ডিম্বের সন্ধান এবং রাশেদ খালীফা ও তার ম্যাথমিটিকল মিরাকল অব কোরআন তত্ত্ব

নাস্তিকের ধর্মকথা

একঃ ডিম্বের সন্ধানে

আমার আগের প্রবন্ধখানিতে (ধর্মে বিজ্ঞান সংক্রান্ত, লিংকঃ https://gold.mukto-mona.com/Articles/nastiker_dharmakatha/science_in_religion.htm) একখানে উল্লেখ করিয়াছিলাম, "আল্লাহ পাক কি সমস্ত কোরআনে একবারের জন্যেও পৃথিবীর গোলাকৃতির কথা জানাইতে পারিতেন না, বা পৃথিবীই যে সূর্যের চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করিতেছে তাহা সরাসরি ওনার বান্দাদের জানাইলে কি এমন হইতো?"


হঠাতই সেইদিন একবিজ্ঞজনের আলোচনায় দেখিলাম তিনি সদর্পে ঘোষণা করিয়াছেন যে, "মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন কোরআন মাজীদে পৃথিবীর আকৃতি এরশাদ করিয়াছেন" আমার তো ভীমিড়ি খাইবার দশা, হায়! হায়! ইহা তিনি কি বলিতেছেন চক্ষু রগড়াইয়া দেখিলাম আল্লাহ পাকের সেই বানী,"And we have made the earth egg shaped".[Al-Qur’an 79:30]

যাহার মানে দাঁড়াইতেছে পৃথবীকে আল্লাহ পাক ডিম্বাকৃতির করিয়া বানাইয়াছেন!


সুতরাং, কাল বিলম্ব না করিয়া আমার সেই প্রবন্ধখানির জন্য নাকে খত দিবার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা আরম্ভ করি যদিও আমি কোরআন মাজীদের কয়েকখানি অনুবাদ আদ্যপান্ত পাঠ করিয়াই উপরিউক্ত সিদ্ধান্ত জানাইয়াছিলাম, তথাপি বিশালাকায় কোরআন পাক পাঠকালে উক্ত আয়াত হয়তোবা কোন কুক্ষণে আমার দৃষ্টির আড়ালে চলিয়া গিয়াছিল ইহা ভাবিয়া মনে বড়ই ক্লেশ অনুভব করিতেছিলাম


তো, আমার সেই প্রবন্ধখানিতে আমার এই বক্তব্য তুলিয়া নিবার ও করজোরে ক্ষমা প্রার্থণার উদ্দেশ্যে যাইতেছিলাম ইত্যবসরে কি মনে করিয়া জহুরুল হক সাহেবের অনুবাদখানি খুলিয়া দেখিলাম ৭৯ নম্বর সুরা সুরা আন নাযিয়াত ৩০ নম্বর আয়াত এবার আবারো ভীমড়ি খাইবার দশা অনুবাদে ডিম্ব খুঁজিয়া পাইলাম না অনুবাদে যাহা পাইলাম তাহা এইরূপঃ "আর পৃথিবী- এর পরে তাকে প্রসারিত করেছেন" ভাবিবালাম, জহুরুল সাহেবের অনুবাদের উপর নির্ভর করা ঠিক হইবে না অন্য অনুবাদের খবর লইতে হইবে ঢুকিলাম ইসলামী সাইট কোরআনা শরীফ ডট অর্গে

(http://www.usc.edu/dept/MSA/quran/079.qmt.html) সেইখানেও দেখি অনুবাদ করা হইয়াছে এইরূপে:

"পৃথিবীকে এরপরে তিনি বিস্তৃত করেছেন"

"And after that He spread the earth "


তথাপি মন ভরিলো না ভাবিলাম, বিজ্ঞজন যেহেতু বলিয়াছেন সেহেতু নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও ডিম্ব পাওয়া যাইবেই যাইবে তাই খুঁজিতে থাকিলাম এবার আরেকটি সাইটে (http://www.usc.edu/dept/MSA/quran/079.qmt.html)খোঁজ লাগাইলাম সেইখানেও দেখি :
YUSUFALI: "And the earth, moreover, hath He extended (to a wide expanse)"
PICKTHAL: "And after that He spread the earth"

SHAKIR: "And the earth, He expanded it after that"


কিছুখানি দমিয়া যাইলেও হতাশ হইলাম না, কেননা ইহার মধ্যেই ডিম্ব খুঁজিয়া পাইবার দুর্বার আকাঙ্খা আমার মধ্যে বাসা বাঁধিয়াছে প্রথমে ভাবিলাম, সেই বিজ্ঞজনের শরনাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কর্ম হইবে ওনাকে বিস্তারিত জানাইলে তিনি সদয় হইয়া আমাকে একখানি সাইটের লিংক

 (http://www.irf.net/irf/dtp/dawah_tech/t15/t15b/pg1.htm) দিলেন খুশীমনে সেইখানে ঢুকিয়া দেখিলাম তাহা কোরআন শরীফের অনুবাদমূলক সাইট নহে, বরং কোরআনকে নিয়া বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবমূলক সাইট সেইখানে অবশ্য ডিম্ব সংক্রান্ত একখানা আলোচনা পাইলাম একই ধরণের আলোচনা পরবর্তীতে আরেক বিজ্ঞজনের একখানি আলোচনাতেও দেখিলাম যাহা মহাগুরু জাকির নায়েক সাহেবের আলোচনা হইতে অনুবাদকৃত তাহাই এইখানে  তুলিয়া দেওয়া সকলের জন্য সুবিধাজনক হইতে পারে:
وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا

"And we have made the earth egg shaped" [Al-Qur'an 79:30]
"এবং আমি পৃথিবীকে তৈরী করেছি ডিম্বাকৃতিতে।" (আল কুরআন - ৭৯ : ৩০)
এখানে লক্ষ্য করার মতো বিষয় : প্রদত্ত আয়াতে আরবী শব্দ دَحَاهَا ( দাহাহা) মানে ডিম্বাকৃতি ইহা বর্ধিত হওয়াকেও বুঝায় دَحَاهَا ( দাহাহা) শব্দটা এসেছে "দুহিয়া" থেকে যার অর্থ বিশেষভাবে অস্ট্রিচ পাখির ডিম যেটা geospherical সাইজের, ঠিক পৃথিবীর আকৃতির মতো"

অবশেষে ডিম্বের সন্ধান পাইয়া কিছুখানি আস্বস্ত হইলেও একেবারে নির্ভার হইতে পারিলাম না মাথায় প্রশ্ন আসিয়া বড়ই ক্লেশ তৈরী করিতে লাগিলো: دَحَاهَا অর্থ যদি ডিম্বাকৃতিই হইবে তবে কেনবা সকল অনুবাদে (এই পর্যন্ত ১১ জন কৃত অনুবাদ দেখিয়াছি, আরো দেখিতেছি..) বিস্তৃত, spread, extended, wide expanse প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হইলো?

তাই ভাবিলাম এইবারে دَحَاهَا শব্দ খানি দেখা যাউক যেইভাবা সেই কাজ ড. ফজলুর রহমান সাহেবের বাংলা-আরবী অভিধানে দেখিলাম, বাংলা একাডেমির অভিধানেও দেখিলাম এবং সর্বশেষে নেটেও কয়েকখানা অনলাইন ডিকশনারি সাইটে দেখিলাম সর্বত্রই পাইলাম এইরূপ অর্থ:
دَحَا অর্থ বিস্তৃত, spread, extended প্রভৃতি অর্থসমূহ আর هَا অর্থ এই, এটি বা This দুঃখের সহিত লক্ষ করিলাম যে, কোথাও কোন রূপ ডিম্ব পাওয়া যাইতেছে না দুহিয়া শব্দটিও খোঁজার চেষ্টা করিলাম, উল্টোদিকে উটপাখির ডিম্ব, ডিম্ব, ডিম্বাকৃতি, উটপাখি প্রভৃ্তি শব্দসমূহের আরবী প্রতিশব্দও খুঁজিয়াও কোথাও دَحَاهَا বা "দুহিয়া" পাইলাম না

মন ভাঙিয়া যাইবার দশা যখন দেখিলাম

(http://online.ectaco.co.uk/main.jsp;jsessionid=bc30ebf38e09352d3074?do=e-services-dictionaries-word_translate1&direction=1&status=translate&lang1=23&lang2=ar&source=egg) ডিম্বের আরবী بيضة, بييصة, شخص متساهل এইসকল শব্দ দেখিলাম ডিম্বাকৃতির আরবী بيضاوي দেখিলাম উটপাখির আরবী نعامة, النعامة من يحاول إجتناب الخطر برفض مواجهته

ব্যর্থ মনোরথে হাল ছাড়িয়া দেওয়ার আগে শেষ চেষ্টা চালাইলাম তাফসীর দেখিলাম সমস্ত মুসলিম বিশ্বে শ্রদ্ধার পাত্র Ibn Kathir এর কোরআন তাফসীর

(http://www.tafsir.com/default.asp?sid=79&tid=56986) দেখিতে লাগিলাম যাহা পাইলাম তাহা এইরূপ:

"Then Allah says,

[وَالاٌّرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَـهَا ]

(And after that He spread the earth,) He explains this statement by the statement that follows it,

[أَخْرَجَ مِنْهَا مَآءَهَا وَمَرْعَـهَا ]

(And brought forth therefrom its water and its pasture.) It already has been mentioned previously in Surat Ha Mim As-Sajdah that the earth was created before the heaven was created, but it was only spread out after the creation of the heaven. This means that He brought out what was in it with a forceful action. This is the meaning of what was said by Ibn `Abbas and others, and it was the explanation preferred by Ibn Jarir. In reference to the statement of Allah,

[وَالْجِبَالَ أَرْسَـهَا ]

(And the mountains He has fixed firmly,) meaning, He settled them, made them firm, and established them in their places. And He is the Most Wise, the All-Knowing. He is Most Kind to His creation, Most Merciful. Allah then says,

[مَتَـعاً لَّكُمْ وَلاًّنْعَـمِكُمْ ]

(As provision and benefit for you and your cattle.) meaning, He spread out the earth, caused its springs to gush forth, brought forth its hidden benefits, caused its rivers to flow, and caused its vegetation, trees, and fruits to grow. He also made its mountains firm so that it (the earth) would be calmly settled with its dwellers, and He stabilized its dwelling places. All of this is a means of beneficial enjoyment for His creatures (mankind) providing them of what cattle they need, which they eat and ride upon. He has granted them these beneficial things for the period that they need them, in this worldly abode, until the end of time and the expiration of this life."

এইবারে ভাবিলাম, থাক আর কাজ নেই এত খুঁজিয়াও যেহেতু ডিম্বের খোঁজ মিলিতেছে না, তবে আমার বরাতে সম্ভবত ডিম্ব নাই কিন্তু দুই দুই জন বিজ্ঞ মহাশয় এবং মহাগুরু জাকির নায়েকের কথাও বা অবিশ্বাস করি কেমনে? শেষে তাই ভাবিলাম, ওনারাও সম্ভবত বেঠিক কিছু বলেন নাই আসলেই কোরআনে উক্ত আয়াতে ডিম্বের কথা বলা হইয়াছে তবে তাহা হয়তোবা উটপাখির নহে, অশ্বের হইবার সম্ভাবনাই অত্যাধিক

দুইঃ রাশেদ খালীফা, ম্যাথমেটিকল মিরাকল অব কোরআন এবং কোরআন টেম্পারিং

গত কয়েকদিন ডিম্ব খুঁজতে খুঁজতে অবস্থা একেবারে কেরোসিন শেষে তো হাল প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম

কিন্তু পুরো ছাড়িনি

তার ফলও পেলাম হাতেনাতে অবশেষে ডিম্ব পেলাম অশ্ব ডিম্ব নয়, একেবারে উটের ডিম্ব এখান থেকেই دَحَاهَا অর্থ যে ডিম্বাকৃতির তা সকলে প্রথম জানতে পারে


লিংকটি হচ্ছে সাবমিশন ডট অর্গের ( http://www.submission.org/suras/sura79.html), আরবী থেকে ইংরেজীতে অনুবাদ করেছেন রাশেদ খলীফা অনুবাদটি আগে দেখে নিই:


[79:30] He made the earth egg-shaped.


এবং শেষে স্পেশাল নোটও আছেঃ

79:30 The Arabic word “dahhaahaa” is derived from “Dahhyah” which means “egg”.

অবশেষে ডিম্বের সন্ধান পেয়ে আমি তো যারপরনাই খুশী এবং এই রাশেদ খলীফার প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞবোধ করতে থাকি সেই কৃতজ্ঞতাবোধের জায়গা থেকেই তাঁর প্রতি সাহী হয়ে উঠি এবং ওনার সম্পর্কে খোঁজ শুরু করে দেই

রাশেদ খালীফাঃ

তিনি মূলত একজন বায়োকেমিস্ট ছিলেন মিশরে জন্ম হলেও ১৯৫৯ সালে আমেরিকায় বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করতে যান এবং সেখানেই থেকে যান তিনি ইউনাইটেড সাবমিটার ইন্টারন্যাশনাল (USI) নামে গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন, যারা নিজেদেরকে প্রকৃত ইসলামের অনুসারী বলে দাবী করতো এই গ্রুপ কখনো ইসলাম শব্দ ব্যবহার করেনি, বদলে ব্যবহার করে সাবমিশন এবং মুসলিমের বদলে ব্যবহার করে সাবমিটার (http://en.wikipedia.org/wiki/Rashad_Khalifa#Life)

ম্যাথমেটিকল মিরাকল অব কোরআন এর জনকঃ

রাশেদ খালীফা ১৯৭৪ সালে তার বিখ্যাত ম্যাথমেটিকল মিরাকল অব কোরআন প্রকাশ করেন এই তত্ত্বের মূলে আছে একটি সংখ্যা ১৯ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এ আছে ১৯ টি অক্ষর, মোট সুরার সংখ্যা ১১৪ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য, আয়াতের সংখ্যা ৬৩৪৬ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য, মোট অক্ষর ১৬২১৪৬ যাও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য এমন আরো বিশাল একটি তালিকা তিনি বের করেন, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য বা কোন না কোন ভাবে ১৯ এর সাথে সম্পর্কযুক্ত

কোরআনের বাইরেও তিনি প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘটনার মধ্যেও তিনি ১৯ কে নিয়ে আসেন (যেমন হ্যালির ধুমকেতু ৭৬ বছর (১৯*৪) পর পর আবির্ভুত হয়)

রাশেদ খালীফার মতে এই ১৯ এর ব্যাপারটি কোরআনের ৭৪ নম্বর সুরাতেই বিদ্যমান

আল্লাহর ম্যাসেঞ্জারঃ

এরপরে তিনি নিজেকে আল্লাহর ম্যাসেঞ্জার হিসাবে দাবি করেন

(http://islam.thetruecall.com/modules.php?name=News&file=article&sid=292) তিনি কোরআনের ৩:৮১ কে নিজের মত করে অনুবাদ ও তাফসীর করে জানান যে, প্রোফেট বা রাসুল হলেন তারা যারা আল্লাহর ওহী প্রাপ্ত হন, এবং ম্যাসেঞ্জার হলো তিনি যিনি রাসুলের প্রতি নাযিলকৃত ওহীকে যথার্থতা প্রদান করবেন তিনিই কোরআনকে তার প্রকৃত রূপে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন বিধায় তিনি সেই ম্যাসেঞ্জার

এবারে আবার ম্যাথমেটিকল মিরাকল দিয়ে প্রমাণ করে দেন যে তিনিই সেই ম্যাসেঞ্জার তিনি এই আবিষ্কার জানান ১৯৭৪ সালে এই ১৯ এর অলৌকিকত্ব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ৭৪ নম্বর সুরায়, তিনি এই আবিষ্কার করেন ১৯৭৪ সালে এই বছরটি হলো হিজরী ১৪০৬ ১৪০৬ = ১৯*৭৪ অতএব, তিনিই আল্লাহর ম্যাসেঞ্জার ( http://www.submission.org/tampering.html)

কোরআনকে যথার্থতা প্রদানঃ

এই আর্টিকেলটি ( http://www.submission.org/tampering.html) পড়লে মোটামুটি তার থিউরিটি বুঝা যাবে তিনি বলেন, দুনিয়া জুড়ে যে দাবী করা হয় সর্বত্র কোরআন অবিকল একই- তা আসলে ঠক নয় কোরআনের অনেকগুলো ভার্সন পৃথিবীতে ছিল এবং আছে যেগুলোর একটির সাথে আরেকটিতে ব্যবধান বিদ্যমান মিশরীয় এডিশনে প্রাপ্ত দুনিয়ার প্রাচীণ Tashkent কোরানের সাথে মিলিয়ে দেখলেও বুঝা যায় এই ব্যবধান আজকের মোটামুটি যে গোটা দুনিয়ায় মোটামুটি একই ধরণের আদর্শ কোরআন পাওয়া যায় তা ১৯২৪ সালে মিশরের কায়রোতে ছাপানো এবং পরবর্তীতে সৌদি বাদশা ফাহাদের ছাপানো

তিনি এরপরে জানান, এসব কোরআনের বিভিন্ন কপিতে মনুষ্যকৃত ভুল থেকে গিয়েছে এবং প্রকৃত কোরআন পাওয়া সম্ভব সেই ১৯ দিয়েই এভাবে তিনি কোরআনকে পরিবর্তনে (তার মতে শুদ্ধ ও সঠিক কোরআন উদ্ধারে) নামেন

সেখানে ধরে ধরে বিভিন্ন শব্দের শেষে, মাঝে শুরুতে অক্ষর দেয়া, আয়াত বাড়ানো-কমানো প্রভৃতি কাজ সমূহ করেন- যার ভিত্তি ছিল ১৯ থিউরি


প্রশ্নঃ
কোনটি ঠিক?

রাশেদ খালীফা যদি বেঠিক হন, তবে তার প্রচারিত থিউরি দিয়ে দুর্বল মুসলমানদের ইমান শক্ত-পোক্ত করার চেষ্টা কেমন?