স্বাধীনতার নেপথ্যের ইতিহাসঃ আমরা যাদের ভুলে গেছি -১
নুরুজ্জামান মানিক
(যারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন, মেজর জিয়া'র ২৬ ও ২৭ মার্চ ১৯৭১ সালের ঘোষনার প্রেক্ষিতে বাঙ্গালী না থুক্কু বাংলাদেশী আমজনতা মুত্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা এই লেখা পড়লে তাদের মুল্যবান সময় নষ্ট হতে পারে)
"হয়তোবা ইতিহাসে তোমাদের নাম লিখা হবে না,
বড় বড় লোকেদের ভীড়ে
জ্ঞানী আর গুনিদের আসরে
তোমাদের কথা কেউ কবে না"-খান আতাউর রহমান।
১। ১৯৬৪সালে আইয়ুব খানের সাবেক আইন মন্ত্রী জাস্টিস ইব্রাহিম কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে একটি গোপন ফোরাম। এর সাথে জড়িত হন সিরাজুল আলম খান , মাজহারুল হক, এহতেশাম হায়দার চৌধুরী ,কাজি আরেফ আহমেদ প্রমুখ। ক্ষুদ্রাকারে হলেও এই ফোরামই সর্বপ্রথম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিয়ে চিন্তা -ভাবনা শুরু করে। আর সিরাজুল আলম খান (দাদা ভাই বা কাপালিক ) এর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটা অংশ কাজ করতে থাকে "স্বাধিন বাংলা নিউক্লিয়াস" হিসেবে। অথচ নিয়তির কি নির্মম পরিহাস জাস্টিস ইব্রাহিম এর নাম আর কেউ উচ্চারন করে না , স্বাধিনতার ইতিহাস রচিয়তারাও লিখেন না তার নাম ।
২। মুক্তিযুদ্ধের একটি পরিচিত আলোকচিত্র হল ,রোকেয়া হলের ছাত্রীদের রাইফেল হাতে মিছিল। উল্লেখ্য, এটি ছিল জয়বাংলা বাহিনী'র মিছিল যার অধিনায়ক ছিলেন খসরু ও মমতাজ বেগম । মমতাজ বেগম এর নাম আর কেউ উচ্চারন করে না (নারী বলেই কি এই চেপে রাখা ? ) আর খসরু কে চিনি আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রথম চলচ্চিত্র "ওরা ১১ জন " এর নায়ক হিসেবে কিন্তু চিনতে /জানতে চাইনা মুক্তিযুদ্ধের আগে ও মুক্তিযুদ্ধকালীন তার বিরোত্বপুর্ন ভুমিকার কথা ? ২৫ শে মার্চের অপারেশন সার্চ লাইটের অন্যতম টার্গেট ছিলেন এই খসরু । আমরা কয়জন জানি , পানির ট্যাঙ্কিতে সারাদিন লুকিয়ে থেকে তার আত্বরক্ষার কথা।
৩। বাংলাদশের প্রথম পতাকার পরিকল্পনার সাথে সংশ্লিস্টদের কথা কি আমাদের মনে আছে? এই পরিকল্পনার অন্যতম একজন ছাত্রলীগ এর বিপ্লবী গ্রুপ "স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস"র সদস্য চিশতি হেলালুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে ২৫ শে মার্চের পাক বাহিনীর "অপারেশন সার্চ লাইট" এর শিকার হয়ে শহীদ হন অথচ ঢাবি এর শহীদের তালিকায় তার নাম নেই? আর পতাকা'র নকশাকার শিব নারায়ন দাশ এর কথা নেই কোন সরকারি দলিলে বরং আছে কামরুল হাসানের নাম ।
চলবে