ্রষ্টব্য স্থানও হবে যা এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সাহায্য করবে। তেমনি রাজাকার গোরস্থান হলে সেটিও দ্রষ্টব্য হবে। এবং বিভিন্ন এলাকার মানুষজনেরও ক্ষোভ থাকবে না। আমরা যেহেতু মৃতদের নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না তাই এই প্রস্তাব। শুধু সরকারই নয় রাজাকাররাও এ প্রস্তাব ভেবে দেখতে পারে। ১৯৭১-এ তারা ঐক্যবদ্ধ ছিল, মৃত্যুর পরও তারা একত্রে থাকবে। রাজাকাররা রাজাকারদের না দেখিলে আর কে দেখিবে? এ কথা যে কতো সত্য তার প্রমাণ, রিজুর মৃত্যুর পর শোক জানিয়েছে একমাত্র জামাতের চট্টগ্রাম শাখা এবং বলেছে এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। সারা দেশের আর কেউ এমনকি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও শোক জানায়নি। কেউ ভাবেনি যে তার ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়, একমাত্র রাজাকাররা ছাড়া। এবং সেটি খুবই স্বাভাবিক।
ড. মুনতাসীর মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, জনপ্রিয় কলামিস্ট, লেখক ও শিক্ষাবিদ। ঢাকা শহরের অতীত ইতিহাস নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন।