জাতীয় কবিতা পরিষদ-

কবি ও অকবির পার্থক্য নির্ণায়ক কারা?

রণদীপম বসু 

          প্রিয় পাঠক, আলোচ্য প্রসংগে প্রবেশের আগে বিষয় সংশ্লিষ্টতার কারণেই প্রথমে আমরা একটি কবিতার মধ্য দিয়ে ঘুরে আসতে চাই 

          ‘এখানে যে ভাঙাচোরা মানুষগুলো একত্রিত হয়েছেন,

প্রত্যেকেই অসম্পূর্ণ

এক অদ্ভুত জৈবিক মোহে তাড়িত সবাই;

অথচ ভুলেও উচ্চারণ করবেন না সে কথা

নিজেকে আবৃত রেখে অন্যের নগ্নতা দেখায়

কতোটা আগ্রহী হলে

কামার্ত ষাঁড়ের জিহ্বার মতো

মানুষের চোখে চোখে নেচে ওঠে আঠালো অক্ষরের ক্ষত-

নিরন্তর চোখাচোখি করে কেউ কেউ জেনে যাবেন ঠিকই

এবং এ কথাগুলো জেনে গেলে

হয়তো অপাঙ্গে কেউ নিজকেই খুঁজবেন আবার,

দেখে নিতে- পোশাকের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

কতোটা অটুট এখনো 

 

সংজ্ঞাহীন তুলনামূলক প্রাণীর কোন অবয়ব থাকে না;

মানুষের ভেতরেও তাই মানুষের ছবি নেই

একগাদা প্রাণী আর অপ্রাণীর ব্যাখ্যাহীন স্বভাব নিয়ে

নিরন্তর ছুটাছুটি শুধু 

 

এখানে এসেছেন যারা-

সবাই পকেটে ভরে এনেছেন কিছু না কিছু;

জোনাকির গুঞ্জন নিয়ে এসেছেন কেউ

নীরবতার নতুন কোন অর্থ খোঁজবেন এরা;

কারো বা পকেটে আছে ভ্রুণ হত্যার বৈধ প্রত্যয়ন

এইমাত্র খুন হলো যার অবারিত শৈশব

কিংবা যে কিনা অজান্তেই ফিরে গেছে

কোন এক ভুল কৈশোরে

তারুণ্যের হৈ চৈ চোখে এসে গেছে সেও

সঙ্গী শরীরীর খোঁজে 

 

এমনো আছেন কেউ নিজস্ব পকেট ভুলে

নির্দ্বিধায় ঢুঁ দেবেন অন্য কারো পকেটে পকেটে;

এবং আমার মতো নির্বোধ এসেছেন যারা-

এখনো সত্যিই পকেটহীন,

সদ্যজাত নগ্নতার ভাবার্থ খুঁজে খুঁজেই

কাটাবেন আরো কিছুকাল

আর যারা রয়েছেন পকেটের অজ্ঞাত খবর নিয়ে

হতে পারে কোন এক মাহেন্দ্র-মুহূর্তে

ঝাঁপি খুলে চমকে দেবেন! 

 

তবে সবারই লক্ষ্য আজ

মাননীয় প্রধান অতিথির সুদৃশ্য পকেটের ভাজে

যেখানে এক অভূতপূর্ব দক্ষতায়

মানুষের বিবিক্ত অনুবাদ হবে!

 

যদি একান্তই এসে পড়েন তিনি

সময়ের দুষ্ট-ক্ষেপনে ঘৃণা করতে করতে

উঠে আসবেন মঞ্চে

এবং একযোগে অবাক হয়ে দেখবে সবাই

মাননীয় অতিথির বুকে- কোথায় সে পকেট?

ওখানে বিশাল ক্ষত!

কারণ, এরই মধ্যে সর্বত্র গুঞ্জন হচ্ছে

তিনি নাকি এখন এক তুমুল ছিনতাইয়ের কবলে! 

 

অতএব আজকের এ সমাবেশ

অসমাপ্ত রইলেও

যারা এসেছেন আজ- অন্তত জেনে যাবেন এটুকুই

মানুষের পরিচয় একমাত্র মানুষই ছিনতাই করে’ # 

          (একটি অসমাপ্ত সমাবেশ/ রণদীপম বসু)

 

          ০১ তারিখ শুক্রবারঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে বিকেল ৩.০০টা থেকে শুরু হয়েছে প্রথম পর্বের কবিতা পাঠ অনুষ্ঠান-মঞ্চের দিকেই যাচ্ছিদূর থেকে লাউড স্পীকারে ভেসে আসছে বিভিন্ন কণ্ঠের বিচিত্র ভঙ্গিতে বিভিন্ন প্রকারের শব্দ-বাক্য প্রক্ষেপনের নরম-গরম আওয়াজকিছু কিছু ভালো কবিতা পাঠের আগে পরে কবিতার নামে কবিতার বারোটা বাজানো অনেক শব্দপাঠও শুনা যাচ্ছিলোআমার পাশেই ছিলেন কিশোরকবিতা অঙ্গনের মেধাবী কবি জুলফিকার শাহাদাকী মনে করে যেন হঠা তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, ওই মঞ্চে তিনি কবিতা পাঠ করবেন নাকবিতা পাঠের জন্য আমার মতো তিনিও একজন নিবন্ধিত কবিউত্তরে তার মতামত হলো যে মঞ্চে কবিতার নামে কবিতার শ্রাদ্ধ হচ্ছে, ওখানে তিনি কবিতা পড়বেন কেন? অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে তাকে সম্মত করালাম যে, সমাগত দর্শক শ্রোতাদের আকাক্সক্ষার সাথে সঙ্গতি রেখে সবারই অধিকার আছে কবিতা পড়ার এবং, যা কিছুই হোক, অন্তত গুটিকয় ভালো কবিতা শোনার এজন্যেই তাঁরা এখানে আসেন, ধৈর্য্য ধরে বসেও থাকেনগৌন কবিদের প্রাধান্যের যুগে কিছু ভালো কবিতার ঝংকার না বাজলে কবিতা ও অকবিতার পার্থক্য পাঠ বিমুখ করে তোলা সাধারণ শ্রোতারা বুঝবেন কী করে?   

          জাতীয় কবিতা উসব ২০০৮-এ এবারের উপজীব্য শ্লোগান ছিলো  কবিতার মন্ত্র জয় গণতন্ত্রগত ০১ ও ০২ ফেব্রয়ারি ২০০৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে অনুষ্ঠিত এবারের উসব উসর্গ করা হয়েছে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের সদ্য প্রয়াত ব্যক্তিত্ব মাহবুব উল আলম চৌধুরী, শামসুল ইসলাম, সেলিম আল দীন, দুলাল জুবাইদ ও শিমুল মোহাম্মদ-কেসব উদ্বোধন করেন সব্যসাচী লেখক হিসেবে পরিচিত কবি সৈয়দ শামসুল হক 

স্বৈরাচার বিরোধী চেতনাকে ধারণ করে গোটা দেশের কবিদের সংগঠিত করে একটা সাংস্কৃতিক আন্দোলন চাঙা করে তোলার অভিপ্রায়ে সেই ১৯৮৭ সাল থেকে প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানের হাত ধরে প্রথম যে উসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিতা পরিষদের যাত্রা শুরু, তারই ধারাবাহিকতায় এবারের দ্বাবিংশতিতম জাতীয় কবিতা উসবশুরু থেকে এর নেতৃত্বে সংগঠন-সংঘটনে যাঁরা ধারাবাহিক দায়িত্বে ছিলেন, ঘুরে ফিরে এরাই এর কাণ্ডারী-ভূমিকায় এখনো আছেনকেউ কেউ আজ প্রয়াতআবার নতুন করে দু-একজন এসে যুক্তও হয়েছেনএরা সবাই নিজেদের নিরঙ্কুশ যোগ্যতা অভিজ্ঞতা দিয়েই হয়তো এ দায়িত্ব পালন করছেন এমনিতেই যোগ্য লোকের সঙ্কট আমাদের দেশের জন্য একটা চলমান বাস্তবতাতার উপরে কবি হলে তো কথাই নেইকবি কি আর হাটে মাঠে মেলে?  

মাঝখানে একবার কবি শামসুর রাহমান তাঁর স্মিত-স্বভাব দিয়ে নিজেকে এই পরিষদ থেকে সযত্নে সরিয়ে নিলে কবিতা না কি নেতৃত্ব এ ধরনের একটা আলোচিত বিতর্ক সে সময়ে শাখা বিস্তার করলেও সময় কারো জন্য থেমে থাকে নাজাতীয় কবিতা উসবের পাল্টা হিসেবে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এশিয় কবিতা উসব জাতিয় আরেকটা রাজকীয় উসবের প্রবর্তন হলেও স্বৈরাচার পতনের পর ওটার কোন সক্রিয়তা পরবর্তীতে আর আমরা খুঁজে পাই না।  আমার আজকের প্রসঙ্গ এসব নিয়ে নয় প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট যারা, তারাই হয়তো এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার যোগ্যতা রাখেনআমি শুধু এবারের উসবে আমার ছোট্ট দু-একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করেছিএবং এর মাধ্যমে নিজস্ব ভাবনার আলোকে সৃষ্ট গুটিকয় প্রশ্নের যৌক্তিকতাটুকুও যাচাই করে নিতে চাচ্ছি 

          অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য যে, পূর্ণ ইচ্ছা থাকা সত্বেও কখনোই আমার এ উসবে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নিকিন্তু এবার আমার ঢাকায় অবস্থান এবং উসবটাও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হওয়ায় অংশগ্রহণের নিশ্চি সম্ভাবনা সৃষ্টি হলো যথানিয়মে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) স্থাপিত উসব আহ্বায়ক পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে নির্ধারিত একশটাকা চাঁদা জমা দিলামএবং নির্দিষ্ট কবিতা জমা দিয়েই কেবল নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হলোফলে পকেটে রাখা উপরে উদ্ধৃত একটি অসমাপ্ত সমাবেশ শিরোনামের কম্পোজ করা দুপাতার কবিতাটাই ওখানে জমা দেয়া হলোপ্রশ্ন হলো, কবিতার মন্ত্র যদি জয় গণতন্ত্র হয়, তবে আগেভাগেই কবিতাকে খাচায় পুরে ফেলার কারণ কী? হতে পারে পাঠের যোগ্য কি না তা যাচাই বাছাই করে তবেই ছাড় দেয়াখুবই ভালো কথা; অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত পরিষদ সদস্যদের কাছে মুখে-আদলে চেনা-জানার বাইরে বাংলার হাটে মাঠে ঘাটে এতো এতো কবি যারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন তাদের বিশাল অভিভাবকত্বের দায়িত্ব স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নেয়া, তা কি চাট্টিখানি কথা! যেখানে যা লেখার লিখে কাজ সেরে পরম আস্থা ও স্বস্তি নিয়ে অত্যন্ত হৃষ্ট-মনে ফিরে এলাম 

          অতঃপর ০১ ফেব্রয়ারি অনুষ্ঠানস্থলে আসা চারদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তাজা ছাত্র-ছাত্রী, সাহিত্য অনুরাগি ও নানা বয়সের উপস্থিতি আর সারাদেশ থেকে ছুটে আসা কবিদের মুখরতায় জমজমাট এক সমাবেশএকদিকে কলকোলাহল আর অন্যদিকে কবিতার আসর, এই বিচিত্র মিলন মেলায় আমার জন্যে যে অভূতপূর্ব চমক অপেক্ষা করছিলো, তা কি জানতাম? না কি প্রস্তুত ছিলাম? নিবন্ধন স্লীপ জমা দেয়ার পর অঞ্চলভিত্তিক ফাইল থেকে নম্বর মিলিয়ে অবশেষে সম্পাদনা-উত্তর কবিতা নামের যে বিশেষ বস্তুটি আমাকে ধরিয়ে দেয়া হলো তা দেখে তো আমার চক্ষুই ছানাবড়া! এটা কি আমার কবিতা! যা সেদিন নিবন্ধন করতে আমি নিজ হাতে জমা দিয়েছিলাম! কাব্যের ন্যূনতম শিল্প-ব্যাকরণ বুঝেন এমন কোন কবির কাজ এটা হতে পারে! তা বিশ্বাস করার আগে বিশ্বাস শব্দটাই অভিধান থেকে মুছে ফেলা ভাষার জন্যে অত্যন্ত মঙ্গলকর বলেই মনে হলোক্ষণা তীব্র আপত্তি জানালাম এই উদ্ভট বালখিল্য প্রবণতার জন্যকিন্তু কী আশ্চর্য! আমাকে বলা হলো- যে ভাবে আছে সে ভাবেই পড়তে হবেআমি হাসবো না কি কাঁদবো? এমন নির্বিকার উক্তি যাদের মুখ থেকে বেরুলো, বিশ্বাস করুন পাঠক, অভাবিত বিস্ময়ে তাদের চোখের মুখের দিকে ভালো করে তাকালাম; কবিতা দূরে থাক, একটা অক্ষরের উদ্ভাসও চোখে পড়লো না তাদের বিজ্ঞ (!) চেহারায় মুহূর্তেই নিশ্চি হলাম, এখনি এক-কথায় শুরু করে দিলেও আলু-পটলের ব্যবসায় প্রচুর শাইন করবেন তারাকিন্তু আতঙ্কিত হলাম, ওই ব্যবসায় নামবার আগ পর্যন্ত তাদের হাতে পড়ে বাংলা কবিতার আগাম চেহারা দেখে! 

          কী তার চেহারা? আমার মতো আর কেউ যদি এই ভয়াবহ চেহারা  দেখতে চান তবে এ লেখার শুরুতেই যে কবিতাটি পেরিয়ে এসেছি আমরা, আবার ওখানেই ফিরে যেতে হবেএটা ছিলো আমার জমা দেয়া কবিতাটার প্রাথমিক অবয়বঅতঃপর বাংলাদেশের এতিম কবিদের বর্তমান মা-বাপ অর্থা জাতীয় কবিতা পরিষদের কবিতা সাইজ করা সম্পাদনা পরিষদ কর্তৃক সাইজকৃতহয়ে যখন আমার হাতে তা ফিরে এলো, এর দুপাতার শেষ পাতাটি কবিতার সর্বশেষ ষোলটি চরনসহ বেমালুম গায়েব! বাকি যে প্রথম পাতাটি রইলো  ওখান থেকে আবার কবিতার হার্ট বা চুম্বক-অংশ বলতে যা বোঝায় তাও উপ্ড়ে ফেলা।   উপরে উদ্ধৃত কবিতাটিতে বাদ পড়া কর্তিত অংশগুলো মুক্তমনা পাঠকদের  বুঝার সুবিধার্থে শব্দ ও বাক্যের নিচে টানারেখা (আণ্ডার-লাইন) এঁকে চিহ্নিত করে দেখানো হয়েছে।  অতএব এই চিহ্নিত অংশগুলো বাদ দিয়ে শেষপর্যন্ত শেয়াল-শকুনে খাওয়ার পর কবিতাটির যে খণ্ডিত মৃতদেহটি পড়ে রইলো, তা জাতীয় পর্যায়ের  এতো বড়ো এক সচেতন সমাবেশে কবিতাপাঠের নামে উপবেশনের কথা আকাট মূর্খ আর উন্মাদগ্রস্ত ছাড়া কেউ কি বলতে পারে! লাউড-স্পীকারে বার কয়েক নাম ঘোষণা হলেও তা প্রত্যাখানের নিরূপায় প্রতিবাদ ছিলো আমার ক্ষুব্ধ ব্যথিত হয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে আসাকিন্তু দর্শক-শ্রোতারা কি তা জানলেন

          অ্যারিস্টটল বলতেন মাঝ সাগরে দিগ্ভ্রান্ত নাবিককে যদি আরোহী যাত্রিদের ভোট নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে দিক নির্ণয় করতে হয়, তাহলে সে জাহাজের সলিল সমাধি নির্ধারিত অ্যারিস্টটল হয়তো জনগণতন্ত্রে খুব একটা বিশ্বাসী ছিলেন নাতবে আমরা তো গণতন্ত্রে বিশ্বাসীআর তাই  আমাদের জাতীয় কবিতা উসবের সম্পাদনা পরিষদ এই জনগণতান্ত্রিক উপায়েই কবিতার বক্তব্য ও অবয়ব নির্ধারণ করেন কি না আমার জানা নেইশুধু যেটুকু জানি সেটা হলো হুমায়ুন আজাদের সেই বিখ্যাত প্রবচনগুচ্ছের চুরাশি নম্বরের প্রবচনটি, যাতে বলা আছে 

          ‘স্তবস্তুতি মানুষকে নষ্ট করেএকটি শিশুকে বেশি স্তুতি করুন, সে কয়েক দিনে পাক্কা শয়তান হয়ে উঠবেএকটি নেতাকে স্তুতি করুন, কয়েক দিনের মধ্যে দেশকে সে একটি একনায়ক উপহার দেবেকিন্ত অতিরিক্ত স্তুতি পেলে কবিরা যে কী জিনিস  হয়ে ওঠে, তা তিনি বলেন নিসেটা বলা একান্তই অনিবার্য ছিলোএ জন্যে কি আমাদেরকে আরেকজন হুমায়ুন আজাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে ? #  

           / রণদীপম বসু , ঢাকা , বাংলাদেশ /