মুক্তিযুদ্ধ ও তপরবর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের ভুমিকা ও পরিনতি -১

-নুরুজ্জামান মানিক 

মুক্তিযুদ্ধকালীন সেনা অফিসার সঙ্কট ছিল প্রকটসেই সময় অধিকাংশের পোস্টিং ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে নজরবন্দি অবস্থায় তবে, সবাই নয় যুদ্ধকালীন পাকিস্তান থেকে ছুটিতে বা বিভিন্ন উপলক্ষে এদেশে এসেছেন আবার চলে গেছেন এমন অফিসারের সংখ্যা দেড়শতের মতো অর্থা ১৫০ অফিসারেরই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেবার সুযোগ ছিল কিন্তু যুদ্ধে যোগ দেন মাত্র ৩০/৩৫ জন অফিসার

 

                             মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া অফিসারদের আমরা দুভাগে ভাগ করতে পারি :

১) এদেশে কর্মরত যারা প্রতিরোধ পর্বে যোগ দিয়েছিলেন যথা মেজর সফিউল্লাহ , মেজর খালেদ, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর আবু ওসমান, ক্যা: হাফিজ প্রমুখ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, অনেক সিনিয়র বাঙ্গালী অফিসার যুদ্ধে অংশ নেয়া থেকে বিরত ছিলেন আবার অনেকে যথার্থ চেতনা ও দুরদর্শিতার অভাবে প্রাত্থমিক পর্যায়ে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র খালাস কার্যে নিয়োজিত থাকলেও পরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করেন যেমন মেজর জিয়া

২) পশ্চিম পাকিস্তানে নজরবন্দি অবস্থা হতে পালিয়ে এসে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন যেমন ডালিম ,নুর, মতি , জিয়াউদ্দিন, তাহের , মঞ্জুর প্রমুখ

উপরোক্ত সুর্যসন্তানগন প্রত্যেকেই রাখেন বীরোত্বপুর্ন ভুমিকা সরকার স্বীকৃতি দেন বী উ, বীবি , বীপ্র প্রভৃতি খেতাব কিন্তু এই স্বাধিন বাংলাদেশে তাদের মধ্যে খালেদ -হায়দার-হুদা-তাহের-জিয়া-মঞ্জুর প্রমুখ সেক্টর অধিনায়কসহ বী উ, বীবি , বীপ্র প্রভৃতি খেতাবধারী অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানি কে ব্রাশ ফায়ার ও ফাসি দ্বারা মরতে হয়েছে

যথা সম্ভব নির্মোহ ও বিহগদৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধ ও তপরবর্তিতে তাদের ভুমিকা ও পরিনতি বলার জন্য এই অধমের ক্ষুদ্রতম এই প্রয়াস

চলবে