অপরাজিত
রিফা আরা

স্কুলের গেটটার কাছাকাছি আসতেই সৌগতর বুকটা উথাল পাথাল করে উঠলো। ঐ তো গেটের একপাশে বাদাম গাছটা। কতদিন এ গাছের গোলছায়ার নিচে বসে সে এবং তার বন্ধুরা গল্প করেছে। টিফিন পিরিয়ডে টিফিন খেয়েছে। সৌগত এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। আজ স্কুলে ওদের ফেয়ার ওয়েল। কতদিন থেকে এ দিনটির প্রতীক্ষা করেছে। কত স্বপ্ন দেখেছে। ক্লাসের সেরা ছাত্র এবং স্কুলের ভাল ছাত্র হিসেবে সুপরিচিত সৌগতর উপর দায়িত্ব পড়বে বিদায়ীদের পক্ষ থেকে কিছু বলার। কী বলবে মনে মনে তারও অনেক মহড়া দিয়েছে। কৃতজ্ঞতা জানাবে তার শিক্ষক শিক্ষিকাদের যাঁদের শ্রমে দানে জ্ঞানে সৌগতরা ধন্য হয়েছে পুণ্য হয়েছে। দোয়া চাইবে সবার কাছে যেন তাদের ভবিষ্য কর্মের মধ্য দিয়ে তারা এ স্কুলের সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারে। অথচ আজ এমন লাগছে কেন? স্কুলের প্রাঙ্গনে পা রাখার সাথে সাথে বুকের ভেতর কান্না যেন হু হু করে উঠছে। কিছুতেই বাঁধ মানতে চাইছে না। দুরন্ত আবেগকে সংহত করে সৌগত তার বন্ধুদের পাশে বসে পড়ল।   

অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। নবম ও দশম শ্রেণীর একদল ছাত্র ওদেরকে ফুল আর বই দিয়ে বরণ করলো। এবার মানপত্র পাঠ হচ্ছে। সৌগত শুনতে পেল মাইকে তার নাম ঘোষণা করা হচ্ছে বিদায়ী ছাত্রদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার জন্য। নিজেকে সংযত করে মঞ্চে উঠল সে। তারপরও দুচোখে কেবলই পানি এসে যাচ্ছে। কান্নাভেজা কন্ঠে সবার পক্ষ থেকে ভুলত্রু টির জন্য ক্ষমা আর ভবিষ্যতের জন্য দোয়া চেয়ে কোন রকমে জায়গায় এসে বসল সৌগত। এবার প্রধান শিক্ষকের ভাষণ। খুব উকর্ণ হলো সৌগত। প্রধান শিক্ষক প্রথমেই তাদের ভবিষ্য সাফল্যের জন্য দোয়া করলেন। এবার বলছেন দেশের পরিস্থিতির কথা, এক মহা ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে আমরা পরিক্রমণ করে চলেছি। মিথ্যা, দুর্নীতি, অসদাচরণ সমাজকে গ্রাস করেছে। আমরা ক্রমশঃ তলিয়ে যাচ্ছি হতাশার অতল গহ্বরে। তবু আমি আশা করবো, রাতের অন্ধকারে যেমন নতুন সূর্যোদয় হয়, তেমনি দেশ ও জাতির সমস্ত গ্লানি আর হতাশাকে দূর করতে তোমরা সত্য ও ন্যায়ের পথ ধরে এগিয়ে যাবে 

খুক খুক করে কে যেন হাসল পেছনে। সৌগত পেছনে তাকাল। ওর সঙ্গে চোখাচোখি হতেই ছেলেটা সৌগতকে বলল, শুনছিস বুড়োর আদর্শের কচকচানি! এবার বন্ধ করতে বললে হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কখন শুরু হবে? এলাম গান শুনতে, আর ব্যাটার উপদেশ শুনে কান ঝালাপালা। সৌগতর চোখ দুটো ঘৃণায় কুচকে এল। মুখ ফিরিয়ে নিল সে। এই ছেলেটা অঙ্কে ফেল করেছিল। তার বাবা-মা, সে এই কয়েকদিন আগে হেডস্যারের হাতে পায়ে ধরে মুচলেকা দিয়ে তবে পরীক্ষা দেবার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। পাশ থেকে খোচা দিল অরূপ, এই সৌগত। এত মন খারাপ করে আছিস কেন? বিদায়তো আমরাও নিচ্ছি। তুই সবসময়ই যেন কেমন। সবকিছুতে বেশি বেশি সিরিয়াস। সত্যিই তাই, সৌগত সবকিছুতে ছোটবেলা থেকে সিরিয়াস। যেদিন থেকে মা তাকে হাত ধরে পড়তে শিখিয়েছে সেদিন থেকে সৌগত পড়াশোনাকে ধ্যান জ্ঞান করেছে। ক্লাসে ফার্স্ট হয়েছে। স্কুলে শিক্ষকরা তাকে সবচেয়ে বেশি স্নেহ করেন। কারণ সৌগত কখনো মিথ্যে বলে না, কারো সঙ্গে ঝগড়া, মারামারি কোনকিছুতে নেই। সবাই আশা করছে এবার এসএসসিতে সৌগত খুব ভাল রেজাল্ট করবে। বোর্ডে পজিশান থাকবে। সৌগতর অনেক স্বপ্ন। অনুষ্ঠান প্রায় শেষ। একদল ছাত্র সমবেত কন্ঠে গাইছে - জয় হোক সত্যের জয় হোক, সাম্যের জয় হোক ...। কী অপূর্ব সুন্দর কথাগুলো। সৌগত নিজের মনে গুনগুন করলো, জয় হোক, জয় হোক।  

বাড়ি ফিরেই মনটা খারাপ হয়ে গেল সৌগতর। আজ মা থাকলে এই বই, ফুল আর অভিনন্দন পত্র দেখে কত খুশিই না হতো। কপালে চুমু খেয়ে বলত- এত বড় হয়ে গেছে আমার সৌগত! মায়ের কথা মনে হতে বুকটা টন্ টন্‌ করে ওঠে। বালিশে মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে সে- মা, মাগো তুমি কোথায়? তুমি কি জানো আর দুদিন পরে তোমার সৌগতর এসএসসি পরীক্ষা। তুমি বলতে আমি অনেক বড় হবো। মানুষের ভালোর জন্য অনেক কাজ করবো। বলতে, সৌগত, আমাদের দেশটা বড় গরিব, মানুষগুলো আরো। এদের ভালো করার জন্য তোকে খুব বড় বিজ্ঞানী হতে হবে। বলতেন, এমন ফলন আবিষ্কার করবি যাতে এ দেশের খেতে না পাওয়া মানুষগুলোর ক্ষুধার কষ্ট দূর হয়। মা, আমি তো মাত্র একটা ধাপ শেষ করতে যাচ্ছি। তার আগেই কেন তুমি চলে গেলে মা?

সৌগতর মনে পড়ল, গতবছর হঠা করে মা অসুস্থ হয়ে পড়লে কোন ডাক্তারই রোগ ধরতে পারছিল না। বাবা ডাক্তারদের বোর্ড বসিয়েছিল। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা বলেছিল, মায়ের ক্যান্সার হয়েছে। মা বুঝতে পেরেছিল আয়ু আর বেশিদিন নেই। সৌগতকে একদম কাছছাড়া করতে চাইত না মা। মায়ের সুন্দর মুখটা শুকিয়ে দিনে দিনে এমন হাড্ডিসার হয়েছিল যে সৌগত তাকাতে পারত না। তবু মা তাকে পাশে ডেকে কত গল্প বলত। নিজের ছোটবেলার গল্প, বাবা-মায়ের কথা, স্কুল-কলেজ জীবনের কত কথা। মাঝে মাঝে বলতো, আমি মরে গেলেও তোর মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবো। তুই অনেক বড় হবি। তখন সবাই বলবে- সৌগত কার ছেলে। আমি কি এমনি এমনি তোর নাম রেখেছি! 

পিঠে হাতের স্পর্শ পেয়ে বুঝতে পারল বাবা অফিস থেকে ফিরেছেন। বালিশে মুখ গুঁজে স্থির হয়ে রইল সে। এখন বাবা তার চোখ দেখে বুঝতে পারবেন সৌগত কাঁদছিল। বাবার আরো কষ্ট হবে। মায়ের মৃত্যুর পর সৌগতকে বুকে করে আগলে রেখেছেন। যেন কিছুতেই তাকে দুঃখ পেতে দেবেন না। তবু মায়ের জন্য কষ্ট না হয়ে যায় না। কারণে অকারণে কেবলই বাষ্প জমে ওঠে।          

¾ ওঠো, খাবে চল।  

বাবা ডাকলেন। বাবার সঙ্গে খেতে বসে পাশে টিপয়ের উপর রাখা খবরের কাগজটার দিকে চোখ পড়ল সৌগতর। প্রথম পৃষ্ঠাতেই বেশ বড় বড় করে লিখেছে, বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ধর্মঘট। অভিভাবকরা সরকারের কাছে আবেদন করেছে শিক্ষকদের দাবী দাওয়া মেনে নিতে। অনেকদিন  থেকেই শিক্ষকরা ধর্মঘট করছেন। সৌগতর মনে প্রশ্ন দেখা দিল, তাহলে কি শিক্ষকদের দাবী অযৌক্তিক? আর যদি যৌক্তিক হয় তাহলে সরকার কেন মানবে না? এ জটিলতা এখনও সৌগত বুঝতে পারে না। তবু তার ক্ষুদ্র বুদ্ধি দিয়ে বুঝেছে, এদেশে শিক্ষকরা ভাল নেই। পড়াশোনা থেকে জেনেছে আসলে কোনদিনই ভাল ছিল না। অথচ বড়রা সবসময় বলে, শিক্ষকরাও বলে- শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু এখন আমাদের কী হবে? শিক্ষকরা ধর্মঘট চালিয়ে গেলে পরীক্ষায় নিশ্চয় বিশৃঙ্খলা হবে। এমনিতেই পরীক্ষায় দুর্নীতি বাংলাদেশে ডাল-ভাত হয়ে গেছে। আবার হেডস্যারের কথাগুলো কানে বাজল সৌগতর- সকল অন্যায় আর অসত্যকে পদাঘাত করে তোমরা এগিয়ে যাবে। মায়ের কথা মনে হলো। অসুখে শুয়ে শুয়ে মা গল্প করছিল তার এইচএসসি পরীক্ষার কথা। দেশ তখন মাত্র স্বাধীন হয়েছে। মা ৭১ সালের পরীক্ষার্থী ছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বছর পরীক্ষা নেয়া হলেও বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দেয়নি। মা বলেছিল, বুঝেছিস, তখন এমন অবস্থা যে পাকসেনাদের ভয়ে বাবা-মায়েরা পারলে আমাদেরকে ইব্রাহিমের মত মাটির নিচে লুকিয়ে রাখে। স্বাধীনতার পর সে কী অবস্থা। সবাই স্বাধীনতাকে তুচ্ছ করে ফেলল। স্বাধীনতা হয়ে দাঁড়াল পরীক্ষায় নকল করার স্বাধীনতা, স্বেচ্ছাচারের স্বাধীনতা। সবাই পরীক্ষার হলে বই-খাতা খুলে লিখছে। ছাত্ররা শিক্ষকদের হুমকি দিচ্ছে, নকল ধরলে জান শেষ। শেষে এমন দাঁড়ালো, যারা লেখাপড়া প্রায় ভুলে গিয়েছে, যারা জীবনে কোনদিন মাধ্যমিক স্তরের বই ছুঁয়ে দেখেনি তারাও পরীক্ষা দিতে বসে গেল। চারিদিকে কী একটা হতাশ অবস্থা। তারপর বুঝলি সৌগত, পাশতো করলাম, কিন্তু দাম নেই। সবাই বলে বাহাত্তুরে পাশ। কিন্তু সৌগত জানে এই বাহাত্তুরে পাশকে মিথ্যে করার জন্য মা আরো পড়াশোনা করেছিল, পাশ করেছিল। পড়তে খুব ভালবাসত মা।  

¾  আমি একটু কাজে যাচ্ছি-

বাবার কথায় সম্বিত ফিরে পেল সৌগত। আজ সকাল থেকেই তাকে ভাবনায় পেয়েছে। কত কী যে মনে আসছে। বাবা কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন, শোন, এখন আর বেশি পড়াশোনার দরকার নেই। রিভিশান দাও। বিশ্রাম কর। শরীর যেন ভাল থাকে। পরীক্ষার সময় শরীর ভাল থাকাটাই সব 

বাবা বাইরে যেতে ছাদে উঠে এল সৌগত। চারদিকে বিকেল নেমে এসেছে। কিন্তু এত সুন্দর বিকেল, নরম রোদ কোন কিছুই আজ তার বিষন্নতা দূর করতে পারছে না। তবু কিছুক্ষণ ছাদে পায়চারি করল সে। টবের গাছগুলোকে নেড়ে চেড়ে দেখল। দূরের অস্তাচলের দিকে চেয়ে থাকল কিছুক্ষণ।  

পড়ার টেবিলে বসতেই সৌগতর মনে হলো কেউ যেন তার পাশের জানালায় টোকা দিচ্ছে।  

¾ কে? সন্দিগ্ধ গলায় প্রশ্ন করল সৌগত।

¾ আমি অরূপ, দরজাটা খোল।  

সৌগত অবাক হয়ে গেল। কাল বাদে পরশু পরীক্ষা। আজ সন্ধ্যায় অরূপ কেন? সৌগত দরজাটা খুলতেই এক লাফে ঘরে চলে এল অরূপ। চারদিকে কেমন সন্দেহের চোখে দেখে ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞেস করল, 

¾ তোর বাবা কোথায়?

¾ বাইরে।

¾ বাসায় আর কেউ নেই?

¾ রাবেয়ার মা। রান্নাঘরে কাজ করছে।

¾ তাহলে দরজা বন্ধ করে দে।  

সৌগত লক্ষ্য করল অরূপ যেন খুব উত্তেজিত।  

¾ কী ব্যাপার? কেন এসেছিস?

¾ আস্তে। দেয়ালেরও কান আছে।

ফিসফিসিয়ে বলল অরূপ। সৌগত অনুভব করল, অরূপের উত্তেজনা যেন তার মধ্যেও সংক্রামিত হচ্ছে।  

¾ প্রশ্ন পেয়েছি!

¾ কী!

¾ প্রশ্ন। এসএসসির বোর্ডের প্রশ্ন আউট হয়েছে।  

সৌগতর পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঝিম ঝিম করে উঠল।  

¾ কী বলছিস?

¾ হ্যাঁ, ঠিক বলছি। এসএসসির প্রশ্ন। আমার চাচাত ভাই অনেক টাকা দিয়ে কিনে এনেছে।

¾ আমার কাছে কেন এসেছিস?

কন্ঠস্বরে রাগ সৌগতর।  

¾ তুই ফার্স্টবয়। ভাবলাম প্রশ্নটা পেলে তোর জন্য আরো ভালো হবে। আমিও তোর সাথে ডিসকাস করে উত্তরগুলো আরো ভালো করে বুঝে নেব। তোরও ভাল হবে, আমারও।  

তাই তো। এই কথাটি এতক্ষণ সৌগতর মাথায় আসেনি।  

¾ কিন্তু টাকা দিতে হবে সৌগত। আমার ভাই অনেক টাকা দিয়ে কিনেছে। আমি ওকে বলেছি, কোন চিন্তা নেই। তুই আর আমি ফিফ্‌টি ফিফ্‌টি দেব। চাই কি অন্যদের কাছে বিক্রি করে কিছু পয়সাও পাবো। পরীক্ষার পর তাহলে বেশ মজা হবে।  

সৌগতর ভেতরে তোলপাড় চলছে। এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন! নির্দিষ্ট প্রশ্নগুলো ভাল করে পড়লে রেজাল্ট নিশ্চিত ভাল হবে। কিন্তু মা, হেডস্যার। হেডস্যারের কথাগুলো কানে বাজছে। মা! মা যেন কানের কাছে বলছেন, সৌগত, ছুঁবি না। কক্ষনো হাতে নিবি না। পাপ। সব শেষ হয়ে যাবে, তোর স্বপ্ন, আমার কল্পনা, সৌগত, সৌগত। সৌগতর মনে হলো সে যেন গভীর অরণ্যে পথ হারিয়ে ফেলেছে আর মা তাকে কেঁদে কেঁদে খুঁজে ফিরছে। এক মুহূর্তে নিজেকে দৃঢ় করলো সৌগত। 

¾ অরূপ, চলে যা তুই।

¾ সৌগত!

¾  আর এক মুহূর্ত নয়। আমি এসবে নেই। তুই হেড স্যারের কথা ভুলে গেছিস?  

অবাক হয়ে সৌগতর দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকে অরূপ। সৌগতর চোখে যেন আগুন জ্বলছে। নিজেকে খুব ছোট মনে হল অরূপের। অরূপও ভালো ছাত্র। ভাল প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু সে কেন সৌগতর মত হল না! কেন সে ভাবতে গেল এতেই বেশি লাভ! 

¾ আমাকে মাফ করে দে ভাই। কেন যে মিথ্যের পেছনে ছুটতে গেলাম। আসলে প্রশ্ন পেয়ে আমি সত্য-মিথ্যা ন্যায়-অন্যায় সব কিছু ভুলে গেছি।

¾ তাহলে এক্ষুনি বাড়ি যা। ওগুলো পুড়িয়ে ফেল। তারপর পড়তে বস। আর প্রতিজ্ঞা করবি - আর কক্ষনো এমন কাজ করবি না। এ অন্যায় অরূপ।  

অরূপ চলে যেতেই দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে পড়ার টেবিলে বসল সৌগত। মনের ভিতর যেন স্বর্গীয় আনন্দ। সে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ছে শিরায় শিরায়। এই প্রথম সৌগত অনুভব করল তার সারাদিনের বিষন্নতাটা কেটে গেছে। আমি অন্যায়কে পরাজিত করেছি মা - সৌগতর দুচোখে আনন্দের বন্যা। মনের ভিতর গুন গুন করছে সেই সুর - জয় হোক, সত্যের জয় হোক।

 

রিফা আরা। চট্টগ্রাম শাহীন কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।