ফরিদ ভাইয়ের লেখা (রেজু রাজাকার ...) প্রসঙ্গে  

-নুরুজ্জামান মানিক 

সরাসরিই বলি, আমি আপনার বক্তব্য ও মতামতের সাথে পুরোপুরি একমত এবং সজ্ঞানে আপনার মত আমিও নব্য রাজাকার এর খাতায় নাম লেখালাম

তবে, আপনার বিশ্লেষনে বাঙলির আবেগ ও হুজুগের কথা এসেছে কিন্তু আসেনি রাজনীতি ও কায়েমি স্বার্থবাদিতার কথা এবং সেই সাথে শ্রেনী  বিশ্লেষন 

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়টি আইনী ব্যাপার এবং বিচার হওয়াটা জরুরি সে ব্যাপারে আপনার ব্যখ্যা সঠিক, কিন্তু বিচার আগেও কেন হয়নি আর এখনও বা কেন হচেছ না, আন্দোলনেও কোন ঘাপলা আছে কিনা সেটা বিশ্লেষন করলে বেরিয়ে আসবে ওই রাজনীতির ভুমিকা (?) 

আর রেজু রাজাকারের লাশ কবর দেয়া নিয়ে যা হয়েছে বা এখনও হচেছ তা নিয়ে আপনার যে ব্যাখ্যা তার সাথে একমত হয়েও বলছি, এতে বিস্মিত হবার কিছুই নেই স্মর্তব্য, পাকিস্তান ও ইসলামপন্থি   হবার কারণে, বাংলাদেশের  অন্যতম কবি ফররুখ আহমেদ (ড.আহমদ শরীফ এর মতে, চল্লিশ দশকের বাঙ্গালী মুসলমান কবিদের মধ্যে একমাত্র তারই কবিত্ব ছিল ) লাশ কবর দেয়া কেন্দ্র করেও রাজনীতি হয়েছিল সেই সময় যখন খান এ সবুর, খালেক মজুমদার প্রমুখ  বড় বড় রাজাকার আলবদর দালালরা সসম্মানে জেল মুক্তি পাচ্ছিলেন  

এই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক রাজাকার শিরোমনি (শাহ আজিজ )কে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল যদু মিয়া, মওলানা মান্নান , আনোয়ার জাহিদ, নিজামী, মুজাহিদ এর কথা তো বলাই বাহুল্য

৭২-৭৩ সালে জহির রায়হান এর বোন নাফিসা কবিরের বুদ্ধিজীবি হত্যা ও যুদ্ধাপরাধিদের বিচার আন্দোলন যে কারণে ব্যর্থ হয়েছিল সেই একি কারণে ব্যর্থ হয়েছে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯২-৯৪ সালের ঘাদানিক এর  আন্দোলন 

চলবে