হ্যা , আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি !   

                                                    নুরুজ্জামান মানিক

 

হ্যা
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় সামরিক বুৎপত্তি অর্জনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিয়েলন
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যিনি পাকিস্তান থেকে ছুটিতে এসে এদেশকে স্বাধীন করার লড়াকুদের ট্রেনিং দিতেন
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যিনি সর্ববৃহত্ ১১ নং সেক্টর এর অধিনায়কত্ত্ব করেছিলেন
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যিনি কামালপুর সম্মুখযুদ্ধে বাম পা হারিয়েছিলেন
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যিনি সেনা অফিসারদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়েছিলেন
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যিনি সেনাবাহিনীকে উতপাদনমুখী করার পরকল্পনা করেছিলেন
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যিনি জাসদ’র বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ও গনবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যিনি জিয়াকে মুক্ত করেছিলেন সফল সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যাকে জিয়া বলেছিলেন ‘ইউ আর মাই ব্রাদার ,ইউ আর মাই সেভার ’
আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
যিনি ছিলেন প্রথম সেনা অফিসার যাকে ফাসী দেয়া হয়েছিল । তারিখ ২১ শে জুলাই ১৯৭৬ ভোর ৪টা । 

জীবন মৃত্যুর মুখে একেছো মোহর
 পোষ্টম্যান ফেরী করে এখন তোমাকে;
তুমি আর ব্যক্তি নও , তুমি যে খবর
আমাদের প্রতিপক্ষ সে খবর রাখে ?

অলক্ষ্যে নিজের মৃত্যু যে পায়নি টের
সে জানে না বিপ্লবের পতাকা তাহের ।

                                           -মুহম্মদ নূরুল হুদা

হা বিপ্লবের পতাকাই যদি হয় স্বয়ং তাহের তবে তাকে হত্যা করতে পারে কোন শালা ! নিঃসঙ্ক চিত্তের তাহের কি মরতে পারে ? নাকি তাকে কেউ পারে মারতে ?তাহের নিজেও তা’ জানতেন বলেই " সকালে দাড়ি কেটে, পছন্দের নীল শার্ট পরে, আম কেটে খেয়ে, নিজের রচিত বিপ্লবের কবিতা আবৃত্তি করে ফাঁসির মঞ্চে ওঠেন আর ফাঁসির রশি নিজ হাতে গলায় পরেন " ।
আর এভাবেই কাপুরুষেরা যখন নিজ গৃহকেই পৃথিবীভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করেছিল তখন তাহের সারা পৃথিবীকেই তার আপন ঘর করে নিয়েছিল ।

আর এভাবেই বাঙালীর সংগ্রামী প্রেরনায় তিতুমির,ক্ষুদিরাম, সুর্যসেন, আসাদ, লে ক মোয়াজ্জেম , সিরাজ শিকদার প্রমুখের নামের পাশে কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম এর নামও যুক্ত হল ।

হা যা বলছিলাম ,এই সব বিপ্লবীদের শারীরিকভাবে হত্যাকান্ডে যারা ইল্লাসিত হয়েছিল তাদের মত হাদারামরা বুঝেনি তাতে তাতে আসলে বেড়ে গেছে বিপ্লবেরই স্পর্ধা ।

একটু খেয়াল করে দেখুন তো তিতুমির,ক্ষুদিরাম, সুর্যসেন, আসাদ, লে ক মোয়াজ্জেম , সিরাজ শিকদার , তাহের -আজও
তাদের উপস্থিতি টের পান কিনা ? স্বেরাচার বিরোধী আন্দোলনে-কানসাটে -ফুলবাড়ীতে-ভবদহে ।