বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের আজ ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। ২০০৬ সালের ২৫ জুন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে দেশের মাটিতে সম্মানজনকভাবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।এর আগে তাঁর সমাধি ছিল পাকিস্তানের করাচিতে। সেখানে তাকে মশরুর বিমানঘাঁটির চর্তুথ শ্রেণীর র্কমচারীদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে দাফন করেছিল ।
জানা যায় , ১৯৭১ সালে জানুয়ারির শেষে ছুটিতে তিনি দেশে আসেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের ওপর অমানবিক অত্যাচার শুরু করলে মতিউর রহমান তাতে মর্মাহত হন। এ হত্যাকান্ড তিনি মেনে নিতে পারেননি। তিনি এ সময় দৌলতকান্দিতে জনসভা করেন। তারপর বিরাট মিছিল নিয়ে ভৈরববাজারে গেলে পাকিস্তানি সৈন্যরা সে মিছিলে বাধা দেয়। তিনি দেশের জন্য বারবার কিছু করতে চাইলেও কিছু করতে পারছিলেন না। তাই মে মাসে পরিবার নিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যান। তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন পাকিস্তান থেকে একটা বিমান নিয়ে যেতে পারলে দেশে ফিরে যুদ্ধে যোগ দেবেন। এ কাজের জন্য তিনি ঠিক করেন ২০ আগস্ট দিনটি। সেদিন মশরুর বিমানঘাঁটি থেকে পাইলট অফিসার মিনহাজ রশীদের টি-৩৩ বিমানটি নিয়ে ওড়ার কথা ছিল। মতিউর রহমান ছিলেন তাঁর প্রশিক্ষক। প্রশিক্ষণকালে মতিউর রহমান বিমানটি নিজ নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মিনহাজের সঙ্গে ধস্তাধস্তির কারণে সেটা আর পারেননি। ভারতীয় সীমান্তে পৌঁছানোর আগেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি এবং মিনহাজ দুজনই মারা যান। পাকিস্তান সরকার মিনহাজ রশীদকে দিল সর্বোচ্চ খেতাব "নিশানে হায়দার" আর বাংলার বীর সন্তান মতিউরকে বলল বিশ্বাসঘাতক।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা যারা এনেছে
আমরা কি পারি তাদের ভুলিতে ?
না পারি না
তাই জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি
রইল অসীম শ্রদ্ধা ।ছবিসুত্রঃ www.kirtimaan.info