প্রসঙ্গ : বেনজীর হত্যাকান্ড
-নুরুজ্জামান মানিক
মোল্লাবাদ, সন্ত্রাসবাদ আর সামরিকতন্ত্র ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করলে যা
প্রস্তত হবে তা দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে ‘পাকিস্তান’। এই মিশ্রন থেকে যে ফল (!) আসার কথা তাই তো হচ্ছে।
সুতরাং, বেনজীর হত্যাকান্ডে দুঃখ প্রকাশের সুযোগ আছে কিন্তু বিস্মিত হবার কিছু নেই।
কেউ কেউ পাকিস্তানে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্িতত দেখছি। তাদের জন্য একটি প্রাপ্তবয়স্ক চুটকি :
‘‘পাকিস্তানের কোন এক অঞ্চলের গ্রামে নানা তার শিশু নাতি -নাতনী নিয়ে রাতে শুয়ে আছেন। কনকনে শীতের মধ্যরাতে নাতি-নাতনী দুজনেই ঘুম থেকে জেগে নানা কে বলল , তাদের হিঃসু (প্রকৃতির ডাক ) করতে হবে। নানা তার নাতি কে বলল , জানালায় দাড়িয়ে হিঃস করতে । নাতি যথারীতি তার কর্ম শেষ করল। এবার নাতনি’র পালা ।
নানা বলল, ওই গামলা টাতে হিঃসু কর । নাতনী বেকে বসল । ও জানালায় করলে আমিও জানালাতে হিঃসু করব । শুরু হল নানা-নাতনী’র দ্বন্দ্ব ।
নানা বলল , ওর যেটা আছে সেটা তোর নেই তাই তুই জানালায় হিঃসু করতে পারবি না। এবার নাতনী কেদে কেদে আবদার করলো ওরটা আমার নেই কেন ? আমাকে এনে দাও ?
নানা উপায়ন্তর না দেখে নাতনী কে আশ্বাস দিলঃ কান্দিস না । তুই বড় হলে ওরটা তোরও হবে । একটা না , অনেকটা ( নাতনী কে খুশি করার জন্য ) হবে । তবে , থাকবে না । আসবে আর যাবে। ’’
পাকিস্তানেও গণতন্ত্র আসবে একবার না, বারবার তবে স্থায়ী হবে না । আসবে আর যাবে।